বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
ভারতে আইফোন উৎপাদনের জন্য বড়সড় বিনিয়োগ করছে অন্যতম বৃহৎ অ্যাপেল সরবরাহকারী পেগাট্রন
প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু কোভিড ১৯ কারণে পরিকল্পনা ধাক্কা খেয়েছে।

বাংলাBiz ডেস্ক : গত কয়েক মাস ধরে গুরুত্বপূর্ণ ফোন ব্র্যান্ডগুলি ভারতে উৎপাদন এবং রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এর মধ্যে যেমন স্যামসঙ, শাওমি মতো সংস্থাও যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে অ্যাপেলও।
উৎপাদনের পাশাপাশি কর্মসংস্থান, ট্রেনিং এবং দক্ষকর্মী তৈরির ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দিচ্ছে সংস্থাগুলি।
দ্বিতীয় বৃহত্তম আইফোন উৎপাদক সংস্থা ভারতে পেগাট্রন ভারতে আইফোন উৎপাদনের জন্য বড়মাপের বিনিয়োগে করছে। ইটির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতে প্রায় ১,১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে সংস্থাটি।
যদিও এই পরিমাণ অর্থ ঠিক কি কাজে লাগানো হবে জানা যায়নি। শুধু জানা গিয়েছে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে এই বিনিয়োগ করা হবে।
তাইওয়ানের এই বৃহত্তম উৎপাদক সংস্থাটি চেন্নাইয়ে নথীভুক্ত। কারখানা তৈরির জমি নিয়ে বর্তমানে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ২০২১ সালের শেষে দিকে অথবা ২০২২ সালে প্রথমে উৎপাদন শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে ।
প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু কোভিড ১৯ কারণে পরিকল্পনা ধাক্কা খেয়েছে। পেগাট্রন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘ কোভিড ১৯-এর কারণে কর্মীদের ভারতে যাওয়া ছিল, সে কারণে প্রকল্পের কাজে দেরি হয়েছে।’’
সংস্থাটি ইতিমধ্যে চিনে শ্রম-আইন লঙ্ঘনের মুখোমুখি হয়েছে।শিক্ষানবিশ কর্মীদের নাইটশিফট করানো এবং তাদের জন্য বরাদ্দকৃত কাজ বাধ্যতামূলক করার অভিযোগে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এই সমস্যা না মেটা পর্যন্ত তাদের ব্যবসা স্থগিত রাখার কথাও বলা হয়েছিল।
এই পরিস্থিতেই ভারতে তারা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
এই প্রথম মাত্র ৬১ টাকায় ফাইভ-জি ডেটা ভাইচার নিয়ে এল জিও
এই প্রথম অফিসিয়াল ফাইভ-জি ডেটা প্ল্যানের দাম শুধুমাত্র ৬১ টাকা রেখেছে জিও।

সাশ্রয়ী মূল্যের ফাইভ-জি ডেটা প্যাক চালু করেছে রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio)। এই প্যাকের দাম রাখা হয়েছে ৬১ টাকা। এই প্ল্যানের সঙ্গে ফাইভ-জি হাই-স্পিড ইন্টারনেট ডেটাও দিচ্ছে সংস্থা। তবে এই পরিষেবাটি শুধুমাত্র তাঁদের জন্য, যাঁরা জিও-র পক্ষ থেকে ওয়েলকাম অফার মেসেজ পেয়েছেন।
এই প্রথম অফিসিয়াল ফাইভ-জি ডেটা প্ল্যানের দাম শুধুমাত্র ৬১ টাকা রেখেছে জিও। এই প্ল্যানের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ৬ জিবি ফাইভ-জি ডেটা পেতে পারেন। তবে মাথায় রাখতে হবে, যে সমস্ত জিও ব্যবহারকারীরা ওয়েলকাম অফার পেয়েছেন, তাঁরা এই সুবিধা পেতে পারেন।
৬১ টাকার এই প্ল্যানে গ্রাহকরা ৬ জিবি ডেটা পাবেন, এটা মূলত একটি ডেটা ভাউচার প্ল্যান। এতে, ৬ জিবি ফাইভ-জি ডেটা ছাড়া গ্রাহকদের অন্য কোনো সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না।
অর্থাৎ এই প্ল্যানে কোনো ভ্যালিডিটি সুবিধা দেওয়া হবে না। নিয়মিত প্ল্যানটি সক্রিয় থাকা পর্যন্ত এই ভাউচারটি কাজ করবে।
