কলকাতা : উৎসবের আগে খুচরোয় টান পড়েছে। ২, ৫, ১০ টাকার কয়েন বাজারে এখন প্রায় অমিল। তার বদলে হাতে হাতে ঘুরছে ময়লা এবং ছেঁড়া নোট। ফলে, অনেকেই সেই টাকা নিতে চাইছে না। ময়লা নোট দেওয়া-নেওয়া নিয়ে ঝগড়া বেধে যাচ্ছে নিত্যদিন।
নোট বন্দির পর খুচরো নিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছিল শহরবাসীকে। ২০০ টাকার নতুন নোট আসার পর বাজারে তা দিয়ে কিছু কিনলেই বিক্রেতারা বাকি টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন কয়েনে। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই আবার দেখা দিল খুচরো সমস্যা।
নোট বন্দির পর যেখানে খুচরো দিলেই মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যাচ্ছিল অটোচালকদের এখন সেখানেই ৭ টাকা কিংবা ৮ টাকা অটো ভাড়া খুচরোতেই চাইছেন চালকরা। এমনকি পাঁচ টাকার লজেন্স কিনতে হলে দশ টাকার নোট চেয়ে নিচ্ছেন দোকানদারেরা। ৫০ টাকার নোট থাকলেও ভাঙিয়ে দিচ্ছেন মাত্র ৫ টাকার জিনিস কেনাতেই।
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের রাজেন নাগর জানিয়েছেন, কারেন্সি তে দুরকম নোট থাকে। একটা ইস্যুইং আর একটা নন–ইস্যুইং। নন–ইস্যুইংগুলো ব্যবহারযোগ্য নয়। বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর এরকম ১০, ২০, ৫০ টাকার নোট আবার ব্যাংকের শাখাগুলোর মাধ্যমে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নতুন ছোট নোট ছাপাও বন্ধ রয়েছে। যা এই রকম পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
অল ইন্ডিয়া ব্যাংক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন নোট ছাপা থামিয়ে রাখা হয়েছে খরচ কমাতে। আর সেই কারণেই পুরনো নোট ফের বাজারে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ছিঁড়ে বা ময়লা হয়ে গেলে অনেকেই সেই নোট ব্যাংকে জমা দিয়ে দেন। সেগুলিকে নন–ইস্যুইং তালিকাভুক্ত করে বাতিল করা হয়। একটা নির্দিষ্ট সময় পর সেগুলিকে নষ্ট করে দেওয়াই নিয়ম। এখন সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না। আর এই ফিরে আসা ছেড়া, ময়লা নোট আরও বেশি সময় ধরে হাতবদল হওয়ায় সেগুলোর অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠছে। অন্যদিকে, কয়েনের উৎপাদনেও রাশ টানা হয়েছে।