কয়েক কোটি সরকারি পেনশনভোগীকে বছরে একবার নিজের জীবন প্রমাণপত্র বা লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) জমা দিতে হয়। পেনশনপ্রাপক বর্তমানে জীবিত রয়েছেন কি না, তার প্রমাণ বহন করে এই শংসাপত্রটি। চলতি বছরেও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কাজটি সেরে ফেলতে হবে।
বর্তমানে আর সশরীরে কেন্দ্রে গিয়ে জীবন প্রমাণপত্র জমা না করলেও চলে। এসেছে অনলাইন সুবিধা। কোনো ঝঞ্ঝাট ছাড়াই ডিজিটাল ভাবে নিজের জীবন প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার একাধিক পথ রয়েছে। কোনো পেনশনভোগী এই ৬টি পদ্ধতি জেনে রাখতে পারেন।
আধার-ভিত্তিক
ইকোনমিক টাইমস-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৪ সালে আধার ভিত্তিক ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু হয়েছিল। এতে, আপনি নিজের আধারের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক বা কমন সার্ভিস সেন্টারে (CSC) বায়োমেট্রিক বিবরণ দিয়ে নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারেন।
জীবনপ্রমাণ পোর্টাল
পেনশনপ্রাপকদের জন্য রয়েছে জীবন প্রমাণ পোর্টাল। এই পোর্টালের মাধ্যমেও নিজের জীবন প্রমাণপত্র জমা দেওয়া যেতে পারে।
ফেস অথেন্টিকেশন
ফেস অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে জীবন প্রামান পোর্টালে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সুবিধাও দিয়েছে ইউআইএডিআই।
পোস্ট অফিস পরিষেবা
২০২০ সালে বাড়িতে ডাকঘরকর্মী পাঠিয়ে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সুবিধা করে দিয়েছিল সরকার। এটি একটি ডোর স্টেপ সার্ভিস যেখানে আপনি পোস্টম্যানের মাধ্যমে আপনার জীবন প্রমাণপত্র জমা দিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে প্লে স্টোর থেকে পোস্টইনফো অ্যাপ (Postinfo App) ডাউনলোড করতে হবে।
পোস্টইনফো ডাউনলোড
এ ছাড়াও পোস্টইনফো অ্যাপ ডাউনলোড করে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেন নিজেই। সেক্ষেত্রে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াগুলি অনুসরণ করে যেতে হবে।
ব্যাঙ্কিং পরিষেবা
দেশের ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক দেশের শীর্ষ ১০০টি শহরে গ্রাহকের ঘরের দরজায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু করেছে। এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে নিজের জীবন শংসাপত্র জমা দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: এই কাজটি না করলে আপনার পিপিএফ, সুকন্যা সমৃদ্ধি-সহ স্বল্প সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে!