বিবি ডেস্ক: ডিজিটাল ঋণ। যে কোনা দরকারে ঋণ নেওয়ার দ্রুততম এবং ক্রমশ বেড়ে চলা একটি উপায়। অনেকেই মনে করেন, এই পদ্ধতি সবচেয়ে সুবিধাজনক। তা ছাড়া এর বেশিরভাগই অনলাইন। ফলে ঋণ নেওয়ার প্রথাগত পদ্ধতির তুলনায় অনলাইনে ডিজিটাল লেনদেন অ্যাপের (digital lending apps) মাধ্যমে ঋণ হাতের নাগালে চলে আসে দ্রুত। তাই বলে কি ঝক্কি নেই?
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) তরফেও একাধিক বার ডিজিটাল ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তথ্যের গোপনীয়তার লঙ্ঘন, অন্যায্য ব্যবসায়িক আচরণ, অত্যধিক সুদের হার চার্জ করা এবং তা আদায় করার পদ্ধতি সম্পর্কিত উদ্বেগ রয়েছে।
অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ দেওয়া-নেওয়া নিয়ে সরকারও “অবৈধ ডিজিটাল ঋণ অ্যাপ” নিয়ে উদ্বিগ্ন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সম্প্রতি ‘অবৈধ ঋণ অ্যাপ’-এর উপর একটি বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছেন এবং এই ধরনের অবৈধ ঋণ অ্যাপের কার্যকলাপ প্রতিরোধে একাধিক পদক্ষেপের রূপরেখা দিয়েছেন। গত ২ সেপ্টেম্বর এই শিল্পের নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসাবে ডিজিটাল ঋণ নির্দেশিকা জারি করেছে আরবিআই।
ঋণগ্রহীতাদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে আরবিআই-এর নির্দেশিকাগুলি ব্যাঙ্ক, নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্স কোম্পানি, কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এবং হাউজিং ফিনান্স কোম্পানিগুলি-সহ সমস্ত ঋণদাতাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বেশিরভাগ ঋণদানকারী অ্যাপ বা ঋণদান পরিষেবা প্রদানকারীরা (LSPs) — তাদের নিজস্ব ব্যালেন্স শিট থেকে ঋণ দেয় না কিন্তু ব্যাঙ্ক এবং নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলির আউটসোর্সিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে তারা। যে কারণে, নির্দেশিকাগুলি ডিজিটাল ঋণের ব্যবসায় নিযুক্ত সমস্ত সংস্থার জন্য প্রযোজ্য।
চার্জ: সুদের হার বা ধার নেওয়ার খরচ, আবেদনের চার্জ, প্রক্রিয়াকরণের চার্জ, পরিশোধে দেরি হলে লেট পেমেন্ট ফি ইত্যাদির মতো সূক্ষ্ম বিষয়গুলি ভালো করে খতিয়ে দেখা গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ঋণে নিতে চূড়ান্ত সম্মতি জানানোর আগে তথ্য বিবৃতিতে (যেখানে ঋণের বিশদ বিবরণ থাকে) থাকা শর্তগুলি ভালো করে পড়ে নিন।
আপনার মেল চেক করুন: একবার ঋণ মঞ্জুর হয়ে গেলে, ঋণদাতাদের মূল তথ্য বিবরণী ঋণগ্রহীতার রেজিস্টার্ড ই-মেলে বা এসএমএসের মাধ্যমে পাঠানো বাধ্যতামূলক। মাসিক কিস্তি জমা করার ব্যাপারেও একই ধরনের বার্তা দেবে সংস্থা।
কুলিং-অব পিরিয়ড: একটি ঋণ মঞ্জুর করার পরে, ঋণগ্রহীতাকে কিছু সময় দেওয়া হয় যার মধ্যে সে আনুপাতিক সুদের হারের সঙ্গে মূল পরিমাণ পরিশোধ করে ঋণের টাকা মিটিয়ে দিতে পারে। ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি কুলিং-অব পিরিয়ডের জন্য কোনো ফি নেয় না।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে স্থানীয় ভাষায় কথা বলতে সক্ষম কর্মী নিয়োগ করতে হবে, বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী