নয়াদিল্লি : ভারতে চাকরির পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। মে মাসে দু’অঙ্কের ঘরে পৌঁছে গেল বেকারত্বের হার। সেন্টার ফর মনিটারিং ইকোনমির (CMIE) তথ্য বলছে শুধু শুধু মে মাসে চাকরি হারিয়েছেন ১ কোটি ভারতবাসী।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঝড়ে বিধি-নিষেধের কড়াকড়ি থাকলেও প্রথামবারের মতো দীর্ঘ সময় ধরে দেশ জুড়ে লকডাউন হয়নি। রাজ্যগুলি করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি অনুযায়ী লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গেও পুরো লকডাউন না করে বিধি নিষেধ আরোপ করে মানুষের গতিবিধিকে নিয়ন্ত্রণ করারহয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বে এ বছর মে মাসে দেশে চাকরি হারিয়েছেন সবচেয়ে বেশি।
সিএমআইই-র সিইও মহেশ ব্যাস জানিয়েছেন, ‘এবারে পুরোপুরি লকডাউন না হলেও স্থানীয় ভাবে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে বেকারত্বে হারে এটি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে।
কী বলছে সিএমআইই-র তথ্য
১৬ মে এবং ২৩ মে-এর সপ্তাহ শেষে বেকারত্ব ১৪.৫ এবং ১৪.৭ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে। যা ৮ মে সপ্তাহান্তের তুলনায় ৮.৭ শতাংশ বেশি। মহেশ ব্যাস জানিয়েছেন, ‘‘ এভাবে চলতে থাকলে মে মাসে বেকারত্বের ১০ শতাংশ টপকে যাবে।
গ্রাম শহরের পরিস্থিতি
ব্যাস জানিয়েছে, শহরে মে মাসের ৬ তারিখেই বেকারত্ব দু’অঙ্কের ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। মে ২০-তে ১২ শতাংশ এবং ২৩-এ ১২.৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।
অন্য দিকে গ্রামেও বেকারত্ব বৃদ্ধির হারটা সাম্প্রতিক। কারণ, সেখানে ১লা এপ্রিল বেকারত্বের হার ছিল ৬.৭ শতাংশ। তা ১লা মে হয়ে গিয়েছে ৭.১ শতাংশ। ফের বাড়ার আগে ৭মে এটি কমে হয় ৬.৭ শতাংশ। ২৩ আবার গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে। ৯.৭ শতাংশ।