দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ঐতিহাসিক জয় ভারতীয় শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সোমবার বাজার খুললে এর প্রতিফলন দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিজেপি ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি জয় করে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে এবং প্রায় তিন দশক পর দিল্লির ক্ষমতায় ফিরেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বাজেট ২০২৫ এবং সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তের পর বাজারের মনোভাব ইতিবাচক হতে শুরু করেছে। দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির জয় কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে ধরা হচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বাড়াবে।
প্রযুক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নিফটি ও সেনসেক্সের অবস্থা
নিফটি ৫০ সূচক শুক্রবার ২৩,৪০০ পয়েন্টের গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট লেভেল বজায় রেখেছে এবং ২০ দিনের এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং অ্যাভারেজ (DEMA)-এর ওপর স্থিতিশীল রয়েছে। ২৩,২০০ পয়েন্টের সাম্প্রতিক নিম্ন স্তর বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে, অন্যদিকে ২৩,৯০০ পয়েন্ট একটি বড় রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসেবে কাজ করবে।
বিনিয়োগকারীদের খাতভিত্তিক শেয়ার নির্বাচন করার পরামর্শ দিছেন বিশ্লেষকরা। বর্তমানে FMCG ব্যতীত বেশিরভাগ খাতে ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। তবে মিডক্যাপ ও স্মলক্যাপ শেয়ারে সতর্কতার প্রয়োজন, কারণ বাজারে অস্থিরতা এখনও রয়ে গেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
আরবিআইয়ের সুদের হার কমানোর প্রভাব
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) ২৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমিয়ে ৬.২৫ শতাংশ করেছে, যা তারল্য বৃদ্ধি করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে। মুদ্রানীতির এই পরিবর্তন “Buy on Dips” কৌশলকে সহায়তা করতে পারে, যা বাজারের জন্য ইতিবাচক হতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
তবে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাণিজ্যনীতি, পাল্টা শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা, ফেডের কঠোর অবস্থান এবং বিদেশি মূলধন প্রত্যাহার বিশ্ব ও দেশীয় শেয়ারবাজারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির জয় বাজারের স্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে, তবে বিনিয়োগকারীদের বাজারের গতিবিধি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।