বাংলাbiz ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাঁর প্রশাসন যে কোনো বিপদে ভারতের পাশে দাঁড়াবে। এই প্রতিশ্রুতি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বিডেন। তিনি দু’ দেশের ‘বন্ধন’ আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানান।
আগামী নভেম্বরের ৩ তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দ্বিতীয় বার মসনদ দখল করার লক্ষ্যে লড়ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন ৭৭ বছর বয়সি জো বিডেন।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের এক সভায় বিডেন বলেন, “১৫ বছর আগে ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক অসামরিক পরমাণু চুক্তিটি অনুমোদন করার ব্যাপারে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তার পুরোভাগে আমি ছিলাম। আমি বলেছিলাম, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ভারত ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর শরিক হয়, তা হলে বিশ্ব নিরাপদ জায়গা হয়ে উঠবে।” উল্লেখ্য, ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ে বিডেন ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
বিডেন বলেন, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, সেই বিশ্বাসেই আস্থা রেখে যাবেন এবং ভারতকে কেউ হুমকি দিলে, তা সে দেশের ভেতর থেকেই হোক বা সীমান্ত থেকেই হোক, সব সময় তাদের (ভারতের) পাশে থাকবেন।
প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিডেন আরও বলেন, দু’ দেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য প্রসারিত করার ব্যাপারে তিনি কাজ করে যাবেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য নিরাপত্তা প্রভৃতি আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন।
যে সব গণতান্ত্রিক দেশে বৈচিত্র্য হল একটা পারস্পরিক শক্তি, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে সেই সব গণতান্ত্রিক দেশকে আরও শক্তিশালী করার জন্য তিনি কাজ করবেন বলে জানালেন জো বিডেন।
“আমাদের দুই রাষ্ট্র এবং জনগণের মধ্যে যে বন্ধন রয়েছে, আসুন এই দিকে তা আরও দৃঢ় করার শপথ নিই”, বলেন বিডেন।
ওই সভায় বিডেন তাঁর দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের প্রসঙ্গ তোলেন। নির্বাচনে নিজের সঙ্গী হিসেবে ৫৫ বছর বয়সি অ-শ্বেতাঙ্গ এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা কমলা হ্যারিসকে বেছে নিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন বিডেন। এই প্রথম আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য অ-শ্বেতাঙ্গ কোনো ব্যক্তি লড়াই করছেন।
বিডেন বলেন, “আমরা সবাই জানি ও খুব স্মার্ট, ও নানা ভাবে পরীক্ষিত, ও প্রস্তুত। কিন্তু কমলার ক্ষেত্রে যে বিষয়টা সব চেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দেয় তা হল অভিবাসী হিসাবে ওর মায়ের ভারত থেকে আমেরিকায় চলে আসার কাহিনি। শুধুমাত্র সাহসে ভর করে চলে এসেছিলেন তিনি আর সেই সাহসই তাঁর মেয়েদের আজ এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। আমি জানি আপনারা এর জন্য গর্ব অনুভব করছেন। কারণ এ তো আপনাদেরও কাহিনি।”
সমবেত জনমণ্ডলীর উদ্দেশে বিডেন বলেন, “নিজেদের আত্মত্যাগ, নিজেদের পরিবারের সাহসের জন্যই তো আজ আপনারা আমাদের জাতির, আমাদের দেশের স্তম্ভ হয়ে উঠেছেন। আপনারা এই অতিমারি পরিস্থিতিতে সামনের সারিতে রয়েছেন, আপনারা দেশপ্রেমী। আপনারা প্রকৃত অর্থে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, আমেরিকা এমন একটা জায়গা যেখানে সব বর্ণের, সব ধর্মের, সব জাতের মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে এক সঙ্গে বসবাস করতে পারেন।”