উচ্চশিক্ষার জন্য পড়ুয়াদের শিক্ষা ঋণের (education loan) সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এই ঋণ দিয়ে থাকে। আবেদনকারীর পারিবারিক আয় এবং কী ধরনের কোর্সের জন্য আবেদন করা হচ্ছে, সেসব বিষয় খতিয়ে দেখে আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
এর পাশাপাশি বেশ কিছু শর্ত থাকে শিক্ষা ঋণে। ব্যাঙ্ক নির্ধারিত ব্যাঙ্কের যোগ্যতা বা চাহিদার সঙ্গে যদি পড়ুয়ার প্রয়োজনীয়তা মিলে যায় তা হলে খুব সহজেই এই ঋণ পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট সময়ে ঋণের কিস্তি না দিলে অন্য ঋণের মতোই জরিমানাও দিতে হয়। কিছু শিক্ষা ঋণ নিতে, আপনার একজন গ্যারান্টার প্রয়োজন এবং কিছু বন্ধকী এবং কিছু শিক্ষা ঋণ কোনো বন্ধক ছাড়াই দেওয়া হয়। আপনি যদি আগামী দিনে শিক্ষা ঋণের জন্য আবেদন করার কথা ভাবেন,তা হলে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
যোগ্যতা
প্রতিটি ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণ করে। শিক্ষা ঋণে এটি নির্ভর করে বয়স, একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড, কোর্স এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর।
সুদ
যেকোনো ঋণ নেওয়ার সময় সুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি। আপনি যখনই কোনো ব্যাঙ্ক থেকে শিক্ষা ঋণ নেবেন, অন্য ব্যাঙ্কের দেওয়া সুদের সঙ্গে তুলনা করে নিতে হবে।
ঋণের পরিমাণ
আবেদনকারীর সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষা ঋণ দেয় ব্যাঙ্ক। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ঋণ সীমা আছে। ঋণের পরিমাণ নির্ধারণের আগে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমস্ত ব্যয়ের সম্পূর্ণ মূল্যায়ন করা উচিত।
ভরতুকি
শিক্ষা ঋণে ভরতুকি নির্ধারণ করে সরকার এবং ব্যাঙ্ক। ঋণ নেওয়ার আগে, আপনার নেওয়া শিক্ষা ঋণ সংক্রান্ত কোনো অফার বা ভরতুকি আছে কি না সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।
নথিপত্র
শিক্ষা ঋণ নিতে গেলে কী কী নথি লাগবে, তা ব্যাঙ্কে গেলেই জানা যাবে। প্রাথমিক নথির মধ্যে রয়েছে আবেদনকারীর পারিবারিক আয় সংক্রান্ত নথি, ঠিকানার প্রমাণ, একাডেমিক রেকর্ড এবং ভর্তির চিঠি ইত্যাদি।
কোর্স
স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি, ডক্টরেট কোর্স এবং পিএইচডি-র সমস্ত কোর্সের ক্ষেত্রেই এই ঋণ পাওয়া সম্ভব। ৬ মাস বা তার বেশি সময়কালের সার্টিফিকেট কোর্স, চাকরি ভিত্তিক কোর্স, কারিগরী বা ডিপ্লোমা অথবা পেশাদার কোর্সের ক্ষেত্রেও এই ঋণ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিমা কেনার আগে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত