কলকাতা: সাত বছরের কার্যকালে বন্ধন ব্যাঙ্ক (Bandhan Bank)-এর মোট ব্যবসার পরিমাণ দুই লক্ষ কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করল। অনুকূল কাজের পরিবেশের উন্নতির সঙ্গে এবং ডিস্ট্রিবিউশনে উন্নতির মাধ্যমে ব্যাঙ্ক এই ত্রৈমাসিকে নিজের প্রভূত ব্যবসায়িক উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফল ঘোষণা করে এমনটাই জানিয়েছে ব্যাঙ্ক।
এগিয়ে যাওয়ার খতিয়ান
৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ অবধি বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট ব্যবসা (আমানত ও ঋণ) গত আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ১৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২,০০,০৭০ কোটি টাকা। ভারতবর্ষের ৩৬টির মধ্যে ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে থাকা মোট ৫,৭২৩টি ব্যাঙ্কিং আউটলেটের মাধ্যমে ২.৮৬ কোটি গ্রাহককে পরিষেবা দেয় বন্ধন ব্যাঙ্ক। বর্তমানে বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট কর্মী সংখ্যা ৬৬,০০০।
বন্ধন ব্যাঙ্কের আমানতের পরিমাণ গত আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় চলতি আর্থিক বছরের সমকালে ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে । বর্তমানে মোট আমানতের পরিমাণ ১,০২,২৮৩ কোটি টাকা। বর্তমানে মোট আমানতের মধ্যে কাসা অনুপাত হল ৩৬.৪ শতাংশ। গত অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে গ্রাহকদের প্রদত্ত ঋণের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষের সমকালে প্রদত্ত ঋণের পরিমান ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে মোট প্রদত্ত ঋণের পরিমাণ ৯৭,৭৮৭ কোটি টাকা।
ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও (সিএআর) যা কোনো ব্যাঙ্কের সুস্থিরতা প্রতিফলিত করে, বন্ধন ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে সিএআর এখন ১৯.১ শতাংশ, যা নিয়ন্ত্রক নির্ধারিত প্রয়োজনীয় মাত্রার তুলনায় অনেকটাই বেশি।
বন্ধন ব্যাঙ্ক এসএমই লোন, গোল্ড লোন,পার্সোনাল লোন এবং গাড়ির লোনের মতো ক্ষেত্রে নিজের পোর্টফোলিও বিস্তার করে চলেছে। কমার্শিয়াল ভেহিকেল লেন্ডিং এবং লোন এগেইনস্ট প্রোপার্টির মতো নতুন নতুন ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্ক ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে।
লক্ষ্য উন্নতির পরবর্তী ধাপে পৌঁছনো
এই আর্থিক ফলাফল প্রসঙ্গে বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে গত অর্থবর্ষের সমকালের তুলনায় প্রভূত ব্যবসায়িক উন্নতি হয়েছে। ব্যাঙ্ক তার প্রোডাক্ট পোর্টফোলিও বিস্তারের মাধ্যমে আরও বেশি করে সব শ্রেণীর গ্রাহকের প্রয়োজন মেটাতে এগিয়ে চলেছে। ব্যাঙ্ক তার উন্নতির পরবর্তী ধাপে পৌঁছনোর লক্ষ্যে সঠিক বহুমুখীকরণ পন্থাতেই অবিচল রয়েছে। আমরা কোটি কোটি দেশবাসীর বিশ্বাস অর্জন করতে পেরে ভাগ্যবান এবং আমরা তাঁদের স্বপ্ন পূরণের যাত্রায় অংশীদার হতে সবসময়ই সচেষ্ট থাকব।”
আরও পড়ুন: নজরে লোকসভা ভোট, বাজেটে গ্রামের দিকে বেশি নজর মোদী সরকারের