শেয়ার বাজার
সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৪ হাজারের সীমা পার করল নিফটি ব্যাঙ্ক
আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির হার নিম্নমুখী, উৎসাহের জোয়ার ভারতীয় স্টক মার্কেটে

মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে আমেরিকায়। বুধবার সেই খবরেই ভর করে ভারতীয় স্টক মার্কেটের অন্যতম দুই সূচক সেনসেক্স ও নিফটি উপরে উঠেই বন্ধ হল। মঙ্গলবারের পর বুধবার মিলিয়ে চলতি সপ্তাহে পর পর দু’টি ট্রেডিং সেশনে উত্থান হল মূল সূচকগুলির।
ব্যাঙ্কিং, আইটি, ধাতু ও জ্বালানি ক্ষেত্রের শেয়ার কেনার কারণে এ সব ক্ষেত্রগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত সূচকগুলিও উপরে উঠে বন্ধ হয়েছে। বিএসই সেনসেক্স ১৪৪ পয়েন্ট বা ০.২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬২,৬৭৮-এ বন্ধ হয়েছে, যেখানে এনএসই নিফটি ৫৮ পয়েন্ট বা ০.২৮ শতাংশ বেড়ে ১৮,৬৬০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে।
ব্যাঙ্কিং স্টকগুলির বৃদ্ধির কারণে এ দিন সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৪ হাজারের সীমা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে ব্যাঙ্ক নিফটি। এই সূচক ০.২৩ শতাংশ বা ১০২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪০৪৯ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। আগের দিন ৪৪ হাজারের গণ্ডির কাছাকাছি পৌঁছালেও এ দিন সেই সীমা অতিক্রম করে ফেলল ব্যাঙ্ক নিফটি।
অন্য দিকে, নিফটি মিডক্যাপ ০.৬০ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে বন্ধ হয়েছে এবং নিফটি স্মল ক্যাপ ০.৭১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেনসেক্স-এর স্টকগুলির মধ্যে টেক মাহিন্দ্রা ১.৫৮ শতাংশ, টাটা স্টিল ১.৮০ শতাংশ, এসবিআই ১.৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্টো দিকে দাম কমেছে নেসলে, ভারতী এয়ারটেল, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের।
পরিসংখ্যান বলছে, পুঁজিবাজারে উচ্ছ্বাসের কারণে বিনিয়োগকারীদের সম্পদ বেড়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। বিএসই-তে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির মার্কেট ক্যাপ ২৯০ লক্ষ কোটি টাকা বেড়ে ২৯১.০৭ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনলাইনে কী ভাবে জিএসটি রেজিস্ট্রেশনের আবেদন জানাবেন
খবর
বাজারে অত্যাধিক অস্থিরতার মোকাবিলায় নজরদারি বজায় আছে, আদানি প্রসঙ্গে SEBI
বিবৃতিতে অবশ্য সরাসরি আদানি গোষ্ঠীর নাম করেনি সেবি। তবে তারা জানিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে এক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর স্টকে অস্বাভাবিক গতিবিধি শুরু হয়েছে।

অবশেষে আদানি কাণ্ডে মুখ খুলল SEBI। শনিবার এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, শেয়ার বাজারের নির্ভরযোগ্যতা সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর তারা। বাজারের মাত্রারিতিক্ত অস্থিরতা মোকাবিলায় তাদের পর্যাপ্ত নজদারির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বিবৃতিতে অবশ্য সরাসরি আদানি গোষ্ঠীর নাম করেনি সেবি। তবে তারা জানিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে এক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর স্টকে অস্বাভাবিক গতিবিধি শুরু হয়েছে। তবে নাম না বললেও শেয়ার বাজারের সাম্প্রতিক গতিবিধি আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দিকে ইঙ্গিত করছে।
সেবি জানিয়েছে, কতগুলি ‘নির্দিষ্ট স্টক’-এর অত্যাধিক অস্থিরতা মোকাবিলার জন্য বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেবির সেই ব্যবস্থা নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে নিজে থেকেই চালু হয়ে যায়।
তবে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত শুরু করেছে কি না তা নিয়ে কিছু জানায়নি।
আদানি গ্রুপের তিনটি সংস্থা- আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস ও স্পেশাল ইকোনমিক জোন এবং অম্বুজা সিমেন্ট-কে তাদের স্বল্পমেয়াদী বাড়তি নজরদারি প্রক্রিয়ার (ASM) আওতায় রেখেছে সেবি।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পর থেকেই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে ধস নামে। সংস্থার বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি, অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতি এবং বিপুল দেনার অভিযোগ তোলে। আর তারপরেই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে হঠাৎ পতন হয়।
এই ঘটনা নিয়ে বিরোধী ও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ সেবির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল। সংসদেও উঠেছে এই দাবি। শেষ পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠীর নাম না করে নিজেদের অবস্থা জানাল SEBI।
বাংলাবিজে আরও পড়তে পারেন: আদানি-বিপর্যয়ের মধ্যেও চাঙ্গা শেয়ার বাজার, লম্বা দৌড় সেনসেক্স-নিফটির
খবর
আদানি-বিপর্যয়ের মধ্যেও চাঙ্গা শেয়ার বাজার, লম্বা দৌড় সেনসেক্স-নিফটির
শুক্রবার সবচেয়ে লাভবান স্টকগুলির মধ্যে রয়েছে টাইটান, বাজাজ ফিন্যান্স, বাজাজ ফিনসার্ভ. এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি।

সপ্তাহের শেষ কেনাবেচার দিনে শক্তিশালী অবস্থানে থিতু হয়েছে ভারতীয় শেয়ার বাজার। ফিন্যান্সিয়াল এবং আইটি শেয়ারগুলির কাঁধে ভর দিলে অনেকটাই উঁচুতে উঠে বন্ধ হয়েছে অন্যতম সূচকগুলি। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ভারতের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) নিজের ত্রৈমাসিক আয়ের রিপোর্ট পেশ করার আগে আর্থিক লাভ করেছে।
বিএসই সেনসেক্স (BSE Sensex) ৯০০ পয়েন্ট উপরে উঠে ৬০.৮৫০-এর কাছাকাছি স্থির হয়েছে। অন্য দিকে, এনএসই নিফটি (NSE Nifty) প্রায় ২৫০ পয়েন্ট এগিয়ে ১৭,৮৫০-এর উপরে বন্ধ হয়েছে। নিফটি এই সপ্তাহে ১.৪ শতাংশ বেড়েছে এবং এর অন্তর্গত ৫০টি স্টকের মধ্যে লাভের খাতায় নাম লিখিয়েছে ২৭টি। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে নিফটি ব্যাঙ্ক এই সপ্তাহে ২.৭ শতাংশ লাফিয়েছে। অন্য দিকে, ইনফোসিস-এর মতো সংস্থার উপর নির্ভর করে নিফটি আইটি সূচক টানা চতুর্থ সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী।
শুক্রবার সবচেয়ে লাভবান স্টকগুলির মধ্যে রয়েছে টাইটান, বাজাজ ফিন্যান্স, বাজাজ ফিনসার্ভ. এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি। এ ছাড়াও এ দিন সবচেয়ে সক্রিয় স্টকের মধ্যে ছিল আদানি এন্টারপ্রাইজেস, আদানি পোর্টস সেজ, আরআইএল, এসবিআই, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। নিফটি-কে পিছনের দিকে টেনে ধরার চেষ্টা করেছে টেক মাহিন্দ্রা, এইচসিএল টেক, উইপ্রো সেনসেক্সে ওজন করেছে যখন ডিভিস ল্যাবস, বিপিসিএল।
প্রসঙ্গত, আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ারের পতন অব্যাহত রয়েছে। ২০ হাজার কোটি টাকার এফপিও বন্ধ করার পরে আদানি এন্টারপ্রাইজ ২ শতাংশের বেশি কমে ১,৫৩১ টাকায় নেমে এসেছে। আদানি টোটাল গ্যাস ৫ শতাংশ, আদানি গ্রিন এবং আদানি ট্রান্সমিশন ১০ শতাংশ করে কমেছে।
