বিশ্ববাজারে পতন। শুক্রবার তারই রেশ পড়ল ভারতীয় স্টক মার্কেটে। দিনের শুরুতেই ধরা পড়েছিল দুর্বলতা। সাময়িক ভাবে ফের গতি পায় কেনাবেচা। কিছুটা পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয় বেঞ্চমার্ক সূচকগুলি। কিন্তু দিনের শেষে খাদে নেমেই বন্ধ হল দুই মূল সূচক সেনসেক্স এবং নিফটি ফিফটি।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বাজারগুলি মন্দার উদ্বেগের কারণে পিছলে গেছে। এরই মধ্যে, নভেম্বরের খুচরো বিক্রির হতাশাজনক তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ক্রেতার ঘাড়ে বোঝা বাড়িয়ে চলেছে মূল্যবৃদ্ধি। সবমিলিয়ে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে মন্দার ছাপ। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফেডারেল রিজার্ভও।
এ দিন নিফটির সবচেয়ে লাভবান শেয়ারগুলির মধ্যে ছিল ওএনজিসি, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো, টাটা মোটরস এবং আদানি পোর্টস। যেখানে টিসিএস, এশিয়ান পেইন্টস, এইচডিএফসি, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা এবং কোটাক ব্যাঙ্ক পিছিয়ে পড়েছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে উল্লেখিত সমস্ত শেয়ার তো বটেই, বাকিগুলিও ক্রমশ খাদে গিয়ে পড়ে।
শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় দেখা যায়, বিএসই সেনসেক্স ৪৬১ পয়েন্ট বা ০.৭৫ শতাংশ নেমে ৬১,৩৩৭-তে পৌঁছেছে। অন্য দিকে, ১৪০ পয়েন্ট বা ০.৭৬ শতাংশ পড়ে গিয়ে বন্ধ হয়েছে ১৮,২৭৪-এ। দুই সূচকের অন্তর্গত অধিকাংশ শেয়ারই এ দিন লোকসানের মুখে পড়েছে।
ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তির স্টকগুলির মন্দা দশা এ দিনেও অব্যাহত। কারণ বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন যে উন্নত বাজারে ক্রমবর্ধমান মন্দা সংস্থাগুলিকে প্রভাবিত করবে। নিফটি আইটি, ০.৭৬ শতাংশ নিচে, এনএসই-এর অন্য সূচকগুলির মধ্যে ক্ষতির নেতৃত্ব দিয়েছে, নিফটি কনজিউমার ডিউরেবলস, নিফটি হেলথকেয়ার, নিফটি এফএমসিজি এবং নিফটি অটো। উল্টো দিকে, লাভের মুখ দেখেছে নিফটি অয়েল অ্যান্ড গ্যাসে, যা উইন্ডফল ট্যাক্স হ্রাসের পরে ০.৭৭ শতাংশ যোগ করেছে। নিফটি মিডিয়া, পিএসইউ ব্যাঙ্ক, রিয়েলটি এবং প্রাইভেট ব্যাঙ্কও কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখেছে।
এর আগে আমেরিকায় সুদ বাড়তেই অনেকে হাতের শেয়ার বেচে মুনাফা তুলেছেন। ৫০ বেসিস পয়েন্ট করে সুদ বাড়িয়েছে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড। বিশ্ব বাজারে সুদ বাড়লে এ দেশের অর্থনীতির যে ঝুঁকি রয়েই যায়। এমনকী মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলায় শেষ কয়েক মাসে ধাপে ধাপে মূল সুদের হার বাড়িয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কও।
ও দিকে, ফের এক বার আন্তর্জাতিক বাজারে কমল অপরিশোধিত তেলের দাম। গত ট্রেডিং সেশনে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় ১.৫ শতাংশ পড়েছে।
আরও পড়ুন: আসছে একাধিক আইপিও, চোখ রাখতে পারেন এই সংস্থায়