মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের একটি ভালো উপায় হিসাবে বিবেচিত হয় সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপি (SIP)। এর মাধ্যমে, বাজারের যাবতীয় উত্থান-পতনের সুবিধা নিতে পারেন এবং দীর্ঘমেয়াদে ভালো আয়ের মুখ দেখতে পারেন বিনিয়োগকারী। তবে একাংশের বিনিয়োগকারী মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার সময় এমন কিছু ভুল করেন, যাতে প্রাপ্ত রিটার্ন মনের মতো হয় না। দেখে নেওয়া যাক তেমনই কিছু ‘ভুল’।
রিসার্চ ছাড়াই বিনিয়োগ
এসআইপি-তে বিনিয়োগকারীকে নিজের সাধ্যমতো রিসার্চ করতে হবে। কোনো ব্যক্তি কোনো রিসার্চ ছাড়াই এসআইপি-তে বিনিয়োগ করলে, তিনি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। যেকোনো ফান্ডে বিনিয়োগ করার সময় একজনকে সবসময় তার অতীত কর্মক্ষমতা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং ব্যয়ের অনুপাতগুলি নিয়ে তুল্যমূল্য বিবেচনা করা উচিত।
আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার সময় অবশ্যই মাথায় থাকে লাভের বিষয়টি। কিন্তু এখানেও ভুল হয়ে যেতে পারে। অনেক বিনিয়োগকারী যে ভুলটি করেন তা হল তাঁরা নিজের আর্থিক লক্ষ্য স্থির করেন না। ফলে প্রয়োজন অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে পারছেন না এবং কম রিটার্ন পাচ্ছে।
বাজারের টাইমিং
এমন অনেক বিনিয়োগকারী রয়েছেন, যাঁরা বাজারের সময় নির্ধারণে ভুল করেন। বাজার যখন সর্বোচ্চ স্তরের কাছাকাছি থাকে তখন টাকা তুলে নেন। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, বাজার যখন নতুন উচ্চতায় ওঠে, তখনই বিনিয়োগকারীরা সুবিধা পান না।
বিনিয়োগে বৈচিত্র্য
সফল বিনিয়োগের জন্য বৈচিত্র্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার সময়, সবসময় বৈচিত্র্যের উপর জোর দেওয়া উচিত। তিন ধরনের ফান্ড রয়েছে, স্মল ক্যাপ, লার্জ ক্যাপ এবং মিড ক্যাপ। সেগুলিকে রিস্ক প্রোফাইলের ভিত্তিতে স্থান দেওয়া উচিত।
ফান্ড নির্বাচন
অনেক বিনিয়োগকারীই যে কোনো ফান্ডে বিনিয়োগ করে ফেলেন। কিন্তু কোনো ফান্ডে বিনিয়োগের আগে সেটির অতীত পারফরম্যান্স খুব ভালো হতে পারে, এর মানে এই নয় যে এর ভবিষ্যৎ পারফরম্যান্সও ভালো হবে। বিনিয়োগকারীর উচিত সব মাপকাঠি মাথায় রেখেই বিনিয়োগ করা। সেক্ষেত্রে ফান্ডের বর্তমান অবস্থা, ট্র্যাক রেকর্ড, কৌশল দেখেই বিনিয়োগ করা উচিত।
আরও পড়ুন: পেনশনভোগীদের লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া এখন অনেক সহজ, জানুন ৬টি পদ্ধতি