প্রবীণদের জন্য ট্রেন টিকিটে ছাড় ফিরবে কি? সংসদে জবাব রেলমন্ত্রীর

train

নয়াদিল্লি: দেশে ট্রেন চলাচল করোনাকালের আগের নিয়মে ফিরে গেলেও করোনাকালে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড় আর চালু করতে চায় না ভারতীয় রেল। বুধবার সংসদে এমনটাই জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

প্রবীণ নাগরিকরা মহামারির আগে ট্রেনের টিকিটে যে ছাড় পেতেন, তা এখনই আর পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কোভিড -১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় তাঁদের জন্য ট্রেনের টিকিটের ছাড় স্থগিত করা হয়েছিল। বিভিন্ন ধরনের ভর্তুকি এবং বেতন বিলের কারণে উচ্চ ব্যয়ে ভুগছে রেল। যে কারণে, বর্তমান “পরিস্থিতি” বিবেচনায় রেখে প্রবীণদের জন্য সেই ছাড় এখনই ফিরছে না।

বুধবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সংসদে জানান, গত বছর যাত্রী পরিষেবার জন্য ৫৯,০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল। পাবলিক ট্রান্সপোর্টারের পেনশন এবং বেতন বিল খুব বেশি। ট্রেন ভ্রমণে প্রবীণ নাগরিকদের দেওয়া ছাড় কবে পুনরুদ্ধার করা হবে সেই বিষয়ে একটি প্রশ্নের এমনই জবাব দিলেন বৈষ্ণব।

তিনি আরও বলেন, রেলের বার্ষিক পেনশন বিল ৬০,০০০ কোটি টাকা, বেতন বিল ৯৭,০০০ কোটি টাকা এবং জ্বালানিতে ৪০,০০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। তাঁর কথায়, “আমরা গত বছর যাত্রী পরিবহণে ৫৯,০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছি, নতুন সুবিধা আসছে। যদি নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তবে আমরা সেগুলি নেব। তবে এখন পর্যন্ত, প্রত্যেকেরই রেলের অবস্থার দিকে নজর দেওয়া উচিত।”

এমনিতে রেলের তরফে যুক্তি, প্রবীণদের অনেকেই ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ছাড়ের সুযোগ নেন। কর্তৃপক্ষ সেই সুযোগ তুলে দেওয়ার পক্ষে। তবে পড়ুয়া, রোগী ও প্রতিবন্ধীদের ছাড়ের বিষয়টি রাখার পক্ষেই মত রেলকর্তাদের।

প্রসঙ্গত রেল মোট ৫৩ রকম ছাড় দিয়ে থাকে। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে ২০২০ সালের ২২ মার্চ অধিকাংশ ছাড় দেওয়া স্থগিত রাখা হয়। প্রতিবন্ধী, রোগী এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১৫ রকমের ছাড় চালু থাকে। এখনও সেই ব্যবস্থাই চলছে।

রেলের নিয়ম অনুযায়ী মহিলাদের ক্ষেত্রে ৫৮ বছর ও পুরুষের ক্ষেত্রে ৬০ বছরের বেশি বয়স হলেই এই ছাড়া দেওয়া হতো। মহিলাদের ক্ষেত্রে ভাড়ার ৫০ শতাংশ এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যেত। যা করোনার সময় থেকে বন্ধ রয়েছে।

তবে ছাড় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রবীণ নাগরিকরা রেল সফরে নিরুৎসাহ হয়ে পড়তে পারেন, তেমন একটা আশংকাও কিন্তু থাকছে। সে ক্ষেত্রে প্রবীণ নাগরিকদের ছাড় তুলে দিলে রেলের আদৌ কোনো লাভ হবে কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৪ হাজারের সীমা পার করল নিফটি ব্যাঙ্ক

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version