রেকর্ড মাস্ক উৎপাদন করল হুগলি জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠী

selfhep group

বিবি ডেস্ক : দশ লক্ষেরও বেশি মাস্ক উৎপাদন করে সব জেলাকে ছাপিয়ে গেল হুগলি। জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠী আনন্দধারা লকডাউন সময়কালে ওই পরিমাণ মাস্ক উৎপাদন করেছে।

করোনা পরিস্থিতিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির কাছে আয়ে রাস্তা তুল দিতে মাস্ক উৎপাদনে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মাস্ক বাজারজাত করা ক্ষেত্রে প্রশাসন সহযোগিতা করায় গ্রামের মহিলার আয়ের রাস্তা খুঁজে পেয়েছেন। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে মাস্ক উৎপাদন করে তাকে বাজারজাত করার ক্ষেত্রে প্রশাসন সাহায্য করায় গ্রামের মহিলারা লকডাউন ও তার পরবর্তী সময়ে আয় করে সংসারে দিতে পারেছেন।’’

তিনি বলেন‘‘ জেলায় যাতে সব জায়গায় সস্তায় মাস্ক পাওয়া যায় সেটাও আমরা দেখছি। ভালো মানের মাস্ক তৈরির করতে আমরা স্বনির্ভর গৌষ্ঠীগুলিকে উৎসাহ দিচ্ছি। বড় বড় বাজারগুলিতে যাতে এগুলি দেওয়া যায় সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে’’।

যতদিন পর্যন্ত না করোনার ভ্যাকসিন বের হচ্ছে, ততদিন মাস্ক পরে বাইরে বেরোনো এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এই দুটি বিষয়ের উপর জোর থাকবে। ফলে বাজারে মাস্কের চাহিদা থাকবে।

সস্তা বনাম দামী মাস্ক

নামী সংস্থাগুলি বাজারে মাস্ক আনতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে অনলাইন বিক্রেতা সংস্থাগুলিও মাস্ক বিক্রি করতে আরম্ভ করেছে। সম্প্রতি জার্মান স্পোর্টস ব্র্যান্ড আডিডাস (Adidas) দ্বিস্তরীয় মাস্ক বাজারে এনেছে। এই মাস্কগুলি পুনর্ব্যবহারযোগ্য।

শুরুতে তিনটি মাস্কের একটি প্যাকের দাম পড়বে ৬৯৯ টাকা। আপতত ভারতের ৭৫টি শহরে এই মাস্ক পাওয়া যাবে। এ ছাড়া সংস্থার ই-কমার্স সাইটেও পাওয়া যাবে এই ফেস মাস্ক।

প্রশ্ন হল, নামী ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাস্ক?

এক বাজার বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, উৎপাদিত পণ্যটি এক হলেও দুটির বাজার আলাদা। নিম্ন বা মধ্যে আয়ের ব্যক্তিরাই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাস্ক কিনবেন। ফলে সেই বাজারটিকে ধরতে পারলে অবশ্যই বিক্রিতে সাফল্য আসবে।

ছবি : দি হিন্দু

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.