বিবি ডেস্ক : হ্যান্ড স্যানিটাইজার মজুদ বা বিক্রি করার জন্য এখন থেকে আর লাইসেন্স লাগবে না। এক নয়া নির্দেশিকায় এই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। করোনা ভাইরাস অতিমারীর প্রকোপ ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। তবে সরকারে এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সংগঠন।
বেশ কয়েকটি স্যানিটাইজার বিক্রেতা সংস্থা সরকারের কাছে আবেদন করে, চহিদা অনুযায়ী যোগান বজায় রাখতে স্যানিটাইজারকে ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্টের আওতার বাইরে রাখতে। এর পরই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গেজেট অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
২৭ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, স্যানিটাইজারের বিক্রি ও মজুতের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের বিষয়টিকে ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট ১৯৪০ এবং ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স রুল ১৯৪৫-এর আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে।
কেন্দ্র হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি বা মজুতের জন্য লাইসেন্স লাগবে না বলে জানালে, কিছু শর্তের আওতায় একে রাখা হয়েছে। স্যানিটাইজারের ব্যবহারের সময়সীমার বিষয়টিকে ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্টের আওতায় রাখা হয়েছে। এই সময় জানিয়েছে, সরকারের এই সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নয় অল ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন অফ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট (AIOCD)। তাদের বক্তব্য, এর ফলে বাজারে নিম্নমানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি বেড়ে যাবে। এই নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ওষুধের দোকানে যখন হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি হয় তখন তার গুণমান পরীক্ষার সুযোগ পায় সরকারি সংস্থা। কিন্তু এক্ষেত্রে তার সুযোগ থাকছে না।