১৪টি ফিক্সড-ডোজ ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ সেগুলির চিকিৎসাবিদ্যাগত ন্যায্যতার অভাব রয়েছে। ওই ওষুধ খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
শুক্রবার প্রকাশিত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে বৃহত্তর জনস্বার্থে নির্দিষ্ট ডোজ ওষুধের উৎপাদন, বিক্রি এবং বিতরণ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি সুপারিশ করেছে যে এই ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশনগুলি (FDC)-তে থাকা উপাদানগুলির কোনো চিকিৎসাবিদ্যাগত যৌক্তিকতা নেই এবং এগুলি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
এফডিসি ওষুধে একক আকারে দুই বা ততোধিক সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদানের সংমিশ্রণ থাকে। এগুলি সাধারণত একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে তৈরি এবং বিতরণ করা হয়। ১৪টি এফডিসি-র মধ্যে রয়েছে নিমেসুলাইড প্যারাসিটামল ডিসপারসিবল ট্যাবলেট, অ্যামোক্সিসিলিন ব্রোমহেক্সিন এবং ফোলকোডাইন প্রোমেথাজিন। ওষুধগুলি কাশি, সাধারণ সংক্রমণ, জ্বর এবং গা ব্যথার উপশমে ব্যবহৃত হয়।
নিষিদ্ধ কম্বিনেশনগুলি হল: নিমেসুলাইড + প্যারাসিটামল ডিসপারসিবল ট্যাবলেট, ক্লোফেনিরামাইন ম্যালেট + কোডাইন সিরাপ, ফোলকোডিন +প্রোমেথাজিন, অ্যামোক্সিসিলিন + ব্রোমহেক্সিন এবং ব্রোমহেক্সিন + ডেক্সট্রোমেথরফান + অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড + মেন্থল, প্যারাসিটামল + ব্রোমহেক্সিন + ব্রোফেনিরামাইন + ব্রোমহেক্সিন + ফেনাইলিনাইন এবং ব্রোমহেক্সিন।
২০১৬ সালে, ৩৪৪টি ওষুধের সংমিশ্রণ তৈরি, বিক্রি এবং বিতরণের উপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেসময় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছিল যে সেগুলি বৈজ্ঞানিক তথ্য ছাড়াই রোগীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। ওষুধগুলির প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি আদালতে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। বর্তমানে নিষিদ্ধ ১৪টি এফডিসি সেই ৩৪৪টি ড্রাগ কম্বিনেশনের অংশ।
আরও পড়ুন: হাতে সময় আর ১ মাসেরও কম! প্যান-আধার লিঙ্ক করার শেষ তারিখ ৩০ জুন