স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের জন্য একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট (Demat Account) থাকা বাধ্যতামূলক। যদি কেউ স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে যায়, তা হলে প্রথমে একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সাধারণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে এর ফারাক কী?
প্রথমেই বলে রাখা ভালো, ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট একটি স্ট্যান্ডার্ডারাইজ ইলেকট্রনিক সিস্টেম। আপনি এতে আর্থিক সম্পদ রাখতে পারেন। ডিপোজিটরি অ্যাক্ট ১৯৯৬-এর অধীনে, স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে নিজের কেনা শেয়ার বা অন্যান্য সিকিউরিটিজের ডিজিটাল কপি রাখতে পারেন অ্য়াকাউন্টধারী।
ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের অন্যতম বৈশিষ্ট্য
*ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ইলেকট্রিক। এতে নগদ অর্থের পরিবর্তে আর্থিক সম্পদ (শেয়ার, বন্ড) রাখা হয়।
*ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ডিম্যাটেরিয়ালাইজেশন নীতির অধীনে অপারেটিভ ফাংশনগুলির জন্য ব্যবহার করা হয়।
*ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে, ফিজিক্যাল শেয়ার সার্টিফিকেটের জায়গায় ডিজিটাল শেয়ার রাখা হয়।
*ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট এক জায়গায় বিনিয়োগকারীদের সমস্ত শেয়ার সংগ্রহ করতে ব্যবহৃত হয়।
মনে রাখবেন, যে কোনো বিনিয়োগকারী একাধিক ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এই অ্যাকাউন্টটি একক বা যৌথ ভাবে খোলা যেতে পারে। যাইহোক, বিনিয়োগকারী শুধুমাত্র তখনই ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন যখন তার অ্যাকাউন্টে কেওয়াইসি সম্পূর্ণ ভাবে আপডেট করা হয়।
একবার আপনি একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলে ফেললে, আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরু করতে পারবেন। শেয়ার কেনার জন্য, আপনাকে অবশ্যই আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত তহবিল থাকতে হবে। আপনি যখন শেয়ার বিক্রি করেন, তখন অর্থ আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে।
ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত জালিয়াতির ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বহু মানুষ জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। তাই সাবধান থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। কয়েকটি সহজ কৌশল মেনে চললেই জালিয়াতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট। আরও পড়ুন এখানে: ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে চান? রইল সহজ টিপস