এই প্ল্যানটি ছাড়াও, ১১৯, ১৪৯, ১৭৯, ১৯৯ এবং ২০৯ টাকার প্ল্যানও লঞ্চ করেছে জিও। সক্রিয় রিচার্জ প্ল্যান পর্যন্ত এগুলির বৈধতা থাকবে। এর মধ্যেও ব্যবহারকারীরা ৬ জিবি হাই-স্পিড ফাইভ-জি ইন্টারনেট ডেটা পাবেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকটি শহরে নিজের ফাইভ-জি পরিষেবা শুরু করেছে জিও। এখন ধীরে ধীরে নিজের কভারেজ প্রসারিত করছে সংস্থা। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই পুরো কলকাতা এই পরিষেবার আওতায় আসবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছে সংস্থা। কলকাতা ছাড়াও শিলিগুড়িতেও হাই-স্পিড ডেটা পরিষেবা পাবেন জিও ফাইভ-জি ব্যবহারকারীরা।
আরও পড়ুন: কর বাঁচাতে ভরসা রাখতে পারেন ইএলএসএস-এর উপর, কী ভাবে কাজ করে এই প্রকল্প
খবর
এখন নথি না থাকলেও আধারে ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে, জানুন পদ্ধতি
আধার ব্যবহারকারীরা সহজেই নতুন ঠিকানার কোনো নথি ছাড়াই আধার কার্ডে ঠিকানা পরিবর্তন বা আপডেট করতে সক্ষম হবেন।

আধার কার্ডে ঠিকানা আপডেট বা পরিবর্তন করার জন্য একটি নতুন প্রক্রিয়া চালু করেছে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI)। উল্লেখযোগ্য ভাবে, নতুন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, আধার ব্যবহারকারীরা সহজেই নতুন ঠিকানার কোনো নথি ছাড়াই আধার কার্ডে ঠিকানা পরিবর্তন বা আপডেট করতে সক্ষম হবেন। আগে আধার কার্ডে ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ইউআইডিএআই ওয়েবসাইটে নতুন ঠিকানার একটি প্রমাণ আপলোড করতে হতো।
পরিবারের প্রধানের সঙ্গে সম্পর্কের প্রমাণ
ইউআইডিএআই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অনলাইনে আধারের ঠিকানা পরিবর্তন করতে গিয়ে অনেক সময় প্রয়োজনীয় নথি থাকে না অনেকের। কিন্তু বাসস্থান পরিবর্তনের সঙ্গেই এই কাজটি সেরে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ। ফলে নতুন নিয়মে এই ধরনের সুবিধা লক্ষ লক্ষ মানুষের কাজে লাগবে”।
বর্তমানে আধারের ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য যে পদ্ধতি চালু রয়েছে, সেটাও থাকবে। একই সঙ্গে নতুন এই পদ্ধতি অবলম্বন করে ঠিকানা পরিবর্তনও করা যাবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “১৮ বছরের বেশি বয়সি যে কোনো বাসিন্দা এই উদ্দেশ্যে একজন পরিবারের প্রধান হতে পারেন এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁর বা তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে ঠিকানা আপডেট করতে পারেন”।
নতুন ঠিকানার নথি না লাগলেও এই প্রক্রিয়ায় আবেদনকারী এবং পরিবারের প্রধানের সম্পর্কের প্রমাণ জমা দিতে হবে। আধারে ঠিকানা পরিবর্তনটি সম্পর্কের প্রমাণপত্র জমা দিয়ে করা পারে যেমন –রেশন কার্ড, মার্কশিট, বিবাহের শংসাপত্র, পাসপোর্ট বা আবেদনকারী এবং পরিবারের প্রধান, উভয়ের নাম উল্লেখ রয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ।
কত টাকা লাগবে
এর জন্য ফি লাগবে ৫০ টাকা। টাকা জমা দেওয়ার পর সার্ভিস রিকোয়েস্ট নম্বর (SRN) দেওয়া হবে আবেদনকারীকে। ঠিকানা আপাডেটের অবস্থান সম্পর্কে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানিয়েও দেওয়া হবে। অনুরোধটি অনুমোদন করতে হবে পরিবারের প্রধানকে। বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে মাই আধার পোর্টালে (My Aadhaar portal) লগ-ইন করে সম্মতি জানাতে হবে। তার পরই আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।
তবে মনে রাখতে হবে, এই পদ্ধতিতে আবেদন বাতিল করার সুবিধাও রয়েছে। এটাও এসএমএস-এর মাধ্যমে করা যাবে। তবে আবেদনটি বাতিল করলে ফি হিসেবে জমা দেওয়া ৫০ টাকা আর ফেরত দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে কী ভাবে ট্যাক্সের বোঝা কমাবেন, রইল টিপস
খবর
কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ, সাহায্য করছে এই সরকারি পোর্টাল
এনসিএস পোর্টালে এমন ১০ লক্ষেরও বেশি কর্মপ্রার্থী নাম নথিভুক্ত করেছেন, যাঁরা সেখান থেকেই অনেকে ভালো কাজেরও সুযোগ পেয়েছেন।

দেশের বেকারত্ব দূর করতে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সাধারণ যুবক-যুবতীদের কাছে পৌঁছে দিতে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ন্যাশনাল কেরিয়ার সার্ভিস (NCS) পোর্টাল চালু করেছিল কেন্দ্র। অসংখ্য তরুণ-তরুণী এই পোর্টাল থেকে সুবিধা নিয়ে চলেছেন। সারা দেশে প্লাম্বার, শিক্ষক এবং আইটি বিশেষজ্ঞের মতো শূন্য পদের তথ্য রয়েছে এই পোর্টালে।
ই-শ্রম নিবন্ধক এনসিএস পোর্টাল
শুক্রবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ই-শ্রম (e-Shram) নিবন্ধক এনসিএস পোর্টালে এমন ১০ লক্ষেরও বেশি কর্মপ্রার্থী নাম নথিভুক্ত করেছেন, যাঁরা সেখান থেকেই অনেকে ভালো কাজেরও সুযোগ পেয়েছেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের নেতৃত্বে সংসদীয় পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। বলে রাখা ভালো, ই-শ্রম পোর্টালটি ২০২১ সালের আগস্টে চালু করা হয়েছিল। যেখানে কর্মরতদের সঙ্গে শ্রমিক এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রকে সাহায্য করার জন্য একটি ডাটাবেস তৈরি করা হয়। এখনও পর্যন্ত, প্রায় ২৮ কোটি ৫০ লক্ষ ই-শ্রম কার্ড ইস্যু করা হয়েছে।
বেসরকারি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে গাঁটছড়া
মন্ত্রক বলেছে, পোর্টালটি ২৭টি রাজ্য এবং মনস্টার ইন্ডিয়া, নকরি ডট কম, ফ্রেশার্সওয়ার্ল্ড, মেরা জব-এর মতো বেশ কয়েকটি বেসরকারি পোর্টালের সঙ্গেও একত্রিত হয়েছে। ওই বেসরকারি প্ল্যাটফর্মগুলিও চাকরি খুঁজে পেতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেলা পর্যায়ে কেরিয়ার সম্পর্কিত পরিষেবা প্রদানের জন্য ৩৭০টি মডেল কেরিয়ার সেন্টার স্থাপনেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কী ভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন
এনসিএস পোর্টালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, ncs.gov.in-এ গিয়ে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি কাছের কোনো মডেল কেরিয়ার সেন্টার, কমন সার্ভিস সেন্টার বা পোস্ট অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। রেজিস্ট্রেশনের সময় যে কোনো সহায়তার জন্য, 1800-425-1514 নম্বরে কল করে যাবতীয় বিষয় জেনে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: তিন মাসে সবচেয়ে বড় ধাক্কা, শেয়ার বাজারে ব্যাপক লোকসান বিনিয়োগকারীদের
-
খবর3 months ago
আশঙ্কা বাড়িয়ে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্কের পর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমাল মুডিজও
-
ফিনান্স3 months ago
বিনিয়োগের তালিকায় কেন রাখতেই হবে আপৎকালীন তহবিল
-
বিমা4 months ago
স্বাস্থ্য বিমা করাবেন? এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন
-
বিমা4 months ago
মানসিক সমস্যায় কি স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাওয়া যায়?
-
ফিনান্স2 months ago
বাড়িতে বসে কী ভাবে ইপিএফ ক্লেম স্ট্যাটাস জানবেন, রইল সহজ পদ্ধতি
-
খবর5 months ago
SIP: সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এসআইপি
-
ফিনান্স5 months ago
বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন? তা হলে এই ৫টি টিপসে চোখ বুলিয়ে নিন
-
খবর5 months ago
মুনলাইটিং কী? এই পদ্ধতি নিয়ে কেন কর্মীদের সতর্ক করল ইনফোসিস