রান্নার মশলার পর এ বার ওষুধেও সমস্যা, এই ইনজেকশন নিষিদ্ধ প্রতিবেশী দেশে

সম্প্রতি, ভারতের শীর্ষস্থানীয় মশলা ব্র্যান্ডগুলি বিশ্বের অনেক দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। সেসব দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পদক্ষেপে মশলার গুণমান নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। এ বার ভারতীয় ওষুধের দিকেও আঙুল তোলা হচ্ছে।

প্রতিবেশী দেশ নেপাল জাইডাস লাইফসায়েন্সের বায়োট্যাক্স ১ জিএম নিষিদ্ধ করেছে। নেপালের ওষুধ প্রশাসন বিভাগ বলেছে যে এই ইনজেকশনটি উৎপাদনের মান পূরণ করেনি এবং ল্যাব টেস্টে ব্যর্থ হয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপালে এই ইনজেকশন বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এই ইনজেকশনকে সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে দাবি করেছে জাইডাস লাইফসায়েন্সেস।

দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট-এর প্রতিবেদন অনুসারে, নেপালের ওষুধ প্রশাসন বিভাগ (DDA) বায়োট্যাক্স ১জিএম ইনজেকশন নিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, এই ইনজেকশনের ব্যাচ F300460 ল্যাব টেস্টে ফেল করেছে। এতে রোগীদের ক্ষতি হতে পারে। তাই ইনজেকশন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, আমদানিকারক ও পরিবেশকদের অবিলম্বে এর বিক্রি ও সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ইনজেকশনটি ভারতের অমদাবাদে অবস্থিত জাইডাস হেলথকেয়ার লিমিটেড তৈরি করে।

ডিডিএ-র মুখপাত্র প্রমোদ কেসি বলেছেন, তদন্তের পর দেখা গেছে এই ইনজেকশন নিরাপদ নয়। বায়োট্যাক্স ১জিএম মস্তিষ্ক, ফুসফুস, কান, ত্বক, নরম টিস্যু, হাড়, রক্ত ​​এবং হৃদপিণ্ডের সংক্রমণ কমাতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, এটি অস্ত্রোপচারের সময়ও ব্যবহৃত হয়। তবে বাজারে একই ধরনের ইনজেকশন পাওয়া যায়। ফলে, চিকিৎসার ক্ষেত্রে এর ঘাটতি হওয়ার প্রশ্ন নেই।

এ দিকে ভারতীয় ওষুধ কোম্পানি জাইডাস লাইফসায়েন্সেস এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সংস্থাটির তরফে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-কে বলা হয়েছে, এই রিপোর্টটি বিভ্রান্তিকর এবং ভুল। তাদের পণ্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। ডিডিএ ইনজেকশনের সঙ্গে দেওয়া জীবাণুমুক্ত জলের পরিমাণ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। সংস্থার মুখপাত্র বলেন, “এটা এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝি। আমরা ২০১৮ সাল থেকে নেপালের বাজারে মানসম্পন্ন ওষুধ বিক্রি করছি।”

সম্প্রতি এভারেস্ট ও এমডিএইচ মশলায় পাওয়া কীটনাশকের কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরের ফুড এজেন্সি এভারেস্ট-এর ফিশ কারি মশলায় ইথিলিন অক্সাইড খুঁজে পেয়েছিল। এরপর সিঙ্গাপুরে ওই সংস্থার মশলা নিষিদ্ধ করা হয়। বিদেশের বাজারে একই কীটনাশক পাওয়ায় সম্প্রতি দেশের বড় বড় মশলার ব্র্যান্ডগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সারা দেশে মশলা এবং বেবি ফুড পরীক্ষা করা হবে, বড় সিদ্ধান্ত FSSAI-এর

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.