খবর
তেল রাজনীতির শিকার কেন্দ্রেরই তেল সংস্থাগুলি, ক্ষতি ২১ হাজার কোটির!
প্রায় সাত মাস ধরে দেশে তেলের দাম স্থির। কখনও উত্তরপ্রদেশ তো কখনও পশ্চিমবঙ্গের ভোটের জন্য চাইলেও তেলের দাম বাড়াতে পারেনি তেল সংস্থাগুলি। আর এর ফলে বিপুল লোকসানের মুখে পড়ল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি।

বিবি ডেস্ক: প্রায় সাত মাস ধরে দেশে তেলের দাম স্থির। কখনও উত্তরপ্রদেশ তো কখনও পশ্চিমবঙ্গের ভোটের জন্য চাইলেও তেলের দাম বাড়াতে পারেনি তেল সংস্থাগুলি। আর এর ফলে বিপুল লোকসানের মুখে পড়ল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে ইন্ডিয়ান অয়েল (আইওসি, IOC), হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম (এইচপিসিএল, HPCL) এবং ভারত পেট্রোলিয়ামের (বিপিসিএল, BPCL) মোট লোকসান দাঁড়াল ২১,২০১.১৮ কোটি টাকা।
কত টাকার ক্ষতি
পরিসংখ্যান বলছে, টানা ছ’মাসে এত বেশি আর্থিক ক্ষতি এর আগে কখনও বইতে হয়নি দেশের তেল সংস্থাগুলিকে। তারা শেয়ার বাজারকে (Share Market) জানিয়েছে, পেট্রল (Petrol), ডিজ়েল (Diesel) ও রান্নার গ্যাস বিক্রির ‘মার্জিন’ (খরচের অনুপাতে আয়) কমাই এর কারণ। এপ্রিল-জুনে মোট লোকসান ছিল ১৮,৪৮০ কোটি টাকা। জুলাই-সেপ্টেম্বরে তা অনেক কম, ২৭৪৮.৬৬ কোটি।
তবে সংস্থা সূত্রের দাবি, সেটা এই সময় সরকার এলপিজি-র ক্ষতি ভরতে তাদের এককালীন ২২,০০০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছিল বলে। না হলে লোকসান আরও অনেক বেশি হত। তাদের মতে, দীর্ঘ দিন পাম্পে তেলের দাম না বাড়ার ফলে পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়েছে যে, অতখানি আর্থিক অনুদানও সার্বিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি।
কেন এত ক্ষতি
কিছু দিন আগে তেলের খাতে লোকসান ভরতে অর্থ মন্ত্রকের (Finance Ministry) কাছ থেকে সাহায্য চাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের হিসাব, ইদানীং বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম মাথা নামালেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে এপ্রিল-জুনে তা যথেষ্ট উঁচুতে ছিল। অথচ দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম স্থির সাত মাস আগে থেকে। তাদের দাবি, কেন্দ্র খুচরো দামে তাদের হাত নেই বললেও বার বার নির্বাচনের সময় দাম থমকে থেকেছে। উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে ১৩৭ দিন তা স্থির ছিল। একই ঘটনা ঘটেছিল পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের সময়েও।
এখন অশোধিত তেলের দাম (Crude Oil Price) কমলেও (ব্রেন্ট ক্রুড ৯৭ ডলার, ডব্লিউটিআই ৯১ ডলার) মূল্যবৃদ্ধির আরও মাথা তোলার আশঙ্কায় তেলের দাম বাড়ানো যাচ্ছে না। তার উপরে সামনে গুজরাতের ভোট। একাংশ মনে করাচ্ছেন, ২০২০-তে বিশ্ব বাজারের দাম যখন তলানিতে ঠেকেছিল, তখন দেশে দাম না কমিয়ে শুল্ক বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় ১১ হাজার! টুইটারের পর বিশাল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করল মেটা
খবর
কলকাতা-সহ দেশের ৮টি বড়ো শহরে বেড়েছে আবাসনের দাম
গত ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২-এ আবাসনের দাম বেড়েছে গড়ে ৭ শতাংশ।

নয়াদিল্লি: বেড়েছে নির্মাণ সামগ্রীর দাম। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশের আটটি বড়ো শহর জুড়ে আবাসনের দাম। একটি সমীক্ষায় দাবি, “গত ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২-এ আবাসনের দাম বেড়েছে গড়ে ৭ শতাংশ।”
অতিমারির পর বাড়ি-ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে। মাথা তুলেছে ঋণে সুদের হার। কিন্তু স্থায়ী ঠিকানার চাহিদা এবং বাড়ি থেকে কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবাসনের চাহিদাও বাড়ছে। এর ফলে আগামী দিনে সেই দাম আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আবাসনের দামবৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেছে PropTiger.com।
সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, আবাসনের দাম বাড়লেও তা বিক্রির উপর সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় অতিমারি পর্বেই নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়তে শুরু করেছিল। তা সত্ত্বেও সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর চাহিদার পালে হাওয়া লাগে। সেই চাহিদা অব্যাহত রয়েছে।
২০১৬-২১ সময়কালে আবাসনের দাম অনেকাংশে স্থিতিশীল ছিল। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলে এমন একটি কারণে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যায়। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়তেই আবাসনের দাম বাড়াতে বাধ্য হন বিল্ডাররা।
সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, গুরুগ্রামে প্রায় ১৩ শতাংশ দাম বেড়েছে। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। অন্য দিকে, বেঙ্গালুরু এবং দিল্লি-এনসিআরে ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, তারপরে পুনে ৮ শতাংশ। অমদাবাদ এবং কলকাতায় বৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশ।
গুরুগ্রামে এখন আবাসনের প্রতি স্কোয়ার ফুটের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৭০০০-৭২০০ টাকা। দিল্লি-এনসিআরে ৪৮০০-৫০০০ টাকা প্রতি স্কোয়ার ফুট। তবে নয়ডাতে ৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি স্কোয়ার ফুটের গড় দাম ৫৪০০-৫৬০০ টাকা। কলকাতা এবং মুম্বইয়ে যা যথাক্রমে ৪৬০০-৪৮০০ টাকা এবং ১০১০০-১০৩০০ টাকা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় স্টার্টআপগুলিতে এসেছে ১২০ কোটি ডলার, তবুও ২ হাজার কর্মী ছাঁটাই
খবর
উইপ্রোর পর ইনফোসিস, বরখাস্ত ৬০০ ফ্রেশার
অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় ব্যর্থ প্রায় ৬০০ জন ফ্রেশারকে বরখাস্ত করল আরেক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস।

কয়েক দিন আগেই অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়া ফ্রেশারদের ছাঁটাই করেছিল ভারতের অন্যত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো (Wipro)। মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, কতকটা একই কারণে প্রায় ৬০০ জন ফ্রেশারকে বরখাস্ত করল আরেক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস (Infosys)।
বরখাস্ত হওয়া ফ্রেশারের মন্তব্য উদ্ধৃত করে বিজনেস টুডে-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের আগস্টে ইনফোসিসে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁকে এসএপি এপিএপি (SAP ABAP) স্ট্রিমের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তবে ১৫০ জনের টিমে মাত্র ৬০ জন ফ্রেশার অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় পাশ করেছেন। অনুত্তীর্ণদের সবাইকে ছাঁটাই করা হয়েছে। যাঁরা জুলাইয়ে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে মোট ১৫০ জনের মধ্যে ৮৫ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অন্য দিকে, সংস্থার এক প্রতিনিধির পাল্টা যুক্তি, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে বরাবরই চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়।
বলে রাখা ভালো, ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ইনফোসিসের কর্মী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮৪৫ জন। যা আগের ত্রৈমাসিকে ছিল ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার ২১৮ জন। আগের ত্রৈমাসিকে ১০ হাজার কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়েছিল সংস্থা। তবে বাস্তবে তা ১ হাজার ৬২৭-এই থমকে যায়। অন্য দিকে, সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে যেখানে স্বেচ্ছাবসরের হার ছিল ২৭.১ শতাংশ, সেখানে ডিসেম্বরে কিছুটা নেমে থিতু হয় ২৫.৫ শতাংশে।
উল্লেখ্য, এর আগে, খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পরে ফ্রেশারদের বরখাস্ত করেছিল উইপ্রো।
আরও পড়ুন: ভারতীয় স্টার্টআপগুলিতে এসেছে ১২০ কোটি ডলার, তবুও ২ হাজার কর্মী ছাঁটাই
খবর
ভারতীয় স্টার্টআপগুলিতে এসেছে ১২০ কোটি ডলার, তবুও ২ হাজার কর্মী ছাঁটাই
সম্মিলিত সংগ্রহের পরিমাণ প্রায় ১২০ কোটি ডলার। এরই মধ্যে ভারতীয় স্টার্টআপ সেক্টর থেকে কাজ হারিয়েছেন প্রায় হাজারদুয়েক কর্মী।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রায় ৯২.৬ কোটি ডলারের ২২টি ব্যবসায়িক চুক্তি করেছে ভারতীয় স্টার্টআপগুলি। এ বছরে তাদের সম্মিলিত সংগ্রহের পরিমাণ প্রায় ১২০ কোটি ডলার। এরই মধ্যে ভারতীয় স্টার্টআপ সেক্টর থেকে কাজ হারিয়েছেন প্রায় হাজারদুয়েক কর্মী।
মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, প্রাথমিক পর্যায়ের স্টার্টআপগুলি জানুয়ারিতে ৬৭টি ব্যবসায়িক চুক্তি করেছে। ১২টি স্টার্টআপ (তারা লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করেনি) বাদে প্রত্যেকেই সেই চুক্তির আর্থিক মূল্য প্রকাশ করেছে। জানা গিয়েছে, তাদের সম্মিলিত সংগ্রহের পরিমাণ প্রায় ১৬.৫ কোটি ডলার।
স্টার্টআপ নিউজ পোর্টাল Entrackr-এর তথ্য উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের স্টার্টআপগুলির গড় চুক্তির আকার ছিল প্রায় ৪০ লক্ষ এবং তারা এই বছর ১২০ কোটি ডলার সংগ্রহ করেছে। অন্য দিকে, মানিকন্ট্রোল-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৪টি স্টার্টআপ কোম্পানি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ২১০০-র বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, ভারতীয় স্টার্টআপগুলির মধ্যে, ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপ কোম্পানি PhonePe জানুয়ারি মাসে মোট ৩৫ কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছে, যখন CreditKey সংগ্রহ করেছে ১২ কোটি। এই দুটি স্টার্টআপ কোম্পানিই মোট তহবিলের ৪০ শতাংশ সংগ্রহ করেছে।
সবচেয়ে বেশি ডিল পেয়েছে ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলি। রিপোর্ট অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুতে ৬০টি চুক্তি করা হয়েছে, যখন দিল্লি এনসিআরে ১৫টি চুক্তি করা হয়েছে। একই সময়ে, ভারতীয় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম জানুয়ারিতে সমস্ত বিভাগে ১৮টি সংস্থার সংযুক্তিকরণ এবং অধিগ্রহণ করেছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালের এই একই সময়ের তুলনায় এ বছর বেশি চুক্তি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনে বসেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পছন্দের খাবার, জানুন বিস্তারিত
-
খবর3 months ago
আশঙ্কা বাড়িয়ে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্কের পর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমাল মুডিজও
-
ফিনান্স3 months ago
বিনিয়োগের তালিকায় কেন রাখতেই হবে আপৎকালীন তহবিল
-
ফিনান্স3 months ago
বাড়িতে বসে কী ভাবে ইপিএফ ক্লেম স্ট্যাটাস জানবেন, রইল সহজ পদ্ধতি
-
বিমা4 months ago
স্বাস্থ্য বিমা করাবেন? এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন
-
বিমা4 months ago
মানসিক সমস্যায় কি স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাওয়া যায়?
-
ফিনান্স5 months ago
বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন? তা হলে এই ৫টি টিপসে চোখ বুলিয়ে নিন
-
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি2 months ago
হোয়াটসঅ্যাপে এলআইসি পরিষেবা, জানুন কী ভাবে ব্যবহার করবেন
-
খবর5 months ago
SIP: সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এসআইপি