শেয়ার বাজার
সপ্তাহান্তে রক্তক্ষরণের পর সোমবার সেনসেক্স উঠল ৭০০ পয়েন্টর বেশি
সোমবার, সপ্তাহের শুরুর দিনে দুই সূচকেই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ধরা পড়ল।

বাংলা বিজ ডেস্ক: গত শুক্রবার, সপ্তাহের শেষ কেনাবেচার দিনে ২,১০০ পয়েন্টের পতন দেখেছিল ভারতীয় শেয়ার বাজারের অন্যতম সূচক সেনসেক্স। ধস নেমেছিল আরেক সূচক নিফটি ফিফটতেও। তবে সোমবার, সপ্তাহের শুরুর দিনে দুই সূচকেই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ধরা পড়ল।

এ দিন সকালে বাজার খোলার শুরু থেকেই বাজারে বিনিয়োগের মৃদু প্রবণতা ধরে পড়ে। এইচডিএফসি, ইনফোসিসের মতো স্টকে ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলতে শুরু করে। যথেষ্ট ইতিবাচক ফলাফল মিলল অটো সেক্টরেও। হিরো মোটোকর্প এ দিন উপরের দিকে গেল ৩.৭ শতাংশ আবার মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দারর বৃদ্ধি ৩.৫ শতাংশ। অন্যান্য স্টকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন (৩.৫ শতাংশ), ওএনজিসি (৩.৩ শতাংশ), টাইটান (২.৯ শতাংশ) ইত্যাদি। তবে সার্বিক ভাবে ইক্যুইটি মার্কেটে বিনিয়োগের হার এখন অনেকটাই নিস্তেজ।
এ দিন আগের দিনের ক্ষতের প্রলেপ সামান্য হলেও লাগল শেয়ার বাজারে। সেনসেক্স সর্বোচ্চ ৫০,০৫৮ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়ে ৪৯,৮০০-র আশেপাশে থিতু হয়েছে। বৃদ্ধির হার প্রায় দেড় শতাংশের কাছাকাছি। আবার নিফটি এ দিন ফের ১৪,৮০০ ছুঁয়ে ফেলল।
রাষ্ট্রীয় কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্টিলাইজারস লি: + ১৯.৯৬ শতাংশ, এমএমটিসি লি: +১৯.৯৫ শতাংশ, দীপক ফার্টিলাইজার অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল কর্পোরেশন লি: +১৫.২৫ শতাংশ, এনবিসিসি (ইন্ডিয়া) লি: +১৪.০০ শতাংশ, জাস্ট ডায়াল লি: +১৩.৯৫ শতাংশ, দীপক নাইট্রেট লি: +১২.৬৯ শতাংশ।
নীচে নামা অন্যতম স্টকগুলি
ব্য়াঙ্ক অব মহারাষ্ট্র: -৩.৩২ শতাংশ, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া: – ৩.০৭ শতাংশ, ভারতীয় এয়ারটেল লি: -৪.৫৯ শতাংশ, টিউব ইনভেস্টমেন্ট অব ইন্ডিয়া লি: -৪.৩৩ শতাংশ এবং হিমাদ্রী স্পেশালিটি কেমিক্যাল লি: -১১.৪০ শতাংশ।
বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞদের মতে, আগের দিন বিশ্ববাজারের চাপ নিতে পারেনি ভারতের শেয়ার বাজার। আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিট গত বৃহস্পতিবার যে পতন দেখেছিল, তারই বহির্প্রকাশ ঘটেছিল দালাল স্ট্রিটে। তবে এ দিন একাংশের বিনিয়োগকারী নতুন করে ভারতের শেয়ার বাজারের দিকে ফিরে তাকানোয় এই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।
আরও পড়তে পারেন: শুক্রবার শেয়ার বাজারে ‘রক্তক্ষরণ’! কী কারণে?
খবর
শেয়ার বাজারে হুড়মুড়িয়ে ধস! মাথায় হাত লগ্নিকারীদের
সকালে বাজার খুলতেই পড়তে শুরু করে একের পর এক নামী কোম্পানির শেয়ার। আদানি গ্রুপের বেশিরভাগ শেয়ারের দাম ব্যাপক কমেছে।

সপ্তাহের শেষ কেনাবেচার দিনে বড়োসড়ো ধাক্কা ভারতীয় শেয়ার বাজারে। শুক্রবার হুড়মুড়িয়ে ধস ভারতীয় শেয়ারবাজারের সবকটি সূচকে। একদিনে প্রায় ২ শতাংশ নেমেছে বাজার।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বব্যাপী প্রবণতার কারণেই এ দিন ব্যাপক ধস নেমেছে ভারতের শেয়ার বাজারে। সকালে বাজার খুলতেই পড়তে শুরু করে একের পর এক নামী কোম্পানির শেয়ার। আদানি গ্রুপের বেশিরভাগ শেয়ারের দাম ব্যাপক কমেছে। জানা গিয়েছে, আমেরিকার সংস্থার তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে মারাত্মক ধস নামে আদানি গ্রুপের শেয়ারে।
একটা সময় সেনসেক্স (Sensex) নেমে যায় এক হাজার পয়েন্টেরও বেশি। পরে কিছুটা পুনরুদ্ধার করে বাজার বন্ধের সময় ৮৪৬ পয়েন্ট পড়ে সেনসেক্স থিতু হয় ৫৯,৩৪৯-এ। বড়ো ধাক্কা লেগেছে নিফটিতেও । প্রায় তিনশো পয়েন্ট পড়ে নিফটি পৌঁছায় ১৭ হাজারে। বাজার বন্ধের সময় ২৮৬ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়ায় ১৭,৬১১-য়।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, আদানি পোর্টস এবং আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দাম ৫ শতাংশ কমেছে। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এবং এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম ৩ শতাংশ পর্যন্ত পড়েছে। অন্যদিকে, টাটা মোটরসের শেয়ারের দর ৮ শতাংশ বেড়েছে। বাজাজ অটোর শেয়ারের দামও ৬ শতাংশ বেড়েছে। মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, ডক্টর রেড্ডিজ ল্যাবসের দামও ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৩: রেলপথ, রাস্তার জন্য বাড়তি বরাদ্দের প্রত্যাশা
খবর
পর পর দু’দিন পতন সেনসেক্সে, সপ্তাহের শেষ কেনাবেচার দিনে ১৮ হাজারে নিফটি
বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির আক্রমণাত্মক অবস্থানের আশঙ্কা…

বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারেও পতন দেখল সেনসেক্স। সপ্তাহের শেষ কেনাবেচার দিনে ২৩৭ পয়েন্ট নেমে এল ৩০ স্টকের এই সূচক। অন্য দিকে, ০.৪৪ শতাংশ পড়লেও ১৮ হাজারের উপরেই থিতু হল নিফটি ফিফটি।
বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির আক্রমণাত্মক অবস্থানের আশঙ্কা এবং মূল কর্পোরেট উপার্জনের প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বব্যাপী স্টক মার্কেটের অবস্থান নজরে রেখেই ভারতীয় বাজারও এ দিন নিঃশব্দে শুরু হয়েছিল। বার কয়েক উত্থান-পতন ঘটলেও দিনের শেষে নীচে নেমেই বন্ধ হল সূচকগুলি।
আজকের লেনদেন শেষে, বিএসই সেনসেক্স ২৩৬.৬৬ পয়েন্ট কমেছে এবং ৬০,৬২১.৭৭ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফটি ফিফটি ৮০.২০ পয়েন্টের নীচে নেমে ১৮,০২৭.৬৫-এ বন্ধ হয়েছে।
এ দিন উল্লেখযোগ্য পতনের সম্মুখীন টিভিএস মোটর এবং হ্যাভেলস (৪ শতাংশেরও বেশি)। এ ছাড়াও রয়েছে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার (৩.৭৬ শতাংশ), এশিয়ান পেন্টস (২.৮৫ শতাংশ), বাজাজ ফিন্যান্স (২.৭৮ শতাংশ), নেসলে (২.৩৭ শতাংশ) এবং বাজাজ ফিনসার্ভ (১.৯৭ শতাংশ)-সহ আরও বেশকিছু সংস্থার স্টক। তবে লাভের মুখ দেখেছে কোল ইন্ডিয়া, এইচডিএফসি ব্যাংক, পাওয়ার গ্রিড, এইচডিএফসি এবং আইটিসি।
সেক্টরাল সূচকগুলি মিশ্র লেনদেন করেছে। ব্যাঙ্ক নিফটি ০.৭৫ শতাংশ বেড়েছে, নিফটি আইটি বেড়েছে ০.২৫ শতাংশ, নিফটি পিএসইউ ব্যাঙ্ক ০.৮০ শতাংশ এবং নিফটি অয়েল অ্যান্ড গ্যাস ০.২৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্য দিকে নিফটি অটো কমেছে ০.১৬ শতাংশ। এ ছাড়াও নিফটি এফএমসিজি ০.৮৫ শতাংশ এঊং নিফটি মেটাল ০.৫৫ শতাংশ নেমে এসেছে এ দিন।
আরও পড়ুন: নজরে লোকসভা ভোট, বাজেটে গ্রামের দিকে বেশি নজর মোদী সরকারের
খবর
মাত্র ২ সপ্তাহ, ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে উধাও ১৫ হাজার কোটির বিদেশি বিনিয়োগ
২ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারির মধ্যে এফপিআই-গুলি ভারতীয় ইক্যুইটি বাজার থেকে ১৫ হাজার ৬৮ কোটি টাকা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

নয়াদিল্লি: বিশ্বের বেশ কিছু দেশে নতুন করে কোভিডের ঝুঁকি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা-সহ আরও বেশ কিছু উদ্বেগকে সামনে রেখে ভারতের শেয়ার বাজার থেকে বড়ো অঙ্কের বিনিয়োগ তুলে নিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে এ দেশের স্টক মার্কেট থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার ইক্যুইটি বিক্রি করেছেন তাঁরা।
কেন বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার
শুধু নতুন বছরের প্রথম দুই সপ্তাহেই নয়, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতীয় শেয়ার বাজারে সতর্ক পদক্ষেপ করছে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা (FPI)। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক অথবা দেশীয় ভাবে মুদ্রাস্ফীতি সামান্য মাত্র নিম্নগামী হলেও এ দেশের শেয়ার বাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ। তথ্য অনুযায়ী, ২ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারির মধ্যে এফপিআই-গুলি ভারতীয় ইক্যুইটি বাজার থেকে ১৫ হাজার ৬৮ কোটি টাকা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ২০২২ সাল জুড়ে ভারতীয় ইক্যুইটি বাজার থেকে ১.২১ লক্ষ কোটি টাকা তুলে নিয়েছিল এফপিআই-গুলি। এর নেপথ্যে ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির সুদের হার বৃদ্ধি, অপরিশোধিত তেলের দামে চাপান-উতোর এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। পরিস্থিতি এমনই হয়েছিল যে, শেষ তিন বছরে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছিল ২০২২ সালেই।
সেই ধারা নতুন বছরেও অব্যাহত। এর জন্য আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় স্তরে বিভিন্ন উদ্বেগজনক কারণকেই কাঠগড়ায় তুলছেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণের হার। একই সঙ্গে রয়েছে মার্কিন মন্দার উদ্বেগ। এ রকমই সব কারণ ভারতীয় শেয়ার বাজারে বিদেশি বিনিয়োগে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সস্তা বাজারে আগ্রহ বিদেশি বিনিয়োগের
বিশ্লেষকরা আরও জানাচ্ছেন, ভারতীয় বাজার থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাচ্ছে চিন, হংকং এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো সস্তা বাজারে। তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এই পদক্ষেপে কিছুটা ইতিবাচক ভূমিকা নিচ্ছেন খুচরো ক্রেতারা। অপেক্ষাকৃত কম দামে কেনার পর দাম উঠলেই শেয়ার বিক্রি করার প্রবণতা গভীর হচ্ছে ভারতীয় বাজারে। ফলে সূচকগুলির বড়োসড়ো সংশোধনের সম্ভাবনাও কম।
ভারতীয় শেয়ার বাজারের দুর্বলতার নেপথ্যে রয়েছে দেশীয় কিছু কারণও। সূচকগুলি দুর্বল হয়ে পড়ার ইঙ্গিতও দিচ্ছে। এখন দেখা যাচ্ছে, ডিসেম্বরে কমজিউমার প্রাইস ইনডেক্স মূল্যস্ফীতি ৫.৭২ শতাংশে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: দেশে বিপুল লগ্নির আশা তেল এবং গ্যাস উত্তোলনে, মন্ত্রীর কথায় আশার আলো
-
খবর3 months ago
আশঙ্কা বাড়িয়ে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্কের পর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমাল মুডিজও
-
ফিনান্স3 months ago
বিনিয়োগের তালিকায় কেন রাখতেই হবে আপৎকালীন তহবিল
-
বিমা4 months ago
স্বাস্থ্য বিমা করাবেন? এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন
-
বিমা4 months ago
মানসিক সমস্যায় কি স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাওয়া যায়?
-
ফিনান্স2 months ago
বাড়িতে বসে কী ভাবে ইপিএফ ক্লেম স্ট্যাটাস জানবেন, রইল সহজ পদ্ধতি
-
খবর5 months ago
SIP: সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এসআইপি
-
ফিনান্স5 months ago
বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন? তা হলে এই ৫টি টিপসে চোখ বুলিয়ে নিন
-
খবর5 months ago
মুনলাইটিং কী? এই পদ্ধতি নিয়ে কেন কর্মীদের সতর্ক করল ইনফোসিস