SIP-তে অটুট আস্থা, এক বছরে কতটা বেড়েছে বিনিয়োগ

বাজারে উত্থান-পতন। তা সত্ত্বেও সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপি (SIP)-তে আস্থা রেখেছেন খুচরো বিনিয়োগকারীরা। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে মিউচুয়াল ফান্ড শিল্প। পরিসংখ্যান অনুসারে, মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পে গত আর্থিক বছরে এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ধরা পড়েছে।

কতটা বেড়েছে?

অ্যাসোসিয়েশন অব মিউচুয়াল ফান্ড ইন ইন্ডিয়া (AMFI)-র তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে এসআইপি-র মাধ্যমে সংগ্রহ ২৫ শতাংশ বেড়ে ১.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। এর আগে, ২০২১-২২ অর্থবছরে এসআইপি-র মাধ্যমে ১.২৪ লক্ষ কোটি টাকা এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯৬,০৮০ কোটি টাকা পেয়েছিল মিউচুয়াল ফান্ড শিল্প। এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পের সংগ্রহ শেষ কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে।

কী কারণে বৃদ্ধি

এএমএফআই-এর তথ্য অনুসারে, মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পে এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ গত সাত বছরে তিনগুণ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে, এটি ছিল মাত্র ৪৩,৯২১ কোটি টাকা। গত কয়েক বছরের মিউচুয়াল ফান্ড শিল্প থেকে পাওয়া তথ্য থেকে স্পষ্ট, খুচরো বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধির প্রতি বিশ্বাস অব্যাহত রেখেছেন। এই কারণেই তাঁরা ক্রমাগত এসআইপি-র মাধ্যমে আরও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করছেন।

বৃদ্ধি মাসিক হিসেবেও

বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে মাসিক ভিত্তিতেও। গত আর্থিক বছরের মার্চ মাসে মিউচুয়াল ফান্ডগুলি এসআইপি থেকে ১২,৩২৮ কোটি টাকা পেয়েছে। এই সংগ্রহ ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪,২২৭ কোটি টাকা। এটি যে কোনো এক মাসে এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডের প্রাপ্ত সর্বোচ্চ সংগ্রহ এবং গত বছরের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। গত আর্থিক বছরে মাসিক ভিত্তিতে গড় এসআইপি সংগ্রহ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।

এসবিআই মিউচুয়াল ফান্ডের রেকর্ড

দেশীয় বাজারের অন্যতম বৃহত্তম ফান্ড হাউস এসবিআই মিউচুয়াল ফান্ডে গত আর্থিক বছরে এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য। এসবিআই মিউচুয়াল ফান্ড জানিয়েছে, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে নতুন এসআইপি-তে ২৭ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি হয়েছে। এসবিআই মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালিত সম্পদের পরিমাণ ৭ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: এসবিআই ‘অমৃত কলস’ স্পেশাল এফডি আবারও চালু হয়েছে, জানুন বিস্তারিত


Discover more from banglabiz

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from banglabiz

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading