কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই বেড়েছে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা। সেই প্রেক্ষিতে ভারতের শেয়ারবাজারে ব্যাপক পতন শুক্রবার। সেনসেক্স ১,০০০ পয়েন্টেরও বেশি পতন ঘটিয়ে ৭৯,০০০-এর নিচে নেমে এসেছে। নিফটি সূচকও ২৪,০০০ পয়েন্টের নিচে পড়ে গেছে।
শুক্রবার দিনের শুরুতে বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বগতি ও বিদেশি বিনিয়োগের জেরে বাজারে উত্থান দেখা গেলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি এবং পরে বাজার নিম্নমুখী হয়ে পড়ে।
এছাড়া, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম প্রাইভেট ব্যাংক অ্যাক্সিস ব্যাংকের মার্চ কোয়ার্টারে হতাশাজনক আয়ের রিপোর্ট বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ব্যাংকটি আগের বছরের ৭,১৩০ কোটি টাকার তুলনায় এই কোয়ার্টারে ৭,১১৭ কোটি টাকার মুনাফা করেছে, ফলে শেয়ার ৪.৬৫% পতন দেখেছে।
অ্যাক্সিস ব্যাংক ছাড়াও যেসব কোম্পানির শেয়ারে বড় পতন হয়েছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে বাজাজ ফিনান্স, বাজাজ ফিনসার্ভ, টাটা মোটরস ও টেক মহীন্দ্রা। তবে লাভবান সংস্থার মধ্যে ছিল টিসিএস, ইনফোসিস, রিলায়েন্স, এইচসিএল টেক, এইচডিএফসি ব্যাংক ও আইসিআইসিআই ব্যাংক।
‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ নামে পরিচিত জনপ্রিয় পর্যটনস্থানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২৬ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হওয়ার পর দুই দেশ একে অপরের কূটনৈতিক কর্মীদের ফিরিয়ে নিয়েছে এবং পরস্পরের নাগরিকদের জন্য জারি করা ভিসাও বাতিল করেছে।
এছাড়া, সীমান্তে পাকিস্তানি সেনার তরফে “লাগাতার গুলি” চালানো হয়েছে, যা ভারতীয় পক্ষকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় বাহিনী উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।
যদিও ভারতীয় বাজারে পতন চলছে, কিন্তু এশিয়ার অন্যান্য বাজারগুলো ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি, টোকিওর নিক্কেই ২২৫, হংকংয়ের হ্যাংসেং ও সাংহাইয়ের এসএসই কম্পোজিট সবই সবুজ সংকেতে রয়েছে।
একই ধরনের ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে মার্কিন শেয়ারবাজারেও। বৃহস্পতিবার রাতে ন্যাসডাক কম্পোজিট ২.৭৪ শতাংশ, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ২ শতাংশ এবং ডাও জোন্স ১.২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।