
বাড়ি ভাড়া দেওয়া অথবা নেওয়ার জন্য লিখিত চুক্তি বাধ্যতামূলক। স্ট্যাম্প পেপারে দু’পক্ষের মধ্যে লিখিত এই চুক্তি হল একটি অফিসিয়াল নথি। যা বিভিন্ন কাজে লাগতে পারে। কিন্তু একটা বিষয় ভেবে দেখেছেন কি, বাড়ি ভাড়ার এই চুক্তি কেন শুধুমাত্রা ১১ মাসের জন্য করা হয়?
বাড়়ি ভাড়ার চুক্তি সম্পন্ন হয় বাড়ির মালিক এবং ভাড়াটের মধ্যে। বিভিন্ন ধরনের শর্ত উল্লেখিত থাকে এই চুক্তিতে। তবে নির্দিষ্ট মাসিক ভাড়ার ভিত্তিতে ভাড়াটে যে ওই বাড়িতে বসবাস করার সুযোগ পাবেন, সেটাই প্রাথমিক বিষয়। এর অন্যতম শর্তগুলির মধ্যে প্রথমেই চলে আসে বসবাসের মেয়াদ। অর্থাৎ, কতদিনের জন্য বাড়ির মালিক ভাড়াটেকে রাখছেন, সেটা অবশ্যই উল্লেখ করা হয় ওই চুক্তিতে।
দেশে ভাড়া চুক্তির জন্য আইনে যথাযথ নিয়ম প্রণীত আছে। ইন্ডিয়ান রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৯০৮-এর ধারা ১৭ (ডি)-র অধীনে একটি ভাড়া চুক্তি করা হয়। আইনানুযায়ী, এই চুক্তিটি কমপক্ষে এক বছরের জন্য করতে হবে এবং এক বছরের কম সময়ের জন্য ভাড়া চুক্তি বা ইজারা চুক্তি রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন নেই। সহজ কথায়, এক্ষেত্রে বাড়ির মালিক শুধুমাত্র ১১ মাসের জন্য ভাড়া চুক্তি করতে পারেন।
আইনজ্ঞদের মতে, দেশের আইন জটিল এবং বেশিরভাগ আইনই ভাড়াটিয়ার পক্ষে যেতে পারে। এমনটাও দেখা যায় যে, ভাড়াটিয়া-বাড়িওয়ালার বিবাদ স্বাভাবিক একটি ঘটনা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা বাড়ি খালি করতে চাইলেও বছরের পর বছর ধরে আইনি প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। সেজন্য ভাড়া চুক্তি করা হয় মাত্র ১১ মাসের জন্য।
যদি একজন বাড়িওয়ালা ১১ মাসের জন্য ভাড়ার চুক্তি করেন, তা হলে তাঁকে স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে না। কারণ এই মেয়াদের চুক্তিতে স্ট্যাম্প ডিউটি বাধ্যতামূলক নয়। ফলে এতে বাড়িওয়ালার খরচও বেঁচে যায়। মনে রাখতে হবে, আইনানুযায়ী নোটারি রেন্ট এগ্রিমেন্ট শুধুমাত্র ১১ মাসের জন্য বৈধ। বাড়িওয়ালা-ভাড়াটে বিরোধ বাঁধলে এই নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তিটি উপস্থাপন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ইউপিআই পেমেন্ট করা যায়, জানুন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া