ফিনান্স
চালু হল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, জেনে নিন শর্তাবলী
এই প্রকল্পের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার জন্য ১৫ বছরের মেয়াদে ঋণ পাবেন ছাত্রছাত্রীরা।

বিবি ডেস্ক : বুধবার নবান্ন থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার জন্য ১৫ বছরের মেয়াদে ঋণ পাবেন ছাত্রছাত্রীরা। কী ভাবে এই কার্ডের সুবিধা নিতে পারবেন বিস্তারিত জেনে নিন।
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের শর্তাবলী
- এই কার্ড দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন পড়ুয়ারা।
- স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পেশাভিত্তিক কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স, ডক্টর্যাল, পোস্ট-ডক্টর্যাল গবেষণা, ইত্যাদি কোর্সে পড়াশুনার জন্য এই ঋণ দেওয়া হবে।
- আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গে কমপক্ষে ১০ বছর বসবাস করে হবে। ভারতে বা ভারতের বাইরে কোনো স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার জন্য এই ঋণ পাবেন।
- ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই ঋণ নিতে পারবেন।
- ঋণ পরিশোধের জন্য ১৫ বছর পর্যন্ত সময় পাওয়া যাবে।
- এই ঋণে সুদের হার ৪ শতাংশ।
- পড়াশুনো শেষ করার পর একবছর সময় মিলবে, তার পর থেকে ঋণ শোধের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
- আলাদা করে কাউকে গ্যারান্টার আনতে হবে না কারণ, প্রকল্পের গ্যারান্টার সরকার।
- রাজ্যের সব ব্যাঙ্ক থেকে এই ঋণ মিলবে।
- অনলাইনে সহজেই আবেদন করা যাবে। টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০১০২৮০১৪ চালু করা হয়েছে।
স্টুডেট ক্রেডিট কার্ডে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি
- আধার কার্ড
- রেসিডেন্স সার্টিফিকেট
- বয়েসের প্রমাণপত্র
- রেশন কার্ড
- আয়ের প্রমাণপত্র
- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
- মোবাইল নম্বর
- পাসপোর্ট সাইজ ফটো
বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন
বিনিয়োগ টানতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কগুলির জমির পরিসংখ্যান তুলে ধরল রাজ্য
ফিনান্স
বাজেটে আয়কর স্ল্যাবে পরিবর্তন, জানুন নতুন ও পুরনো কর ব্যবস্থার খুঁটিনাটি
প্রথমে জেনে নেওয়া দরকার দু’টি কর ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কী?

আয়করে ছাড় মিলবে। ছাড় দেবে সরকার। কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে এমন সব খবরেই আশার বহর বাড়ছিল সাধারণ মানুষের। গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। আয়করের স্ল্য়াব পরিবর্তনের বড়ো ঘোষণা করেছেন তিনি। করদাতাদের দাবি পূরণ করে, আয়কর স্ল্যাবের আওতা থেকে ৭ লক্ষের কম আয়ের মানুষকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া জরুরি।
অর্থমন্ত্রী সংসদে ঘোষণা করেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি নতুন কর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর এক টাকাও কর দিতে হবে না। অর্থমন্ত্রী ২০২০ সালের বাজেটে নতুন কর ব্যবস্থা চালু করেছিলেন।
নতুন কর ব্যবস্থা
প্রথমে জেনে নেওয়া দরকার দু’টি কর ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কী? অর্থমন্ত্রীর ব্কতৃতাতেই স্পষ্ট, নতুন কর ব্যবস্থায়, আপনাকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কোনো রকমের আয়কর দিতে হবে না। এই ক্ষেত্রে, সরকার ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স রিবেট পাওয়া যায়। নতুন আয়কর ব্যবস্থা অনুযায়ী, এখন থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কোনো কর দিতে হবে না। ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে ৫ শতাংশ, ৬ থেকে ৯ লক্ষ স্ল্যাবে ১০ শতাংশ, ৯ থেকে ১২ লক্ষ স্ল্যাবে ১৫ শতাংশ, ১২ থেকে ১৫ লক্ষ স্ল্যাবে ২০ শতাংশ এবং ১৫ লক্ষ টাকার উপরে সর্বোচ্চ হারে ৩০ শতাংশ আয়কর দিতে হবে।
পুরনো কর ব্যবস্থা
পুরনো কর ব্যবস্থা অনুসারে, ৫ লক্ষ টাকা আয়ের উপর কোনো কর দিতে হয় না কারণ ১২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়। পুরনো কর ব্যবস্থা অনুযায়ী, এখন ৩ লক্ষ টাকা আয়ের উপর কোনো কর দিতে হবে না। অন্যদিকে, ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে ৫ শতাংশ, ৬ থেকে ৯ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে ১০ শতাংশ, ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে ১৫ শতাংশ, ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে ২০ শতাংশ। ১৫ লক্ষ টাকার উপরে আয়ের উপর ৩০ শতাংশ আয়কর দিতে হবে।
কত বার বদলানো যাবে?