ও দিকে, আমেরিকার শেয়ার বাজারে বৃহস্পতিবার রাতে বাজার খোলার কিছু ক্ষণ পরে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার দরের পতন ঘটতে শুরু করে। যার প্রভাব পড়ে ডাও জোন্স সূচকেও। এক সময় সূচক তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় আদানির সংস্থাকে। পরে আবার তা চালু হলেও পতন ঠেকানো যায়নি। সামগ্রিক ভাবে আদানিদের ওই সংস্থাগুলির শেয়ার দর পড়েছে ৫ শতাংশেরও বেশি। আর তার অভিঘাতে ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে পতন ঘটে ডাও জোন্স সূচকে।
আরও পড়ুন: আদানিকাণ্ডে এলআইসি লগ্নিকারীদের উপর আঁচ পড়বে না, বিবৃতি বিমা সংস্থার
খবর
প্রত্যাশা অনেক! বাজেট আবহে তুঙ্গে শেয়ার বাজার
এ বারের বাজেটে বেশ কিছু চমক থাকবে ধরে নিয়েই যথেষ্ট উৎসাহিত শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীরাও।

১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ সংসদে। তার কয়েক ঘণ্টা আগে শেয়ার বাজার খোলার সঙ্গেই বাজেট প্রত্যাশার আবহে তুঙ্গে সূচকগুলি।
মঙ্গলবার দোলাচলে ভুগতে থাকা শেয়ার বাজারে সেনসেক্স বন্ধ হয়েছিল ৫৯,৫৪৯ পয়েন্ট। এ দিন সকালে বাজার খোলার সময় ৩০ স্টকের এই সূচক পৌঁছে যায় ৬০ হাজারের উপরে। বাজেট পেশের আগে পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬০,০৯৯ পয়েন্টে পৌঁছে যায় সেনসেক্স।
অন্য দিকে, নিফটি ফিফটি-তে প্রায় ১ শতাংশের উত্থান। গতকাল যেখানে ১৭,৬৬২ পয়েন্টে থিতু হয়েছিল ৫০ স্টকের এই সূচক, বুধবার সকালে তা পৌঁছে যায় ১৭,৮১৫-য়।
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই বাজেট প্রস্তুত করা হতে পারে বলে মিলেছিল পূর্বাভাস। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বাজেট অধিবেশন। প্রথম দিন যৌথ কক্ষের সামনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। ২০২২-২৩ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টও পেশ করা হয়েছে সংসদে। সংবাদ মাধ্যমের সামনে বাজেট নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁদের দু’জনের মন্তব্যেই দেশের কথা উঠে এসেছে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের এটাই শেষ সাধারণ বাজেট। ভোটমুখী ভারতে তাই বুধবারই ২০২৪ সালের দিকে তাকিয়ে বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।ফলে এ বারের বাজেটে বেশ কিছু চমক থাকবে ধরে নিয়েই যথেষ্ট উৎসাহিত শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীরাও।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ সংসদে, বাজেট পেশের আগে জানুন মূল বিষয়গুলি
-
খবর3 months ago
আশঙ্কা বাড়িয়ে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্কের পর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমাল মুডিজও
-
ফিনান্স3 months ago
বিনিয়োগের তালিকায় কেন রাখতেই হবে আপৎকালীন তহবিল
-
ফিনান্স3 months ago
বাড়িতে বসে কী ভাবে ইপিএফ ক্লেম স্ট্যাটাস জানবেন, রইল সহজ পদ্ধতি
-
বিমা4 months ago
স্বাস্থ্য বিমা করাবেন? এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন
-
বিমা4 months ago
মানসিক সমস্যায় কি স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাওয়া যায়?
-
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি2 months ago
হোয়াটসঅ্যাপে এলআইসি পরিষেবা, জানুন কী ভাবে ব্যবহার করবেন
-
ফিনান্স5 months ago
বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন? তা হলে এই ৫টি টিপসে চোখ বুলিয়ে নিন
-
খবর5 months ago
SIP: সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এসআইপি