পণ্য খারাপ হলে আর দৌড়ঝাঁপের দরকার নেই, পোর্টালের মাধ্যমেই সারাতে পারবেন ক্রেতা

repair

কোনো পণ্য কেনার পর তা খারাপ হয়ে গেলে মেরামতের জন্য ঘাম ঝরাতে হয় ক্রেতাকে। এমনও কিছু পণ্য রয়েছে, যা সারানোর জন্য হত্যে দিতে হয় প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছে। তবে এ ধরনের দৌড়ঝাঁপের দিন শেষ হতে চলেছে। নতুন একটি পোর্টাল চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রকের চালু করা ওই পোর্টালের মাধ্যমেই খারাপ হওয়া কোনো পণ্য মেরামত করে নিতে পারবেন ক্রেতা।

‘রাইট টু রিপেয়ার’ পোর্টাল কী

শনিবার কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী পীযূষ গয়াল (Piyush Goyal) ‘রাইট টু রিপেয়ার’ (right to repair) নামে একটি পোর্টাল চালু করেন। যেখানে কোনো পণ্যের প্রস্তুতকারক সংস্থা বিভিন্ন পণ্য়ের ম্যানুয়াল প্রকাশ করবে। ফলে পণ্য খারাপ হয়ে গেলে সেই ম্যানুয়াল দেখে ক্রেতা নিজে অথবা অন্য কোনো পক্ষকে দিয়ে তা সারাই করে নিতে পারবেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘রাইট টু রিপেয়ার’ পোর্টালের মাধ্যমে প্রস্তুতকারক সংস্থা সরাসরি ক্রেতার সঙ্গে কোনো পণ্যের বিশদ বিবরণের ম্যানুয়াল শেয়ার করে নেবে। যাতে পণ্য খারাপ হয়ে গেলে, শুধুমাত্র প্রস্তুতকারকের উপরেই নির্ভর করতে না হয়। সে ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে খাপার হয়ে যাওয়া পণ্যটি মেরামত করে নেওয়া যাবে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক ভাবে এই পোর্টালে মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক্স, ভোগ্যপণ্য, অটোমোবাইল এবং কৃষি সরঞ্জামগুলিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির জন্য সুবিধা পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে এই সুবিধার বহর আরও বাড়বে।

‘রাইট টু রিপেয়ার’ পোর্টালের লক্ষ্য

অনেক ক্ষেত্রেই কোনো পণ্য খারাপ হলে শুধুমাত্র প্রস্তুতকারক সংস্থার উপরেই মেরামতের জন্য নির্ভর করতে হয় ক্রেতাকে। কিন্তু পোর্টালটি চালু হওয়ার ফলে স্থানীয় মেরামতের দোকানগুলি উৎসাহিত হবে। সেখানেই সরাসরি চলে যেতে পারেন ক্রেতা। এমনকী, সারাইয়ের যোগ্য হলেও অনেক সময় ঝঞ্ঝাট এড়ানোর জন্য খারাপ হয়ে যাওয়া পণ্যটি ফেলে দেন ক্রেতা। এর নেপথ্যে রয়েছে বহুবিধ কারণ। প্রথমত, প্রস্তুতকারকের কাছে নিয়ে যেতে বা সংস্থার প্রতিনিধিকে ঢেকে তা সারাই করা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। বাড়তি সময়ও দিতে হয়। সেই জায়গায় যদি স্থানীয় মেরামতের দোকানেই তা সারাই করে নেওয়া যায়, তাতে এক দিকে যেমন ক্রেতা উপকৃত হবেন, অন্য দিকে ওই ধরনের দোকানগুলিরও ব্যবসা বাড়বে।

বলে রাখা ভাল, কেন্দ্রের এই উদ্যোগ এ দেশে নতুন হলেও ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ব্রিটেনের মতো দেশে তা আগেই চালু হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে তৃতীয় পক্ষের মেরামতকারী, সকলেই উপকৃত হচ্ছেন এই বিশেষ ব্যবস্থায়।

আরও পড়ুন: দেশের ১ হাজার ছোট স্টেশন সংস্কারের পরিকল্পনা রেলের, জুড়বে অত্যাধুনিক সুবিধা

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.