পোস্ট অফিসে এমনও কিছু ক্ষুদ্রসঞ্চয় প্রকল্প রয়েছে, যেগুলিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগের উপর কর ছাড় পাওয়া যায়। তবে, যাঁরা কর বাঁচাতে চান, তাঁদের মনে রাখা উচিত সমস্ত পোস্ট অফিস স্কিম আয়কর আইন, ১৯৬১-র ধারা ৮০সি-এর অধীনে করছাড়ের সুবিধা দেয় না।
যে স্কিমগুলি ধারা ৮০সি সুবিধা পাওয়া যায় না:
১. কিসান বিকাশ পত্র (KVP): কিসান বিকাশ পত্র ৮০সি ধারায় কর ছাড়ের জন্য যোগ্য নয়, অর্থাৎ রিটার্নের পরিমাণ সম্পূর্ণ করযুক্ত। সঞ্চিত সুদ বার্ষিক ভিত্তিতে প্রদান করা হয় এবং “অন্যান্য উৎস থেকে আয়”-এর অধীনে কর দেওয়া হয়।
২. পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট (৫ বছরের মেয়াদ ব্যতীত): আমানতকারীরা এক, দুই, তিন বা পাঁচ বছরের জন্য টাইম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। অন্যদিকে, আপনি পোস্ট অফিসে আবেদন করে আপনার অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বাড়াতে পারেন। ১ বছর, ২ বছর এবং ৩ বছরের সুদের হার যথাক্রমে ৬.৯%, ৭.০% এবং ৭.১%।
৩. পোস্ট অফিস মাসিক আয় স্কিম (MIS): একক ভাবে সর্বোচ্চ ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং যৌথ ভাবে সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। সর্বনিম্ন বিনিয়োগের পরিমাণ ১ হাজার ৫০০ টাকা। সাধারণের জন্য ৪০ হাজার এবং প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্জিত সুদের উপর টিডিএস কাটা হয়। বছরে ৭.৪% সুদ পাওয়া যাবে।
৪. মহিলা সম্মান সঞ্চয় প্রকল্প: ২০২৩ সালে চালু হয় এই প্রকল্প। মহিলাদের টাকা জমানোর অভ্যাস তৈরি করতেই এই প্রকল্পের সূচনা। এই প্রকল্পে বিনিয়োগে বয়সের কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। প্রকল্পের অধীনে প্রাপ্ত সুদের উপর কর প্রযোজ্য। অর্থাৎ, এই প্রকল্পে প্রাপ্ত রিটার্নে আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-এর অধীনে করছাড় পাওয়া যায় না।
৫. পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট: গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্ন স্কিমে বার্ষিক ৬.৭ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। পাঁচ বছরের লক-ইন পিরিয়ড রয়েছে। সুদের হার ত্রৈমাসিক চক্রবৃদ্ধি করা হয়। একজন ব্যক্তি বা সর্বোচ্চ ৩ জন প্রাপ্তবয়স্ক (যৌথ ‘এ’ বা যৌথ ‘বি’) অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। একজন আরডি অ্যাকাউন্টহোল্ডারকে মাসে ন্যূনতম ১০০ টাকা বা ১০ টাকার গুণিতকে বিনিয়োগ করতে হয়। সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনো সীমা নেই।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ হয়ে যেতে পারে মুহূর্তের ভুলে, এটিএম কার্ড নিয়ে এই সতর্কতাগুলি মেনে চলুন