বিশাল গুপ্ত: গত সপ্তাহের শেষ দিনেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, ভারতের শেয়ার বাজারে বলদ-দৌড় ফের শুরু হয়ে গিয়েছে। তার স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও নজরে রাখা যেতে পারে অটো সেক্টরকে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল উৎপাদক সংস্থা ‘আরামকো’-র দু’টি তেলের খনিতে ড্রোন-হানার জেরে শেয়ার বাজারে নেতিবাচক প্রভাব জারি ছিল প্রায় এক সপ্তাহ। তবে সপ্তাহান্তে গত শুক্রবার শেয়ার বাজারের মেজাজ বদল ঘটেছে। নেপথ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের ঘোষণা।
ওই দিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দেশীয় সংস্থা ও নতুন উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলির কর্পোরেট কর কমানোর ঘোষণা করেন। এর ফলে কর্মসংস্থানের হার ও অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি সম্ভব বলে মনে করছে কেন্দ্র। এই ঘোষণার পরেই শেয়ার বাজারের সমস্ত সূচক চড়চড়িয়ে উপরের দিকে উঠতে শুরু করে। সেনসেক্স থামে ৩৮,০১৪.৬২ পয়েন্টে। বেলা শেষে সেনসেক্সের দখলে যায় ১,৯২১ (৫.৩২ শতাংশ) পয়েন্ট। অন্য দিকে বাজার বন্ধের সময় নিফটি দাঁড়িয়ে ছিল ১১,২৭৪.২০ পয়েন্টে। এক দিনে ৫৬৯.৪০ (৫.৩২ শতাংশ) পয়েন্ট ঝুলিতে পুরে নেয় নিফটি।
রাজ্য সরকারগুলি হার কমানোর বিরোধিতা করায় জিএসটি কাউন্সিল অটো সেক্টরের জন্য জিএসটি ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে। তবুও গত সপ্তাহে বাজারের উর্ধগামিতার রেশ ধরেই একাধিক গাড়ি নির্মাতা সংস্থার শেয়ারের দরে পারদ চলেছে।
যেমন আইশার মোটরস ৬.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৭,৮৪৩.৯০ টাকায় ঠেকেছে। হিরো মোটোকর্প এবং এম অ্যান্ড এম (মাহিন্দ্রা) প্রত্যেকে ৩.২ শতাংশ লাভ করেছে। টাটা মোটরস-এর বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশ, মারুতি ২.১ শতাংশ এবং বাজাজ অটো ১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতির মন্দার জেরে গাড়ি শিল্পে যে ভাঁটা চলছে, তা কাটিয়ে ওঠার যাবতীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি ঘোষণার সার্বিক ইতিবাচক প্রভাবে আলোকিত হচ্ছে এই শিল্পও। স্বাভাবিক ভাবেই সোমবার থেকে শুরু হওয়া আরও একটা নতুন ট্রেডিং উইকে নজরে রাখা যেতে পারে অটো সেক্টরকে।