দু’মাসেরও বেশি সময়ের চেয়ে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এল সোনার দাম। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে রেট বৃদ্ধিতে বিরতির অনুমান, মার্কিন ঋণ সিলিং চুক্তিতে ইতিবাচক প্রত্যাশা-সহ বিভিন্ন কারণে তলানিতে এসে ঠেকল মূল্যবান এই হলুদ ধাতুর দাম। আন্তর্জাতিক দামে টানাপোড়েনের স্পষ্ট প্রভাব পড়েছে এমসিএক্স সোনার ফিউচারেও। এমন পরিস্থিতি কি সোনা কেনার সঠিক সময়?
মঙ্গলবার (৩০ মে ২০২৩) ভারতীয় বুলিয়ন বাজারে সোনা এবং রুপোর দামের পতন রেকর্ড করা হয়েছে। সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রাম ৫৯ হাজার টাকা থেকে নেমে ৬০ হাজার টাকার নীচে। একই সময়ে প্রতি কেজি রুপোর দাম ৭০ হাজার টাকার বেশি। জাতীয় পর্যায়ে ৯৯৯ পিওরিটির ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ৫৯,৯৮১ টাকা। যেখানে ৯৯৯ পিওরিটির কেজি প্রতি রুপোর দাম ৭০,৩২৩ টাকা।
বিশ্ববাজারে এ দিন সোনা ও রুপোর দামে দুর্বলতা দেখা গিয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব দেখা যাচ্ছে দেশীয় ফিউচার মার্কেটে। মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (MCX) গোল্ড আগস্ট ফিউচার আজ ৯৪ টাকা কমে প্রতি ১০ গ্রাম ৫৯,৪০৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এমসিএক্স সিলভার জুলাই ফিউচার ৩৯৫ টাকা কমে প্রতি কেজি ৭০,৭৩০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
বর্তমানে সোনার দামে আরও সংশোধন আশা করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। একাংশের মতে, আগামী কয়েক দিন সোনার দামে আরও সংশোধনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীদের নতুন বিনিয়োগের জন্য আরও অপেক্ষা করারই পরামর্শ দিচ্ছে তারা। আবার অন্য একটি অংশের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের সিলিং-এর মতো এমন কোনো নেতিবাচক ঘটনা ঘটার আগেও সোনার দামে সংশোধন দেখা গিয়েছে। যা ঋণের সীমা বা খেলাপি ঋণ বাড়ানোর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।
সবমিলিয়ে টানাপোড়েন থাকছেই। কেউ কেউ বলছেন, খুব বেশি হলে ৫৮,৫০০ পর্যন্ত যেতে পারে সোনার দাম। তাই বলে ৫৮,০০০-এর নীচে যাওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না। ফলে ৬২,০০০-এর লক্ষ্যে সোনা কেনার কথা ভাবতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। পুরোটাই নির্ভর করছে ক্রেতার সিদ্ধান্তের উপর!
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে কয়েন জমা করার কোনো সীমা আছে কি? আরবিআই নির্দেশিকা কী বলছে