একাধিক সুবিধার কারণে বিনিয়োগকারীদের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ। এ ধরেন ফান্ড পরিচালনা করেন বিশেষজ্ঞরা, তাঁরাই আপনাকে আপনার অর্থ বিনিয়োগে সাহায্য করবেন এবং আপনার বিনিয়োগ আকর্ষণীয় আয়ের মাধ্যম হয়ে উঠবে।
মিউচুয়াল ফান্ড হল এমন একটি ট্রাস্ট যা বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ইক্যুইটি, বন্ড, মানি মার্কেট ইনস্ট্রুমেন্ট এবং অন্যান্য সিকিউরিটিগুলিতে অর্থ বিনিয়োগ করে।
মিউচুয়াল ফান্ডের প্রধান বিভাগ
মূলত, মিউচুয়াল ফান্ডের তিনটি প্রধান বিভাগ রয়েছে- লার্জ-ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড, মিড-ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড এবং স্মল-ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড।
লার্জ-ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড: এগুলি হল ভারতের ব্লু-চিপ যার বাজার মূলধন ১০ হাজার কোটিরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ফান্ডগুলিকে অন্যদের তুলনায় নিরাপদ বলে মনে করা হয়। কারণ তাদের শক্তিশালী আর্থিক অবস্থান। এই ফান্ডগুলি থেকে প্রত্যাশিত বার্ষিক রিটার্ন ১২-১৫ শতাংশের মতো হতে পারে।
মিড-ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড: এই ফান্ডে করা বিনিয়োগ ভারতের মধ্যম আকারের কোম্পানিগুলিতে করা হয়। তারা দ্রুততম ক্রমবর্ধমান কোম্পানি হিসাবে বিবেচিত হয় এবং শেষমেশ নিফটি ৫০ সূচকে প্রবেশ করার লক্ষ্য রাখে। এতে রিটার্ন এবং ঝুঁকি দুটোই লার্জ ক্যাপের থেকে কিছুটা বেশি রয়েছে। এই ফান্ডগুলি থেকে প্রত্যাশিত বার্ষিক রিটার্ন ১৫-১৮ শতাংশের মতো হতে পারে।
স্মল-ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড: এই ফান্ডগুলি ৫ হাজার কোটির কম বাজার মূলধন-সহ আকারে অনেক ছোট কোম্পানিগুলিতে অর্থ বিনিয়োগ করে। বিশ্লেষকদের মতে, কখনও কখনও আর্থিক সমস্যার কারণে এগুলি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু ঝুঁকি যত বেশি, তত বেশি রিটার্ন, এবং স্মল ক্যাপ থেকে প্রত্যাশিত রিটার্ন প্রায় ২০ শতাংশ।
তবে এগুলো ছাড়াও মাল্টি-ক্যাপ ফান্ড, ফ্লেক্সি-ক্যাপ ফান্ড এবং ভ্যালু ফান্ডের মতো আরও বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে যা কম বাজার মূলধনের কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করে, তবে উচ্চ হারে রিটার্ন দেয়। এর বাইরে সেক্টরাল/থিম্যাটিক ফান্ডও রয়েছে। এমনকী, ডিভিডেন্ড ইল্ড ফান্ডের কথাও বিবেচনা করতে পারেন। কর বাঁচানোর জন্য রয়েছে ফোকাসড ফান্ড এবং ইএলএসএস ফান্ড।
আরও পড়ুন: প্রথম বার গৃহঋণ নিচ্ছেন? এখানে দেখে নিন ১০টি ব্যাঙ্কের সস্তা সুদের হার