বিবি ডেস্ক: পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের (Public Provident Fund) সুবিধা কি শুধুই প্রাপ্তবয়স্ক চাকুরিজীবী বা ব্যবসায়ীদের জন্যই প্রয়োজ্য? একেবারেই নয়। কোনও বিনিয়োগকারী তার নিজের নামে একটি পিপিএফ (PPF) অ্যাকাউন্ট খোলা ছাড়াও, তাঁর নাবালক সন্তানের নামে আরেকটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। বলা যেতে পারে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ঠিকমতো পরিকল্পনা করলে সঠিক সময়ে বেশ ভাল রিটার্ন দিতে পারে এই প্রকল্প।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা
১। রিটার্ন ঝুঁকিমুক্ত।
২। চক্রবৃদ্ধি সুদের হার।
৩। আয়কর আইন, ১৯৬১-এর ৮০সি-এর (80C) অধীনে আয়কর ছাড়।
৪। ১৫ বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ।
৫। পিপিএফ (PPF) ব্যালেন্সের উপর ভিত্তি করে ঋণ এবং অগ্রিম অর্থ তোলার সুযোগ।
৬। বিনিয়োগের ন্যূনতম পরিমাণ কম, মাত্র ৫০০ টাকা।
৭। সপ্তম আর্থিক বছর থেকে আংশিক প্রত্যাহারের সুবিধা রয়েছে।
নাবালকের অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা করা যায়?
এক জন নাবালকের জন্য খোলা পিপিএফ অ্যাকাউন্টের জন্যও ন্যূনতম টাকার পরিমাণ ৫০০ এবং সর্বোচ্চ পরিমাণ পাঁচ লক্ষ টাকা।
ঋণ অথবা টাকা তোলার প্রয়োজন হলে
অপ্রাপ্তবয়স্কদের পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণ অথবা আংশিক টাকা তোলার সুযোগ সুবিধাও রয়েছে। তবে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার হলে নাবালকের অভিভাবকদের এই বক্তব্য স্পষ্ট করতে হবে, যে, টাকাটি তোলা হচ্ছে সেই নাবালকের জন্যই।
নাবালকের ১৮ বছর সম্পূর্ণ হলে
সন্তানের বয়স ১৮ হলে তার অ্যাকাউন্টটি একটি সাধারণ পিপিএফ (PPF) অ্যাকাউন্টে রূপান্তরিত করার আবেদন জানানো প্রয়োজন। প্রাপ্তবয়স্ক হলে সংশ্লিষ্ট নাবালক নিজেই সেই অ্যাকাউন্টটি দেখাশোনা করতে পারবে।
আরও পড়ুন: এফডি-তে ৮% পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে বন্ধন ব্যাঙ্ক, জানুন কোন মেয়াদে কত সুদ?