Connect with us

ফিনান্স

১০ জনের মধ্যে লোকসান ৯ জনের, কোথায় যাচ্ছে আপনার টাকা?

এখন সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন এখন সেবি-র পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? তবে হ্যাঁ, নিয়ন্ত্রকের কিছু করা উচিত বলেই মনে করেন অনেকে।

Published

on

আপনি কি ইক্যুইটি ফিউচার অ্যান্ড অপশন (F&O) সেগমেন্টে লেনদেন করেন? গত বছর লাভের মুখ দেখেছেন তো? না কি পড়ে গিয়েছেন সেই ৮৯ শতাংশের দলে?

সম্প্রতি একটি তাৎপর্যপূর্ণ সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেছে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি (SEBI)। যাতে বলা হয়েছে, ইক্যুইটি ফিউচার অ্যান্ড অপশন সেগমেন্টের ৮৯ শতাংশ লেনদেনকারী ২০২২-এ লোকসান করেছেন। অর্থাৎ, ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেরই লোকসান হয়েছে। গত আর্থিক বছরে তাঁদের গড় লোকসান ছিল ১.১ লক্ষ টাকা। তবে ইক্যুইটি বাজারে যাঁদের নিয়মিত যাতায়াত, তাঁদের কাছে মোটেই এটা বিস্ময়কর নয়।

এফঅ্যান্ডওতে প্রায় সমস্ত স্বতন্ত্র বিনিয়োগকারীরা বড়ো মাপের ক্ষতির সম্মুখীন হন। কিন্তু এখন যে ব্যাপারটা ঘটেছে তা হল সেবি-র এই সমীক্ষা এটাকে কার্যত সিলমোহর দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, যদি বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘ সময়ের জন্য ট্র্যাক করা হয় তবে এই সংখ্যাটি ৯৫-৯৯ শতাংশ হবে। এখন সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন এখন সেবি-র পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? তবে হ্যাঁ, নিয়ন্ত্রকের কিছু করা উচিত বলেই মনে করেন অনেকে।

সেবির এই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর লোকসানের জন্য বিনিয়োগকারীদের ঘাড়েই দায় চাপানো হয়েছিল। কিন্তু তাৎক্ষণিক এই প্রতিক্রিয়া মোটেই সবকিছুর জন্য দায়ী নয়। দীর্ঘকাল ধরে রাখা শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ড বা অন্য কোনো বৈধ বিনিয়োগ-সহ বিনিয়োগে ক্ষতির ভার একমাত্র বিনিয়োগকারীকেই বহন করতে হয়।

কিন্তু, এক্সচেঞ্জ এবং ব্রোকার উভয়ের কোনো দায় থাকে না। যেখানে একটা লেনদেন সেগমেন্টে ৯০ শতাংশের বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তা নিয়ে সচেতন করার দরকার আছে বলে মনে করেন না কেউ। সত্যি বলতে কী, এ ব্যাপারে বাস্তব ছবি সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই বড়ো অংশের বিনিয়োগকারীর।

সহজ সত্যিটা হল, কেউ লাভ করলে, অন্য কেউ ক্ষতির সম্মুখীন হবেনই। কিন্তু ইক্যুইটির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এই সরল সমীকরণে এটা ঘটে না। এখানে অর্থনীতির বৃদ্ধিই এর শক্তি। কিন্তু এফঅ্যান্ডও এমন একটি শূন্য-সমষ্টির খেলা যে ভারতীয় এক্সচেঞ্জে শত শত কোটি ডেরিভেটিভের ট্রেডিং কার্যকলাপের ৯০ শতাংশেরও বেশি অর্থ উপার্জন করে না। সব মিলিয়ে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখা দরকার।

আরও পড়ুন: ফিক্সড ডিপোজিটে ৮.১০ শতাংশ! সুদের হার বাড়াল ডিসিবি ও আইডিবিআই ব্যাঙ্ক

মনে রাখা দরকার, কেউ লাভবান হচ্ছেন, অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেই। ব্রোকার এবং এক্সচেঞ্জ এবং যারা স্টক অফার করছে তারা এটা থেকে অর্থ উপার্জন করে এবং এটাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। তা হলে আপনি এই জন্য কি করবেন? ডেরিভেটিভ থেকে দূরে থাকার কথা ভাববেন না কি? সেবি যদি কোনো পদক্ষেপ নেয়, তা হলে তো সাধুবাদ জানাতেই হবে। তার আগে চক্করে পা দেওয়ার আগে এক-দু’বার নয়, বারবার ভাবা দরকার।

বাংলাবিজে অর্থ সংক্রান্ত সহ খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Advertisement