ফ্রান্সের বার্নার্ড আর্নল্টকে টপকে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি (Gautam Adani) এখন বিশ্বের তৃতীয় ধনীতম ব্যক্তি। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের দিক থেকে আদানি বর্তমানে এলন মাস্ক (Eleon-Musk) এবং জেফ বেজোসের পিছনে রয়েছেন।
এলন মাস্ক এবং জেফ বেজোসের সম্পদের পরিমাণ যথাক্রমে ২৫,১০০ এবং ১৫,৩০০ মার্কিন ডলার। আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩,৭৪০ কোটি মার্কিন ডলার।
আদানি গ্রুপে সাতটি ঘোষিত তালিকাভুক্ত ব্যবসার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি, বন্দর ও লজিস্টিকস, খনি ও সম্পদ, গ্যাস, প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশ এবং বিমানবন্দর সংক্রান্ত ব্যবসা। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং টাটা গ্রুপের পরে আদানি গ্রুপ ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যবসায়িক গোষ্ঠী।
আদানিদের ব্যবসা
আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো হল আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন, আদানি পাওয়ার, আদানি টোটাল গ্যাস এবং আদানি ট্রান্সমিশন।
বিগত পাঁচ বছরে, ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজেস বিমানবন্দর, সিমেন্ট, কপার রিফাইনিং, ডেটা সেন্টার, গ্রিন হাইড্রোজেন, পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনিং, রাস্তা এবং সোলার সেল ম্যানুফ্যাকচারিং-সহ নতুন ক্ষেত্রগুলিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। সম্প্রতি টেলিকম ক্ষেত্রেও প্রবেশ করার পরিকল্পনা করেছে। পাশাপাশি গ্রিন হাইড্রোজেন এবং বিমানবন্দর ব্যবসাতেও ব্যাপক বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী।
তালিকায় কোথায় অম্বানি
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেই এশিয়া মহাদেশ ও ভারতের এক নম্বর ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন গৌতম আদানি। নিট সম্পদের নিরিখে পিছিয়ে পড়েছিলেন মুকেশ অম্বানি (Mukesh Amban)। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রিলায়েন্স প্রধান অম্বানির মোট সম্পদ ৯,১৯০ কোটি মার্কিন ডলার। তালিকায় ১১তম স্থানে রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দীপাবলিতেই কলকাতা-সহ ৪ শহরে চালু হবে জিও-র ৫জি