এখন ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট-এর ভাড়া কত?
ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট সংক্রান্ত banglabiz.com-এর সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন পড়ে এমনই প্রশ্ন করেছেন এক পাঠক। ধরে নেওয়া যেতে পারে, তিনি সম্ভবত ডিম্যাট অ্য়াকাউন্টের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ চার্জের কথা বোঝাতে চেয়েছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত খরচপাতির কথা।
ডিম্য়াট অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন ধরনের চার্জ ধার্য হয়ে থাকে। যেমন, ১. অ্যাকাউন্ট খোলার চার্জ, ২. বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ, ৩. লেনদেনের চার্জ এবং ৪. নিরাপত্তা চার্জ, ইত্যাদি। এগুলির মধ্যে আমাদের আলোচ্য বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ।
ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ
ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট তো খুললেন, কিন্তু লেনদেনের জন্য সেটিকে সক্রিয় রাখতে হবে। এর জন্য অ্য়াকাউন্ট প্রদানকারী ব্যাঙ্ক অথবা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বছরে একটি চার্জ নিয়ে থাকে। এর পরিমাণ নির্ভর করে সেই ব্যাঙ্ক, সংস্থার নীতির উপর। এ ছাড়া আপনি বছরে কত টাকা লেনদেন করছেন, সেটাও একটা বড় ফ্যাক্টর।
তবে, বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ হিসাবে নামমাত্র টাকাই নেওয়া হয়, কারণ এর পরিমাণ থাকে তিন অংকেই। সাধারণত ৩০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার মধ্যেই ঘোরাফেরা করে ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ।
মকুব হতে পারে বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ
কেউ যদি অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেন, তা হলে তাঁর বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ মকুব করা হতে পারে। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)-র নিয়মানুযায়ী, ৫০ হাজার টাকা বা তার কম ব্যালেন্স-সহ ছোট বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট ডিম্যাট অ্যাকাউন্টকে একটি নির্দিষ্ট বিভাগে ফেলা হয়েছে। একে বলা হয় বেসিক সার্ভিসেস ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট (বিএসডিএ)। কারও যদি বিএসডিএ থাকে, তা হলে তিনি বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ মকুব করাতে পারেন।
আরও পড়ুন: সাধারণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের ফারাক কতটা? জানুন কী কাজে লাগে