বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এ বার আদানির বিদ্যুৎ, ঝাড়খণ্ড থেকে শুরু সরবরাহ

electric

প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি পাওয়ার লিমিটেড (Adani Power Limited)। এর জন্য ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে সংস্থাটি। সংস্থার এই উদ্যোগকে সামনে রেখে প্রতিবেশী দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আদানি গ্রুপের জারি করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আদানি পাওয়ার লিমিটেড (APL) ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় প্রথম ৮০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল থার্মাল পাওয়ার জেনারেশন ইউনিট স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ৭৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে সংস্থা। গোড্ডা থেকে পাঠানো বিদ্যুৎ প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতির উন্নতি করবে, পাশাপাশি ব্যয়বহুল তরল জ্বালানি থেকে উৎপাদিত ব্যয়বহুল বিদ্যুৎ থেকে বাংলাদেশকে স্বস্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, এতে শেষ পর্যন্ত বিদ্যুতের গড় খরচও কমবে।

আদানি পাওয়ার লিমিটেডের সিইও এসবি খায়ালিয়া জানান, “ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পুরনো সম্পর্ক অনুযায়ী গোড্ডা পাওয়ার প্লান্ট কৌশলগত গুরুত্বের একটি সম্পদ। এই উদ্যোগ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ সহজ করবে। সেখানকার শিল্পেও গতি আনবে। এটি ভারতের পাশাপাশি সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে স্থাপন করা সবচেয়ে দক্ষ এবং পরিবেশ বান্ধব তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে চলেছে। এটি তার শ্রেণিতে বিশ্বের সেরা প্লান্টের মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠবে।

উল্লেখযোগ্য ভাবে, এটাই দেশের প্রথম পাওয়ার প্ল্যান্ট, যেটি প্রথম দিনেই ১০০ শতাংশ ফ্লু গ্যাস ডিসালফারাইজেশন (FGD), এসসিআর (SCR) এবং জিরো ওয়াটার ডিসচার্জ দিয়ে কাজ শুরু করেছে। নিঃসরণ কমাতে এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের সর্বশেষ পরিবেশগত নিয়মগুলি পূরণ করতে বিদ্যুৎ প্রকল্পটিতে এইজিডি এবং এসসিআপ ইনস্টল করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের নভেম্বরে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (BPDB) আদানি পাওয়ারের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহযোগী প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড (APJL)-এর সঙ্গে ২X৮০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্রকল্প থেকে ১,৪৯৬ মেগাওয়াট নেট ক্ষমতার বিদ্যুৎ সংগ্রহের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (PPA) সম্পাদন করে।

আরও পড়ুন: ৮ বছরে মুদ্রা যোজনার সুবিধা পেয়েছেন ৪১ কোটি গ্রাহক

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.