কী কারণে ফের উত্থান? কোন দিকে অভিমুখ শেয়ার বাজারের

stock market

বাংলা বিজ ডেস্ক: ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইক্যুইটি সূচকগুলি বুধবার তৃতীয় দিনের জন্য উত্থান ধরে রাখল। এ দিন সেনসেক্স বাড়ল ১১,০০ পয়েন্টের বেশি পাশাপাশি নিফ‌টি ফিফটিও বেড়েছে প্রায় আড়াইশো পয়েন্ট।

৩০ স্টকের সূচক সেনসেক্স এ দিন বন্ধ হয়েছে ৫১,৪৪৫ পয়েন্টে (বেড়েছে ১,১৪৮ পয়েন্ট)। অন্যদিকে ৩২৭ পয়েন্ট বেড়ে নিফ‌টি বন্ধ হয়েছে ১৫,২৪৬ পয়েন্টে।

অন্যতম উত্থান

এ দিনের শীর্ষস্থানীয় উপার্জনকারী স্টকগুলির মধ্যে রয়েছে বাজাজ ফিনসার্ভ, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, বাজাজ ফিনান্স, এইচডিএফসি, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক।

অন্যদিকে মারুতি সুজুকি, বাজাজ অটো এবং মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা এ দিন নীচে নেমেই বন্ধ হয়েছে।

এনএসই প্ল্যাটফর্মে এক মাত্র নিফটি অটো বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত উপ-সূচকগুলি সবুজে বন্ধ হয়েছে এ দিন। নিফটি মেটাল উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে ৩.৩৪ শতাংশ।

কী কারণে উত্থান?

মূলত ব্যাঙ্কিং এবং আর্থিক স্টকগুলিতে ভর দিয়েই এ দিন উপরের দিকে উঠেছে ভারতীয় শেয়ার বাজার। নিফটিতে প্রাইভে‌ট ব্যাঙ্ক ইনডেক্স বেড়েছে ২.৭৫ শতাংশ, যেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ইনডেক্সের উত্থান ৩.১৬ শতাংশ।

নিফটি মেটাল বেড়েছে ৩.৩৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে এই সূচকের বৃদ্ধি ঘ‌টেছিল ২৪.২ শতাংশ। যা মার্চেই বেড়েছে ৬ শতাংশ।

বন্ড ফলন হ্রাস পাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা ইউরোপ এবং এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলিতে মনোনিবেশ করেছেন। এটি সম্ভাব্য সুদের হার বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগকে প্রশমিত করেছে।

তবে, আগামী মাসগুলিতে শক্তিশালী অর্থনৈতিক বৃদ্ধির প্রত্যাশাগুলি উদ্বেগকে বাড়িয়ে তুলেছে। ধারণা করা হচ্ছে সুদের হার আরও বেশি হবে।

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ভারতের টিকাকরণ কর্মসূচিও নজর টেনেছে বিনিয়োগকারীদের। সাধারণ মানুষকে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ট‌িকা সরকারের ভাঁড়ারে মজুত রয়েছে, এমন এক‌টা বিশ্বাস সাহস জুগিয়েছে শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীদেরও।

করোনা মহামারির জেরে লকডাউনের ধাক্কা সামলে অর্থনীতি ফের ধীরে হলেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তার বেশ কিছু ইঙ্গিত মিলেছে। ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধি, ফেব্রুয়ারিতে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বৃদ্ধি, ইত্যাদি।

আরও পড়তে পারেন: সপ্তাহান্তে রক্তক্ষরণের পর সোমবার সেনসেক্স উঠল ৭০০ পয়েন্টর বেশি

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.