ক্রেডিট কার্ডের প্রচলন বা ব্যবহার এখন অনেকটাই বেশি। কারণ, গ্রাহককে ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার পদ্ধতি সহজ থেকে সহজতর করে চলেছে ব্যাঙ্ক অথবা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। যে কারণে অনেকের পকেটেই এখন ক্রেডিট কার্ড। কিন্তু আর্থিক লেনদেনে সেই কার্ড ব্যবহার করছেন তো? যদি না করেন তা হলে ক্ষতির মুখেও পড়তে হতে পারে কার্ডধারীকে।
বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ডের ছড়িছড়ি বাজারে। তাতে বিশেষ বিশেষ অফারও রয়েছে অনেক। সেই সব অফারের টানেই প্রয়োজন না থাকলেও অনেকে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে নেন। কিন্তু সে ভাবে আর ব্যবহার করা হয়ে ওঠে না।
শুধু কি তাই, এক জনের কাছে এখন একাধিক ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। টনক নড়লে মনে হতে পারে, তা হলে কি অপ্রয়োজনীয় ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করে দেওয়া ভালো। বন্ধ করে দিলে ঝামেলা মিটে গেল, কিন্তু ব্যবহার না করে অযথা ক্রেডিট কার্ড ধরে রাখা মোটেই সঠিক কাজ নয়। এমন পরিস্থিতিতে কী হতে পারে, সেটাও জেনে রাখা উচিত।
কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে
অনেক ক্রেডিট কার্ডেই বার্ষিক ফি দিতে হয়। সেক্ষেত্রে ব্যবহার না করেও অযথা কার্ডের চার্জ মিটিয়ে কী লাভ! যদি আপনার কার্ডে বার্ষিক ফি থাকে, তাহলে আপনার প্রথমে যা করা উচিত তা হল আপনার কার্ড ডাউনগ্রেড করা। আপনার বার্ষিক ফি কার্ডের পরিবর্তে শূন্য বার্ষিক ফি-সহ একটি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে। আর আপনার কার্ডটিতে যদি বার্ষিক ফি না লাগে, সেক্ষেত্রে সেটা বন্ধ করার দরকার পড়বে না।
অর্থাৎ যা দাঁড়াল, আপনি যদি বার্ষিক ফি-সহ একটি ক্রেডিট কার্ড নিয়ে সেটা ব্যবহার না করেন তবে বন্ধ করে দেওয়ার কথাও মাথায় আসতে পারে। কিন্তু আপনি যদি কার্ডটি বন্ধ করেন তবে তাতে আপনার ক্রেডিট স্কোরও প্রভাবিত হবে। এ ছাড়া ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার পরে, আপনার কার্ড হিস্ট্রিকেও প্রভাবিত করে। তাতে ঋণ নেওয়ার সময় অসুবিধা হতে পারে। তা হলে কী করবেন?
একটা সহজ অঙ্কেই ব্যাপারটা বুঝে নেওয়া যাক। ধরুন, আপনার কাছে তিনটি ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। যেগুলির সম্মিলিত ক্রেডিট লিমিট ১ লক্ষ টাকা। এগুলির মধ্যে আপনি যদি একটি কার্ড বন্ধ করে দেন, তা হলে আপনার ক্রেডিট ইউটিলাইজেশন রেশিও বেড়ে যাবে। যদি ক্রেডিট ইউটিলাইজেশন রেশিও কম হয় তবে এটা কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়। হাতে থাকা দু’টি ক্রেডিট কার্ডের যথাযথ ব্যবহার করলে আপনার ক্রেডিট স্কোরে আর ততটা প্রভাব পড়বে না।
বলে রাখা ভালো, ক্রেডিট কার্ড তো শুধু ব্যবহার করলেই হল না, এর জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে বিল মেটাতে হবে। আর বিল মেটাতে ব্যর্থ হলে আপনাকে প্রতি মাসে ২.৫ থেকে ৩.৫ শতাংশ উচ্চ সুদের হারের পাশাপাশি লেট ফি দিতে হবে। সুতরাং, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে, এর বিল মেটানোর জন্য টাকা নিজের কাছে অর্থ আছে কি না, সেটা নিশ্চিত করুন।
আরও পড়ুন: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কাজটি না করলে আপনার মিউচুয়াল ফান্ড অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে যেতে পারে
