বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল এলসিএইচ, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে নয়া মাইলফলক

যোধপুর: এই প্রথম দেশীয় ভাবে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (LCH) অন্তর্ভুক্ত হল ভারতীয় বায়ুসেনায় (IAF)।

শত্রুকে যথাযোগ্য জবাব দিতে সক্ষম ‘প্রচণ্ড’

সোমবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এই হেলিকপ্টার তুলে দিলেন বায়ুসেনাকে। নবনিযুক্ত সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান এবং আইএএফ প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। হেলিকপ্টারটির সর্বশেষ সংস্করণের নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রচণ্ড’।

অনুষ্ঠানের শেষে হেলিকপ্টারটিতে সওয়ারি হন সদ্যনিযুক্ত সিডিএস। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড’ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। শত্রুকে যথাযোগ্য জবাব দিতে সক্ষম এই এলসিএইচ।

দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে উঠবে এলসিএইচ

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, “ভারতীয় বায়ুসেনায় দেশীয় ভাবে তৈরি এলসিএইচ অন্তর্ভুক্ত করা আমাদের সক্ষমতা বাড়বে। প্রতিরক্ষা উৎপাদনকেও বাড়িয়ে তুলবে। নবরাত্রির সময় যোদ্ধাদের ভূমি রাজস্থানে এলসিএইচ নিয়ে আসার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় হতে পারে না”।

ভারতের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে ভারতীয় বায়ুসেনার অনবদ্য ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রশংসা করেন ভারতের বিমান যোদ্ধাদের সাহসিকতার। তিনি বলেন, তাঁদের সাহসিকতার সঙ্গেই এ বার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে উঠবে এই এলসিএইচ।

প্রতিরক্ষা উৎপাদনে মাইলফলক

দীর্ঘকাল ধরেই এ ধরনের আক্রমণকারী হেলিকপ্টারের প্রয়োজন ছিল ভারতের। ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময় আক্রমণকারী হেলিকপ্টারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল গুরুতর ভাবে। দু’দশক ধরে নিরবচ্ছিন্ন গবেষণা ও উন্নয়নের ফলাফল এই এলসিএইচ। পাশাপাশি এলসিএইচ-কে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবেও চিহ্নিত করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: বিক্রি বাড়ছে দামি পণ্যের, কমছে কম দামি জিনিসের চাহিদা

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.