নয়াদিল্লি: মূল্যবৃদ্ধির ঠেলায় এমনিতেই নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। এরই মধ্যে আশংকা, ধান উৎপাদনে ঘাটতির কারণে দাম বাড়তে পারে চালের।
সম্প্রতি, খাদ্যশস্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে খুচরো মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। এই বৃদ্ধির ফলে খুচরো মূল্যস্ফীতি আগস্টে তিন মাসের পতনশীল প্রবণতাকে ফিরিয়ে এনেছে।
অন্য দিকে, ১১ মাসের সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে পাইকারি মূল্য সূচক। দেশের বেশ কিছু অংশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ডাল ও গমের উৎপাদনও হ্রাস পেয়েছে। এরই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ধান উৎপাদনে ঘাটিতর আশংকা।
ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাইকারি দাম ১০.৭ শতাংশ বেড়ে কুইন্টাল প্রতি ৩,৩৫৭.২ টাকা হয়েছে, যা এক বছর আগে ছিল ৩,০৪৭.৩২ টাকা। খুচরো দাম ৯.৪৭ শতাংশ বেড়ে ৩৪.৮৫ টাকা প্রতি কেজি থেকে ৩৮.১৫ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে।
কী কারণে আংশকা
জুন-সেপ্টেম্বরের অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বৃষ্টিপাতের বিদায়ে বিলম্ব হওয়ায় ধানের ফসল নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
গত জুন মাসে শেষ হওয়া ২০২১-২২ শস্য বছরে রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদিত হয়েছে এ দেশে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে উৎপাদিত হয়েছে ১৩০.২৯ মিলিয়ন টন ধান। যা আগের বছর ছিল ১৪.৩৭ মিলিয়ন টন।
কিন্তু চলতি বছরের খরিফ মরশুমে ধান উৎপাদনে ৬.৭ মিলিয়ন টন ঘাটতির আশংকা করছে খাদ্যমন্ত্রক।
কেন্দ্রের পদক্ষেপ
একাংশের মতে, এখনও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। দেশে যে মজুত রয়েছে, তা গণবণ্টন ব্যবস্থার চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট। এ ছাড়াও বিদেশে ভাঙা চালের রফতানি (খুদ) বন্ধ করেছে সরকার। গত ৯ ভাঙা চালের রফতানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গত বছরের খারিফ মরশুমে যে পরিমাণ চাল উৎপন্ন হয়েছিল, এ বছর সেই পরিমাণটা তুলনায় অনেকটাই কম ৷ এই অবস্থায় ভাঙা চালের রফতানি বিদেশে অব্য়াহত রাখলে দেশীয় বাজারে চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে সমস্যা তৈরি হবে ৷ পাশাপাশি বাসমতী ও সেদ্ধ চাল বাদে বাকিগুলিতে ২০% রফতানি শুল্ক বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরও ঋণ নিতে আইন সংশোধন করছে ঋণের ভারে জর্জরিত রাজ্য