মিউচুয়াল ফান্ডে আগ্রহ ক্রমবর্ধমান, জুলাইয়ে রেকর্ড বিনিয়োগ এসআইপি-তে

sip

ইক্যুইটি ফান্ডের প্রবাহে মন্দা দেখা দিলেও, মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund, MF) শিল্পে বিনিয়োগের বহর ক্রমবর্ধমান। সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (SIP) রেকর্ড বিনিয়োগ হয়েছে জুলাই মাসে। মোট বিনিয়োগ ১৫,২৪৩ কোটি টাকা। যা সর্বকালের সর্বোচ্চে। গত জুন মাসে যা ছিল ১৪,৭৩৪ কোটি টাকা।

কীসে কতটা হ্রাস-বৃদ্ধি

অ্যাসোসিয়েশন অব মিউচুয়াল ফান্ডস ইন ইন্ডিয়া (Amfi) এর তথ্য অনুসারে, ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডগুলি আগের মাসের তুলনায় জুলাই ১২ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৭,৬২৬ কোটি টাকায় ঠেকেছে। তবে এসআইপিগুলি রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। জুলাইয়ের শেষ দিন পর্যন্ত এসআইপি এইউএম (Assets Under Management, AUM) ছিল ৮.৩২ লক্ষ কোটি টাকা, যা এক মাস আগে ছিল ৭.৯৩ লক্ষ কোটি টাকা।

এমনিতে এইউএম পরিমাণে টানাপোড়েন চলছে বেশ কয়েক মাস ধরেই। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববাজারের অস্থিরতা। মুদ্রাস্ফীতির চাপান-উতোর, কর্পোরেট আয়ের মধ্যে ইপিএস বৃদ্ধি, শক্তিশালী জিডিপি বৃদ্ধি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের স্থিতিশীল সুদের হারের ফলে যা এখন কিছুটা হলেও ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে।

রেকর্ড সংখ্যক অ্যাকাউন্ট

চলতি বছরের জুলাইয়ে এসআইপি অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮০.৫২ লক্ষে। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তার আগে, গত জুন মাসে এই সংখ্যাটি ছিল ৬৬৫.৩৭ লক্ষ। পাশাপাশি, জুলাই মাসে মিউচুয়াল ফান্ড ফোলিও জুনের ১৪,৯১,৩১,৭০৮ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫,১৪,২১,২৭০। বলা বাহুল্য, এটাও সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে।

উল্লেখযোগ্য ভাবে, ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে ১৩,০০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে এসআইপি-র মাধ্যমে। একইসঙ্গে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (এপ্রিল-জুলাই) মোট বিনিয়োগ প্রায় ৫৮,৫০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

এসআইপি কী?

এসআইপি হল মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে অফার করা একটি বিনিয়োগ পদ্ধতি। যেখানে কোনো ব্যক্তি একসঙ্গে বিনিয়োগ করার পরিবর্তে পর্যায়ক্রমিক বিরতিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করতে পারেন, যেমন মাসে একবার। এসআইপি কিস্তির পরিমাণ প্রতি মাসে ৫০০ টাকার মতো হতে পারে।

এসপিআই থেকে রিটার্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল অর্জিত আয়, যা আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব নয়। যদিও সম্পদ শ্রেণীর অতীত কর্মক্ষমতা এবং সেগুলির প্রত্যাশিত আচরণ/রিটার্নের উপর ভিত্তি করে উপদেষ্টারা অনুমানিক হিসেব কষে দেন। তবে, বাজারের অবস্থা, বিনিয়োগের কৌশল এবং বিনিয়োগের ধরন-সহ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে বিনিয়োগে রিটার্নের হার পরিবর্তিত হতে পারে।

আরও পড়ুন: ন্যূনতম ব্যালেন্স, অতিরিক্ত এটিএম লেনদেন থেকে এসএমএস পরিষেবা, ব্যাঙ্কের আদায়ের পরিমাণ জেনে চমকে যাবেন

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.