নয়াদিল্লি: ১০১টি সামরিক সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করল সরকার। রবিবার এই ঘোষণা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে চাঙ্গা করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী টুইট করে বলেছেন, “আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এখন প্রস্তুত। প্রতিরক্ষা উৎপাদনের দেশজ দিকটিকে মদত দিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ১০১টি সরঞ্জাম আমদানিতে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার পরে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজন মেটাতে নিজস্ব নকশা এবং উন্নয়ন ক্ষমতা ব্যবহার করে অথবা ডিআরডিও-র ডিজাইন ও তৈরি করা প্রযুক্তি গ্রহণ করে নিষিদ্ধ তালিকার সরঞ্জামগুলি নির্মাণে ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে সুযোগ করে দেবে এই সিদ্ধান্ত।”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা উৎপাদনের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক রয়েছে সেই সেনাবাহিনী, সরকারি ও বেসরকারি শিল্পের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ওই ১০১টি সরঞ্জামের তালিকা তৈরি করেছে।
রাজনাথ সিংহের হিসাব, এই সিদ্ধান্তের পরে দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্প আগামী ছয় থেকে সাত বছরের মধ্যে চার লক্ষ কোটি টাকার বরাত পাবে।
২০২০-২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাঁর টূইটে জানান।
যে সব সরঞ্জাম প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য –
হালকা যুদ্ধবিমান (এমকে আইএ), স্থল থেকে আক্রমণের উপযুক্ত দূর পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ১৫৫ মিমি আর্টিলারি অ্যামুনিশন, ৭.৬২X৫১ স্নিফার রাইফেল, ক্ষুদ্র পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, জাহাজবাহিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার, ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী জাহাজ, টোড আর্টিলারি বন্দুক, ১৫৫ মিমি/৩৯ ক্যাল আল্ট্রা-লাইট হাউইৎজার, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ব্যালিস্টিক হেলমেট, বহুমুখী উদ্দেশ্যসাধক জলযান, অফশোর প্যাট্রল ভেসেল, ভাসমান ডক, সার্ভে ভেসেল, দূষণ নিয়ন্ত্রক জলযান, বড়ো জাহাজের জন্য সোনার সিস্টেম, অ্যান্টি-সাবমেরিন রকেট, ইত্যাদি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার জন্য ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ মধ্যে অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহের প্রায় ২৬০টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার মোট অঙ্ক প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে আরও কিছু অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আমদানি বন্ধ করা হতে পারে বলেও তাঁর ইঙ্গিত। সামরিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়সীমা বজায় রাখার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে”।