আলিবাবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা এ বার টোকিও কলেজের অধ্যাপক

jack ma

আলিবাবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা (Jack Ma)-কে টোকিও কলেজে (Tokyo College) ভিজিটিং প্রফেসর হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাল টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় (University of Tokyo)। এই কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত একটি নতুন সংস্থা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্তব্য উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, চিনের সবচেয়ে বিখ্যাত উদ্যোক্তার এই নিয়োগের মেয়াদ অক্টোবরের শেষ হওয়ার কথা। তবে চুক্তিটি বার্ষিক ভিত্তিতে পুনর্নবীকরণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা বিষয়গুলিতে পরামর্শ দেওয়া এবং কলেজে ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবসা শুরুর উপর বক্তৃতা করা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিযুক্ত থাকবেন জ্যাক মা।

গত মার্চ মাসে জ্যাক মা চিনে ফিরে আসেন। এক বছরেরও বেশি সময় বিদেশে ছিলেন তিনি। তার পরই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা। প্রায় দু’বছর লকডাউনের ফলে বিপর্যস্ত শিল্প এখন স্থিতিশীল হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশি গবেষক এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মত বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে কাজ করার জন্য ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল টোকিও কলেজ । তবে জ্যাক মা যে শুধু টোকিও কলেজেক অধ্যাপকের ভূমিকায় আসছেন, সেটাও নয়।

হংকংয়ের একটি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক অধ্যাপকও করা হয়েছে তাঁকে। সেখানে তাঁর অধ্যাপনার মেয়াদ তিন বছর, যা ২০২৬ সালের মার্চ মাসে শেষ হবে। হংকং ইউনিভার্সিটি ২০১৮ সালে জ্যাক মা-কে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করেছে।

গত এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করেছে জ্যাক মা সেখানকার বিজনেস স্কুলে সম্মানসূচক অধ্যাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, “ব্যবসায়িক উদ্ভাবন এবং উন্নয়নে তাঁর সমৃদ্ধ জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা” ভাগ করে নেওয়াকে স্বাগত জানাতেই এই পদক্ষেপ।

বলে রাখা ভালো, জ্যাক মা একসময় ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন। সেখান থেকেই উদ্য়োগপতি হিসেবে উঠে আসা। তার পর আলিবাবা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা হিসেবে বিশ্ব দরবারে নিজের নাম করে নেওয়া। এক সময় চিনের ধনীতম ব্যক্তি ছিলেন জ্যাক মা। পরে চিনের সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে গা ঢাকা দিতে হয় তাঁকে। এখন আবার শিক্ষকতার পথেই হাঁটতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।

আরও পড়ুন: এক মাসে ১১ হাজার কোটি টাকা! বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নজরে ভারতীয় শেয়ার বাজার

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.