বিবি ডেস্ক : সরকারের নয়া ই-কমার্স বিধিতে ধাক্কা খাবে তাদের ‘বিজনেস মডেল’—সরকারি আধিকারিকদের এমনটাই জানিয়েছে অ্যামাজন এবং টাটা গ্রুপ। বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল চারটি সূত্র এই আলোচনার বিষয়টি সংবাদসংস্থা রয়র্টাসকে নিশ্চিত করেছে।
উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক এবং সরকারের বিনিয়োগ প্রমোশন শাখা, ইনভেস্ট ইন্ডিয়া আয়োজিত একটি বৈঠকে একাধিক আধিকারিক বিষয়টি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারের এই নয়া বিধি নিয়ে মতামত জানানোর জন্য ৬জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা ঠিক করা হয়েছিল। সেই সময়সীমা বাড়ানো হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
গত ২১ দুন সরকার নয়া ই-কমার্স বিধির ঘোষণা করে। এই বিধির লক্ষ্য হল গ্রাহকের সুরক্ষাকে জোরদার করা। যা নিতে ইতিমধ্যেই প্রচুর অভিযোগ জমা হয়েছে মন্ত্রকের কাছে।
নয়া বিধি ফ্ল্যাশ সেলকে সীমাবদ্ধ করবে। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপণগুলি বাদ দেওয়া এবং অভিযোগের বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া।
কিন্তু এই বিধি লাগু হলে বিপাকে পড়বে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট মতো সংস্থাগুলি। কারণ তাদের ব্যবসা কাঠামো নিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে।
এই বিধি সংস্থাগুলির ঘরোয়া প্রতিদ্বন্দ্বী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের জিওমার্ট, বিগবাস্কেট এবং স্ন্যাপডিলের ব্যয় বাড়িয়ে দেবে।
অ্যামাজন যুক্তি দিয়েছে, কোভিড ১৯ জেরে এমনিতেই ছোট ব্যবসায় মন্দা চলছে। প্রস্তাবিত বিধি মারাত্মক প্রভাব ফেলবে তাদের সেলারদের উপর। সূত্র জানিয়েছে, নয়া বিধির বেশকিছু ধারা ইতিমধ্যেই বর্তমান আইনে রয়েছে।
যে এই আলোচনা ব্যক্তিগত স্তরে হয়েছে তাই সূত্ররা কেউই নাম প্রকাশ করতে চায়নি।
টাটা গ্রুপের হোল্ডিং কোম্পানি টাটা সন্স প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন বিষয়টি তাদের কাছে সমস্যার তৈরি করবে। কারণ, তাদের অনলাইন ব্যবসায়ে জয়েন্ট ভেঞ্চারে নিজেদের প্রোডাক্ট দেয় স্টারবাকস। তারা তা দেওয়া বন্ধ করে দেবে।
সূত্রের খবর, টাটার আধিকারিকরা বৈঠকে জানিয়েছেন এটি বেসরকারি ব্র্যান্ডের বিক্রিকে সীমাবদ্ধ করে দেবে।
রিলায়েন্সের আধিকারিক অবশ্য জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত বিধি গ্রাহকের আস্থাকে বাড়াবে। তবে তিনি কয়েকটি ধারার স্পষ্টকরণের প্রয়োজন রয়েছে।
সূত্রগুলি জানিয়েছে, উপভোক্তা মন্ত্রকের এক আধিকারিক যুক্তি, গ্রাহকদের সুরক্ষা দেওয়ার উদ্দেশেই এই নিয়মগুলি করা হয়েছে। তবে ওগুলি অন্য দেশের মতো অতো কঠোর না।
যদিও সরকারি ভাবে কেউই এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন