খবর
“এখন থেকে আমাদের মন্ত্র শুধু ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নয়, ‘মেক ফর ওয়ার্ল্ড’ও”, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
এটা খুব আশার কথা যে বিশ্ব যখন কোভিডের সঙ্গে যুঝছে, তখনও একের পর এক কোম্পানি ভারতে বিনিয়োগের দিকে তাকিয়ে আছে।

বাংলাbiz ডেস্ক: দেশে ১১০ লক্ষ কোটি টাকার জাতীয় পরিকাঠামো প্রকল্প (National Infrastructure Projects) তৈরি করা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৭ হাজার প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল ভারতকে আন্তর্জাতিক নির্মাণশিল্পের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা। এর ফলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে, পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থানও। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে এ এক ধরনের বিপ্লব।
শনিবার লালকেল্লা থেকে ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উপলক্ষ্যে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)।
আরও পড়ুন: প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য হেল্থ আইডি কার্ড, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত অর্থ বছরে দেশে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) ১৮ শতাংশ বেড়েছে। এই বৃদ্ধি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এটা খুব আশার কথা যে বিশ্ব যখন কোভিডের সঙ্গে যুঝছে, তখনও একের পর এক কোম্পানি ভারতে বিনিয়োগের দিকে তাকিয়ে আছে।
“ভারত আর কত দিন দেশের বাইরে কাঁচামাল পাঠিয়ে বিদেশে তৈরি হওয়া পণ্য আমদানি করবে?”, প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আত্মনির্ভর ভারত মানে শুধু আমদানি ছাঁটাই করাই নয়, পাশাপাশি নিজেদের ক্ষমতা, সৃজনশীলতা ও দক্ষতা বাড়ানো। আমাদের দৃষ্টিটা আরও প্রসারিত করতে হবে, শুধু ভারতের জন্যই নয়, বিশ্বের জন্যও তৈরি করতে হবে।”
বিশ্বের বড়ো বড়ো কোম্পানি আজ ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে – এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের মন্ত্র এখন থেকে শুধু ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নয়, ‘মেক ফর ওয়ার্ল্ড’ও।”
‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর (Atmanirbhar Bharat) উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কয়েক মাস আগে পর্যন্তও আমরা এন-৯৫ মাস্ক, পিপিই আর ভেন্টিলেটর অন্য দেশ থেকে আমদানি করতাম। কিন্তু এখন আমরা নিজেরাই এর উৎপাদন এমন ভাবে করছি যে নিজের দেশের চাহিদা পূরণ তো হচ্ছেই, পাশাপাশি অন্য দেশকেও সাহায্য করতে পারছি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কিছু দিন আগেও ভারতে করোনা পরীক্ষার একটিমাত্র ল্যাবরেটরি ছিল, আজ দেশে ১৪০০ ল্যাবরেটরি আছে। “আমাদের নীতি, আমাদের পদ্ধতি, আমাদের পণ্য বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ হবে।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “সব ভারতীয়ের মনোভাব হওয়া উচিত ‘ভোকাল ফর লোকাল’। আমাদের দেশে তৈরি পণ্যের জন্য গলা ফাটাতে হবে। সেটা না করলে এই আমাদের স্থানীয় পণ্য উৎসাহ পাবে না।”
‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর মধ্যে ‘আত্মনির্ভর কৃষি’ আর ‘আত্মনির্ভর কৃষককে’ সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে সে কথা প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি জানান, কৃষকদের আধুনিক পরিকাঠামো প্রদান করার জন্য এক লক্ষ কোটি টাকার ‘কৃষি পরিকাঠামো ফান্ড’ তৈরি করা হয়েছে।
খবর
বাজেট ২০২৩: রেলপথ, রাস্তার জন্য বাড়তি বরাদ্দের প্রত্যাশা
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এ বারের বাজেটে একাধিক চমক থাকতে পারে বলে ধারণা করছে ওয়াকিবহাল মহল।

নয়াদিল্লি: আগামী ১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩-২৪ পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতরমন। এটা তাঁর পঞ্চম বাজেট। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এ বারের বাজেটে একাধিক চমক থাকতে পারে বলে ধারণা করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বিশ্লেষকদের ধারণা, এ বারের বাজেট বাড়তি গুরুত্ব পেতে চলেছে রেলপথ ও সড়ক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। বিশ্বব্যাপী মন্দার প্রভাব স্পষ্ট হলেও ভারত যে সেই আঁচ এড়াতে সক্ষম, সেই বার্তা পৌঁছে দিতে চাইবেন অর্থমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিভিন্ন দেশের মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কমাতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ।
এমন পরিস্থিতিতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগে নজর দিচ্ছে বেসরকারি সংস্থাগুলি। ইস্পাত এবং সিমেন্টের মতো মূল উপকরণগুলির চাহিদা তৈরি করতে কেন্দ্রীয় সরকারও পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যায় বরাদ্দ বাড়াতে চাইছে।
২০২০ সালে কোভিড অতিমারির পর থেকে বিভিন্ন মন্ত্রক এবং বিভাগগুলিতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কন্ট্রোলার জেনারেল অব অ্যাকাউন্টস (CAG)-এর প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সড়ক পরিবহণ এবং রেলপথের মতো ক্ষেত্রগুলিতে বার্ষিক বরাদ্দের প্রায় ৮০ শতাংশ খরচ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছে সড়ক ও জাতীয় সড়ক মন্ত্রক। যা ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে এই খাতে বরাদ্দের প্রায় ৮০ শতাংশ।
একই ভাবে, বেশ কয়েক বছর ধরে পিছিয়ে থাকা রেলের ব্যয়ও বেড়েছে। সম্পদ তৈরির জন্য ১.১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছে ভারতীয় রেল, যা বাজেট বরাদ্দের প্রায় ৮৪ শতাংশ।
সবমিলিয়ে, সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এ বারের বাজেটে বাড়তি উৎসাহ পেতে চলেছে এই দুই মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই আগত বছরের পরিকল্পনাগুলিও তৈরি করে ফেলেছে তারা। সেই মতোই নির্ধারিত হতে চলেছে সরকারি বরাদ্দের পরিমাণ।
আরও পড়ুন: চাহিদা বাড়ায় দু’বছরে এই প্রথম লাভের মুখ দেখল টাটা মোটরস, আয় বাড়ল ২৩ শতাংশ
খবর
চাহিদা বাড়ায় দু’বছরে এই প্রথম লাভের মুখ দেখল টাটা মোটরস, আয় বাড়ল ২৩ শতাংশ
২০২২-২৩ আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আয়-ব্যায়ের খতিয়ান পেশ করে এমনটাই জানিয়েছে দেশের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা সংস্থা।

করোনা মহামারিতে মার খেয়েছিল গাড়ি বাজার। ধীরে ধীরে বেড়েছে চাহিদা। যাত্রীবাহী গাড়ির পাশাপাশি মাঝারি এবং ভারী বাণিজ্যিক যানবাহনের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে নির্মাতা টাটা মোটরস (Tata Motors) শেষ ত্রৈমাসিকে উল্লেখযোগ্য লাভের মুখ দেখেছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আয়-ব্যায়ের খতিয়ান পেশ করে এমনটাই জানিয়েছে দেশের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা সংস্থা।
ডিসেম্বরে শেষ হওয়া তৃতীয় ত্রৈমাসিকে টাটা মোটরসের একত্রিত নিট মুনাফার পরিমাণ ২ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকার বেশি। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের একই সময়ে নিট লোকসানের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫১৬ কোটি। এবং তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, চলতি আর্থিক বছরের সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ৯৪৪ কোটি টাকার নিট লোকসানের কথা জানিয়েছিল সংস্থা।
এই সময়কালে সংস্থার অন্যতম গাড়ি জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার থেকে একত্রিত রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ৪৮৮ কোটি। যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ২২.৫ শতাংশ।
সংস্থার দাবি, উল্লেখযোগ্য হারে লাভ বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে উত্তরোত্তর বেড়ে চলা গাড়ির চাহিদা। স্টক এক্সচেঞ্জে পেশ করা রিপোর্টে সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়ে তারা যথেষ্ট আশাবাদী। লাভজনক বৃদ্ধি, সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহের উন্নতি এবং স্থিতিশীল পণ্যের দামের উপর লক্ষ্য রাখছে সংস্থা।
আরও পড়ুন: সময়ের আগেই হোম লোন মেটাতে চান? জানুন দুর্দান্ত কিছু টিপস
খবর
কলকাতায় প্রথম শাখা খুলল ফিনকেয়ার স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক
এই শাখা উদ্বোধনের সঙ্গেই ফিনকেয়ার পূর্ব ভারতে যাত্রা শুরু করল।

কলকাতা: শহরে নিজের প্রথম শাখা উদ্বোধন করল ফিনকেয়ার স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক (Fincare Small Finance bank)। এই শাখা উদ্বোধনের সঙ্গেই ফিনকেয়ার পূর্ব ভারতে যাত্রা শুরু করল। আধুনিক প্রযুক্তি, সর্বোত্তম-শ্রেণির পণ্য ও পরিষেবা এবং দক্ষ কর্মীদের সাহায্যে গ্রাহকের ব্যাঙ্কিং চাহিদা মেটাতে ব্যাঙ্ক প্রস্তুত।
নতুন শাখা খোলার বিষয়ে ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার রাজীব যাদব বলেন, “ফিনকেয়ার কলকাতার বাসিন্দাদের সেবা করতে পেরে রোমাঞ্চিত। ব্যাঙ্কের লক্ষ্য হল ব্যাঙ্কিং চাহিদার কথা মাথায় রেখে সুবিধা-ভিত্তিক সমাধানগুলি অফার করা৷ আমরা শহর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল জুড়ে গ্রাহকদের সম্পূর্ণ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সরবরাহ করার লক্ষ্য রাখি। কলকাতার এই শাখাটি উচ্চ সুদে সেভিংস অ্যাকাউন্ট, সুইপ ইন- সুইট আউট কারেন্ট অ্যাকাউন্ট এবং কিউআর কোড সুবিধা, সোনার বিপরীতে ঋণ-সহ আরও অনেক পরিষেবা দেবে”।
যাদব আরও জানান, “গ্রাহকরা নিয়মিত ব্যাঙ্কিং চ্যানেলের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ এবং ভিডিও ব্যাঙ্কিংয়ের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন৷ এ ছাড়া ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস (UPI)-এর মাধ্যমেও লেনদেনের সুবিধা পাওয়া যাবে। ব্যাঙ্ক একটি “স্মার্ট ব্যাঙ্কিং” পদ্ধতি গ্রহণ করেছে যা এটিকে ভারত জুড়ে আধুনিক এবং সুবিধাজনক ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলির একটি পছন্দের প্রদানকারী করে তুলেছে”।
২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের ১৯টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৩২ লক্ষেরও বেশি গ্রাহককে পরিষেবা দিয়েছে ব্যাঙ্ক। ১২ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন ফিনকেয়ারে।
আরও পড়ুন: অর্থবর্ষ প্রায় শেষ, আয়কর বাঁচানোর ব্রহ্মাস্ত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তো?
-
খবর3 months ago
আশঙ্কা বাড়িয়ে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্কের পর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমাল মুডিজও
-
ফিনান্স3 months ago
বিনিয়োগের তালিকায় কেন রাখতেই হবে আপৎকালীন তহবিল
-
বিমা4 months ago
মানসিক সমস্যায় কি স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাওয়া যায়?
-
বিমা4 months ago
স্বাস্থ্য বিমা করাবেন? এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন
-
ফিনান্স2 months ago
বাড়িতে বসে কী ভাবে ইপিএফ ক্লেম স্ট্যাটাস জানবেন, রইল সহজ পদ্ধতি
-
খবর5 months ago
মুনলাইটিং কী? এই পদ্ধতি নিয়ে কেন কর্মীদের সতর্ক করল ইনফোসিস
-
খবর5 months ago
SIP: সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এসআইপি
-
ফিনান্স5 months ago
বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন? তা হলে এই ৫টি টিপসে চোখ বুলিয়ে নিন