এখন বিনিয়োগের জন্য একটি সহজ এবং জনপ্রিয় বিকল্প হল মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund)। এতে বিনিয়োগকারীরা নিজের পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনতে এবং দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্য পূরণের সুযোগ পেয়ে যান। তবে এ ধরনের বিনিয়োগ প্রকল্পে কিছু ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জও রয়েছে। সেগুলি সম্পর্কে আগাম সতর্ক হওয়া খুবই জরুরি।
রিসার্চের গুরুত্ব
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেকেই আগাম খোঁজখবর নেন না। এটা একটা বড়ো ভুল। যে প্ল্যানে বিনিয়োগ করছেন, সে সম্পর্কে বিশদ জেনে নেওয়া বা রিসার্চের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়াও স্কিমের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য যেমন নথিপত্র এবং সমস্ত বিবরণ পড়া উচিত।
ফান্ড নির্বাচন
অনেক বিনিয়োগকারীই যে কোনো ফান্ডে বিনিয়োগ করে ফেলেন। কিন্তু কোনো ফান্ডে বিনিয়োগের আগে সেটির অতীত পারফরম্যান্স খুব ভালো হতে পারে, এর মানে এই নয় যে এর ভবিষ্যৎ পারফরম্যান্সও ভালো হবে। বিনিয়োগকারীর উচিত সব মাপকাঠি মাথায় রেখেই বিনিয়োগ করা। সেক্ষেত্রে ফান্ডের বর্তমান অবস্থা, ট্র্যাক রেকর্ড, কৌশল দেখেই বিনিয়োগ করা উচিত।
তাড়াহুড়ো করা
কখনও কখনও বিনিয়োগকারীরা বেছে নেওয়া ফান্ডটিকে অন্যান্য স্টকের সাথে তুলনা করার জন্য তাড়াহুড়ো করেন। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীর কখনোই কোনো স্টকের সঙ্গে ফান্ডের তুলনা করা উচিত নয়। মিউচুয়াল ফান্ডের উদ্দেশ্য দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা পাওয়া।
বিনিয়োগ বরাদ্দ
মিউচুয়াল ফান্ডে মুনাফা পেতে অনেকেই বিনিয়োগ বরাদ্দের বিষয়টি ভুলে যান। কিন্তু ফান্ডের বৈচিত্র্যের কথা মাথায় রাখতে হবে। অনেক বিনিয়োগকারীর সবচেয়ে বড়ো ভুল হল যে তাঁরা সমস্ত টাকা একসঙ্গে একটা ফান্ডেই বিনিয়োগ করেন। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
ঝুঁকির কথা মাথায় রাখা
মিউচুয়াল ফান্ড ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবেই পরিচিত। এতে ফিক্সড ডিপোজিটের মতো রিটার্নের গ্যারান্টি পাওয়া যায় না। ফলে আপনার যদি মনে হয়, নিজের সম্পদকে কোনো ভাবেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলব না, তা হলে এতে বিনিয়োগ না করাই ভালো। বিশেষজ্ঞদের কথায়, মিউচুয়াল ফান্ড আপনার ভবিষ্যতের আর্থিক সমস্যার সমাধান করতে পারে। তবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে নিজস্ব ঝুঁকি রয়েছে।
আরও পড়ুন: মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর, খরচ কমাতে নয়া প্রস্তাব সেবি-র