অবশেষে আদানি কাণ্ডে মুখ খুলল SEBI। শনিবার এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, শেয়ার বাজারের নির্ভরযোগ্যতা সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর তারা। বাজারের মাত্রারিতিক্ত অস্থিরতা মোকাবিলায় তাদের পর্যাপ্ত নজদারির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বিবৃতিতে অবশ্য সরাসরি আদানি গোষ্ঠীর নাম করেনি সেবি। তবে তারা জানিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে এক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর স্টকে অস্বাভাবিক গতিবিধি শুরু হয়েছে। তবে নাম না বললেও শেয়ার বাজারের সাম্প্রতিক গতিবিধি আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দিকে ইঙ্গিত করছে।
সেবি জানিয়েছে, কতগুলি ‘নির্দিষ্ট স্টক’-এর অত্যাধিক অস্থিরতা মোকাবিলার জন্য বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেবির সেই ব্যবস্থা নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে নিজে থেকেই চালু হয়ে যায়।
তবে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত শুরু করেছে কি না তা নিয়ে কিছু জানায়নি।
আদানি গ্রুপের তিনটি সংস্থা- আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস ও স্পেশাল ইকোনমিক জোন এবং অম্বুজা সিমেন্ট-কে তাদের স্বল্পমেয়াদী বাড়তি নজরদারি প্রক্রিয়ার (ASM) আওতায় রেখেছে সেবি।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পর থেকেই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে ধস নামে। সংস্থার বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি, অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতি এবং বিপুল দেনার অভিযোগ তোলে। আর তারপরেই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে হঠাৎ পতন হয়।
এই ঘটনা নিয়ে বিরোধী ও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ সেবির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল। সংসদেও উঠেছে এই দাবি। শেষ পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠীর নাম না করে নিজেদের অবস্থা জানাল SEBI।
বাংলাবিজে আরও পড়তে পারেন: আদানি-বিপর্যয়ের মধ্যেও চাঙ্গা শেয়ার বাজার, লম্বা দৌড় সেনসেক্স-নিফটির