সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের ‘পদাবলী’, শাড়ি ও গয়নার অপূর্ব মেলবন্ধন

পদাবলী শব্দের অর্থ কাহিনি। বৈষ্ণব সাহিত্য-সহ বিভিন্ন বাংলা সাহিত্যে এই পদাবলী শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। বৈষ্ণব পদাবলীতে যেমন রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলার নানা কাহিনি বর্ণিত হয়েছে তেমনই বাংলার দুই হস্তশিল্প – শাড়ি ও গয়না, উভয়ের বন্ধুত্বের কাহিনি ফুটে উঠেছে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের ‘পদাবলী’-তে। 

ঐতিহ্যবাহী জামদানি, তাঁত এবং কাঁথাস্টিচের শাড়ির নকশার সঙ্গে গয়নার নকশার যুগলবন্দির এক অপরূপ কাহিনি তৈরি করেছে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস, যেখানে এই শাড়িগুলির পাড় ও আঁচলের নক্সা গয়নায় প্রতিফলিত হয়েছে। 

সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের গসিপ নিয়ে এসেছে এই পদাবলী কালেকশনের বিপুল সম্ভার। রুপো এবং অন্যান্য ধাতুর তৈরি গয়না ‘পদাবলী’ প্রথম সংস্করণে বিপুল সাফল্য পাওয়ার পরে এটি দ্বিতীয় সংস্করণ। শাড়ির বুনন, জমি, পাড় ও আঁচলে যা কাহিনি চিত্রিত থাকবে, সেই গল্পই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গয়নার নকশায়। শাড়িতে থাকা পাখি, গাছ, পাতা, পশু-পাখি সহ নানা আকার-আকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে শিল্পীরা মুন্সিয়ানার সঙ্গে গয়নার নকশার এই অনন্য মেলবন্ধন গড়ে তুলেছেন।   

এই উদ্যোগের প্রধান তথা সংস্থার ডিরেক্টর জয়িতা সেন বলেন, “মহিলারা নিজেদের প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রূপে সাজাতে ভালবাসেন। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সেই রূপ, সেই সাজ এক অনন্য মাত্রা পায়। মহিলাদের আত্মতৃপ্তি এবং নিজস্ব ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এর মাধ্যমে। আমরা সেই চাওয়াকেই এক নতুন রূপ দিতে চাইছি”।

শাড়ি বা অন্য চিরাচরিত ঐতিহ্যের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না পরার চল বহুদিনের। তন্তুশিল্পী থেকে শুরু করে জহুরিশিল্পী প্রত্যেকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল পদাবলী। আগামী ২৩ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ মেনকা সিনেমা হলের কাছেই গ্যালারি গোল্ডে এই প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছে সেনকো গোল্ড। দুপুর ৩টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলাকালীন ক্রেতারা নিজেদের পছন্দের শাড়ি এবং গয়না কিনতে পারবেন। সেই শাড়ির সঙ্গে মানানসই গলার হার, কানের দুল, চুড়ি সবই পাওয়া যাবে। দাম হাজার টাকা থেকে শুরু। 

বলে রাখা ভালো, ২৬ মার্চের পর থেকে এই নতুন পদাবলী কালেকশন পাওয়া যাবে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের স্টোরে। পদাবলী, পয়লা বৈশাখে ফ্যাশনিস্তাদের নতুন শাড়ির সঙ্গে মানাসই গয়নায় এক অপরূপ সাজে সাজিয়ে তুলবে।

আরও পড়ুন: এটিএমে কেন মিলছে না ২০০০ টাকার নোট? সংসদে জবাব অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.