দুই সপ্তাহের খরা কাটিয়ে আবারও বাড়ল ভারতের বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার

foreign reserve

টানা দু’সপ্তাহ ধরে পতন। তবে ২ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে আবারও বেড়েছে ভারতের বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার (foreign reserves)। শুক্রবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক (RBI) জানিয়েছে, উল্লেখিত সপ্তাহে ভারতের বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে ৫৯২.৯ কোটি মার্কিন ডলার।

বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডারের ওঠা-নামা

২৬ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার থিতু হয়েছিল ৫৮৯১৩.৮ কোটি ডলারে। তার আগের সপ্তাহে ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার ৬০৫.২ কোটি ডলার কমেছিল। তবে ২ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার পৌঁছেছে ৫৯৫০৬.৭ কোটি ডলারে।

বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডারের অন্যতম একটি বিভাগ হল বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ (FCA)। যা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। গত ২ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে যা ৫২৭ কোটি ডলার বেড়ে হয়েছে ৫২৬২০.১ কোটি ডলার। এর আগের সপ্তাহে যা ৪০১.৪ কোটি ডলার কমে হয়েছিল ৫২০৯৩.১ কোটি ডলার। তার আগের সপ্তাহে এই বিভাগে ৪৬৫.৪ কোটি ডলারের পতন দেখা গিয়েছিল।

বলে রাখা ভালো, ডলারের নিরিখে প্রকাশ করা হলেও বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদের মধ্যে ইউরো, পাউন্ড এবং ইয়েনের মতো অ-মার্কিন ইউনিটগুলির মূল্যায়ন বা অবমূল্যায়নের প্রভাবও রয়েছে এ দেশের বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডারে।

পরিস্থিতির রদবদল

উল্লেখযোগ্য ভাবে, ২০২১ সালের অক্টোবরে, দেশের ফরেক্স সম্পদ সর্বকালের সর্বোচ্চে ৬৪৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল। বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের কারণে মূলত চাপের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রুপির মূল্য রক্ষা করার জন্য ডলার বিক্রিতে হস্তক্ষেপ করায় বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডারে পতন দেখা গিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের শেষ কয়েক মাস ধরে ডলারের তুলনায় দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে ভারতীয় টাকা। ভেঙেছে একের পর এক সর্বকালীন সর্বনিম্ন রেকর্ড। ডলার ক্রমশ শক্তিশালী হওয়ার কারণে তীব্র চাপের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে অন্যান্য মুদ্রাগুলিও। আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে বছর ঘুরতে পরিস্থিতির কিছুটা হলেও বদল দেখা যাচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার, আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, ভারতীয় অর্থনীতি শক্তিশালী এবং স্থিতিস্থাপক অবস্থানে রয়েছে।বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডার স্বস্তিদায়ক স্তরে রয়েছে। তাঁর কথায়, “২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ভারতীয় রুপি স্থিতিশীল রয়েছে।”

আরও পড়ুন: ফের রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই, এ বার কি সুদের হার কমবে?

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version