নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের মুদ্রা যোজনা (Mudra Yojana)-র সুবিধা পেয়েছেন প্রায় ৪১ কোটি গ্রাহক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) জানালেন, এখনও পর্যন্ত ২৩.২ লক্ষ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে এই প্রকল্পের অধীনে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (PMMY) প্রকল্পের অধীনে যে অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে, তার ৬৮ শতাংশ অ্যাকাউন্ট গিয়েছে মহিলা উদ্যোক্তা এবং ৫১ শতাংশ অ্যাকাউন্ট তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বিভাগের উদ্যোক্তাদের।
২৩.২ লক্ষ কোটি টাকা মঞ্জুর
এই প্রকল্পের অধীনে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি গত আট বছরে ৪০.৮২ কোটি সুবিধাভোগীকে ২৩.২ লক্ষ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। প্রকল্পের আট বছর পূর্তি উপলক্ষে বক্তৃতা করার সময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, মহিলা ও সংরক্ষিত বিভাগের উদ্যোক্তাদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রক বলেছে, পিএমএমওয়াই-এর অধীনে এই ঋণ সদস্য ঋণদানকারী সংস্থাগুলি (এমএলআই), ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থাগুলি (এনবিএফসি), ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান (এমএফআই) এবং অন্যান্য আর্থিক মধ্যস্থতাকারীরা সরবরাহ করে।
এই প্রকল্পের প্রশংসা করে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, “স্কিমটি ক্ষুদ্র-উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়ার সহজ এবং ঝঞ্ঝাটমুক্ত একটি পদ্ধতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক তরুণ উদ্যোক্তাকে তাঁদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছে মুদ্রা যোজনা।”
কী এই পিএম মুদ্রা যোজনা (পিএমএমওয়াই)?
২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল চালু করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মূদ্রা যোজনা (PMMY)। অ-কর্পোরেট, অ-কৃষি ছোটো এবং ক্ষুদ্র-উদ্যোক্তাদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহজে জামানত-মুক্ত ক্ষুদ্র-ঋণ প্রদানের সুবিধার্থে এই প্রকল্প চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে ছোটো উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করাও এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। এর আওতায় তিনটি বিভাগে ঋণ দেওয়া হয়। শিশু, কিশোর ও তরুণ নামে তিনটি বিভাগ রয়েছে।
তিনটি বিভাগ
শিশু ঋণ- এর আওতায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়।
কিশোর ঋণ- কিশোর ঋণের অধীনে ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়।
তরুণ ঋণ- ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণগুলি তরুণের আওতায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, আপনি যদি নিজের ব্যবসা শুরু করার জন্য এই ঋণ পেতে চান, তা হলে আপনাকে বাড়ির মালিকানার কাগজ বা ভাড়ার নথি, কাজ সম্পর্কিত তথ্য, আধার, প্যান নম্বর-সহ আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে রেখে ব্যাঙ্কের শাখায় যোগাযোগ করতে হবে।
আধারে ঠিকানা আপডেট করতে চান? ধাপে ধাপে জানুন প্রক্রিয়া
Discover more from banglabiz
Subscribe to get the latest posts sent to your email.