প্যান কার্ড (PAN card) নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেনদেন আর সম্ভব নয়। কিছু ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিয়ে বিকল্প পথে সেই কাজ করা গেলেও অনেক কাজই অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোনো ব্যক্তির প্যান নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে কী ধরনের অসুবিধা হতে পারে।
প্যান নিষ্ক্রিয় হলে ১৫টি আর্থিক লেনদেন সীমাবদ্ধ
১. ব্যাঙ্ক অথবা সমবায় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট (১২ নম্বর পয়েন্ট উল্লিখিত টাইম ডিপোজিট এবং বেসিক সেভিংস ব্যাঙ্ক ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট ছাড়া) খোলা যাবে না।
২.ক্রেডিট কার্ড অথবা ডেবিট কার্ডের আবেদন জানানো যাবে না।
৩. ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না।
৪. হোটেল বা রেস্তোরাঁয় ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ পেমেন্ট একসঙ্গে করা যাবে না।
৫. বিদেশে ভ্রমণ বা এক সঙ্গে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থ লেনদেন করা যাবে না।
৬. মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কিনতে ৫০ হাজার টাকার বেশি পেমেন্ট করা যাবে না।
৭. কোনো সংস্থার ডিবেঞ্চার বা বন্ড কিনতে ৫০ হাজার টাকার বেশি পেমেন্ট করা যাবে না।
৮. ৫০ হাজার টাকার বেশি ব্যয় করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ইস্যু করা বন্ড কেনা যাবে না।
৯. ব্যাঙ্ক অথবা সমবায় ব্যাঙ্কে এক দিন ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ জমা করা যাবে না।
১০. ব্যাঙ্ক বা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে ব্যাঙ্ক ড্রাফ্ট বা পে-অর্ডার বা ব্যাঙ্কার চেক কেনার জন্য যে কোনো একদিনে ৫০ হাজার টাকা বেশি নগদ পেমেন্ট করা যাবে না।
১১. এক আর্থিক বছরে ব্যাঙ্ক, সমবায় ব্যাঙ্ক, এনবিএফসি-তে ৫ লক্ষ টাকার বেশি আমানত করা যাবে না।
১২. ব্যাঙ্কিং কোম্পানি বা সমবায় ব্যাঙ্ক বা অন্য কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদে বা ব্যাঙ্ক ড্রাফ্ট বা পে-অর্ডার বা ব্যাঙ্কারের চেকের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যাবে না।
১৩. জীবনবিমার প্রিমিয়াম হিসেবে একটি আর্থিক বছরে ৫০ হাজার টাকার বেশি জমা করা যাবে না।
১৪. সিকিউরিটিজ (শেয়ার ব্যতীত) বিক্রি বা কেনার জন্য একসঙ্গে ১ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন করা যাবে না।
১৫. স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এমন একটি কোম্পানির শেয়ার বিক্রি বা কেনার জন্য ১ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন করা যাবে না।
তথ্যসূত্র: ইকনোমিকস টাইমস
আরও পড়ুন: আধার কার্ডেরও কি মেয়াদ শেষ হয়? জানুন বৈধতা যাচাইয়ের পদ্ধতি