এমন পরিস্থিতিতে, নতুন এবং পুরানো কর ব্যবস্থায় আসার পরে, ব্যবহারকারীরা এই দু’টির মধ্যে যে কোনো একটি বেছে নিতে পারবেন। নির্দিষ্ট কিছু করদাতা প্রতি বছর নতুন এবং পুরনো কর ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে পারেন। যেমন একজন বেতনভোগী ব্যক্তি, ভাড়া থেকে উপার্জনকারী ব্যক্তি প্রতিবার ট্যাক্স স্ল্যাব পরিবর্তন করতে পারেন। অন্যদিকে, ব্যবসা থেকে আয়ের অর্থ হলে, অর্থাৎ ব্যবসায়ী ব্যক্তিরা একবার ট্যাক্স ব্যবস্থা পরিবর্তন করলে, তিনি আবার পুরানো ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: সস্তায় ‘ভারত আটা’ বিক্রি করবে সরকার, জানুন দাম কত
খবর
পোস্ট অফিসের জনপ্রিয় সব সঞ্চয় প্রকল্প, জানুন সর্বশেষ সুদের হার
বার্ষিক ভিত্তিতে জমা করা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার উপর আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় করছাড়ের সুবিধাও রয়েছে।

বিভিন্ন ক্ষুদ্র সঞ্চয় বা পোস্ট অফিস স্কিমের সুবিধা দিয়ে থাকে সরকার। এগুলো অনেকেরই ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা পূরণ করে থাকে। এই সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার তিন মাসে একবার (প্রতি ত্রৈমাসিক) সংশোধন করা হয়। এক দিকে সরকারি সমর্থন, অন্য দিকে নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়ার কারণে একটা বড়ো অংশের বিনিয়োগকারীদের কাছে জনপ্রিয় স্কিমগুলির মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি। অন্য দিকে বার্ষিক ভিত্তিতে জমা করা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার উপর আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় করছাড়ের সুবিধাও রয়েছে।
অর্থমন্ত্রকের সর্বশেষ সার্কুলারে ঘোষণা করা হয়, চলতি ত্রৈমাসিকে পিপিএফ-এ ৭.১০ শতাংশ, এনএসসি-তে ৭.০০ শতাংশ, মান্থলি ইনকাম স্কিমে (MIS)৭.১০ শতাংশ হারে সুদ পাবেন গ্রাহকরা।
এক নজরে দেখে নিন বিভিন্ন ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে কার্যকর সুদের হার (Interest Rates)-
স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প | ১ জানুয়ারি, ২০২৩ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত সুদের হার | কী ভাবে জমা হবে |
সেভিংস ডিপোজিট | ৪% | বার্ষিক |
১ বছর মেয়াদি আমানত | ৬.৬০% | ত্রৈমাসিক |
২ বছর মেয়াদি আমানত | ৬.৮০% | ত্রৈমাসিক |
৩ বছর মেয়াদি আমানত | ৬.৯০% | ত্রৈমাসিক |
৫ বছর মেয়াদি আমানত | ৭.০০% | ত্রৈমাসিক |
৫ বছরের রেকারিং | ৫.৮০% | ত্রৈমাসিক |
৫ বছরের সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম | ৮.০০% | ত্রৈমাসিক এবং দিয়ে দেওয়া হয় |
৫ বছরের মাসিক আয় প্রকল্প | ৭.১০% | মাসিক এবং দিয়ে দেওয়া হয় |
৫ বছরের জাতীয় সঞ্চয় শংসাপত্র | ৭.০০% | বার্ষিক |
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিম | ৭.১০% | বার্ষিক |
কিষান বিকাশ পত্র | ৭.২০% (১২৪ মাসে ম্যাচুরিটি) | বার্ষিক |
সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট স্কিম | ৭.৬০% | বার্ষিক |
ফিনান্স
সময়ের আগেই হোম লোন মেটাতে চান? জানুন দুর্দান্ত কিছু টিপস
সচরাচর এই সময়সীমা বেশ দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে। ফলে দিনের পর দিন ধরে ইএমআই-এর বোঝা বয়ে নিয়ে যেতে হয় ঋণগ্রহীতাকে।

নিজের একটা বাড়ি বা ফ্ল্যাট। এমন স্বপ্ন অনেকেরই। কিন্তু এর জন্য দরকার বড়ো অঙ্কের টাকার। বাড়ি অথবা ফ্ল্যাট কেনার জন্য যে কারণে বেশির ভাগ ক্রেতাই শরণাপন্ন হন ব্যাঙ্ক অথবা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। যেখানে সহজ মাসিক কিস্তিতে গৃহঋণ (Home loan) নিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব।
একটি নির্দিষ্ট সুদের হারে ঋণ দেয় ব্যাঙ্ক। যার জন্য গ্রাহককে প্রতি মাসে ইএমআই (EMI) দিতে হয়। বেঁধে দেওয়া হয় ঋণ পরিশোধের সময়সীমা। সচরাচর এই সময়সীমা বেশ দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে। ফলে দিনের পর দিন ধরে ইএমআই-এর বোঝা বয়ে নিয়ে যেতে হয় ঋণগ্রহীতাকে।
অন্যদিকে, যত দিন না ঋণ পরিশোধ হচ্ছে, ততদিন গ্রাহকের বাড়ির কাগজপত্র ব্যাঙ্কের কাছে জমা থাকে। অর্থাৎ, ঋণের পরিমাণ সম্পূর্ণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত বাড়ির মালিকানা ব্যাঙ্কের হাতেই। এই কারণে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি পরিশোধ করা উচিত। দ্রুত এই ঋণ মিটিয়ে দিয়ে ঝক্কি কমানোর কিছু বিকল্প পথও রয়েছে।
গৃহঋণ তাড়াতাড়ি পরিশোধ করতে, প্রতি বছর লোনের ব্যালেন্সের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ জমা করতে পারেন। এতে করে মূল পরিমাণ কমে যায় এবং ২০ বছরের ঋণ ১২ বছরে সম্পূর্ণ করা যায়।
আরও একটি বিকল্পের মধ্যে রয়েছে বছরে বাড়তি ইএমআই জমা করার পদ্ধতি। আপনি যদি গৃহঋণ তাড়াতাড়ি মিটিয়ে দিতে চান তবে ১২-র পরিবর্তে বছরে ১৩টি ইএমআই দিন৷ প্রতি বছর যদি অতিরিক্ত একটি ইএমআই জমা করে, তা হলে ২০ বছরের ঋণ শেষ শেষ হয়ে যাবে ১৭ বছরে।
তবে সব কিছুই নির্ভর করছে গ্রাহকের মাসিক আয়ের উপর। কারণ, এমনিতেই গৃহঋণের ইএমআই বেশ বড়ো হয়। যদি বাড়তি অর্থের সংস্থান হয়ে যায়, তা হলে ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলে আপনি পূর্বনির্ধারিত ইএমআই-এর পরিমাণও বাড়িয়ে নিতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে, মাসিক কিস্তি ৫ শতাংশ বাড়িয়ে নিলে ২০ বছরের ঋণ ১৩ বছরেই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব।
আরও পড়ুন: কলকাতায় প্রথম শাখা খুলল ফিনকেয়ার স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক
-
খবর3 months ago
আশঙ্কা বাড়িয়ে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্কের পর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমাল মুডিজও
-
ফিনান্স3 months ago
বিনিয়োগের তালিকায় কেন রাখতেই হবে আপৎকালীন তহবিল
-
বিমা4 months ago
স্বাস্থ্য বিমা করাবেন? এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন
-
বিমা4 months ago
মানসিক সমস্যায় কি স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাওয়া যায়?
-
ফিনান্স3 months ago
বাড়িতে বসে কী ভাবে ইপিএফ ক্লেম স্ট্যাটাস জানবেন, রইল সহজ পদ্ধতি
-
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি2 months ago
হোয়াটসঅ্যাপে এলআইসি পরিষেবা, জানুন কী ভাবে ব্যবহার করবেন
-
খবর5 months ago
SIP: সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এসআইপি
-
ফিনান্স5 months ago
বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন? তা হলে এই ৫টি টিপসে চোখ বুলিয়ে নিন