ভারতের আইপিও বাজারে বর্তমান উন্মাদনার মধ্যে নতুন রেকর্ড স্থাপন করল বাজাজ গ্রুপ। সুনাম ও শক্তিশালী মৌলিক ভিত্তির কারণে বুধবার বাজাজ হাউজিং ফিনান্সের আইপিওতে বেশ কিছু নতুন রেকর্ড স্থাপিত হয়েছে। ৬,৫৬০ কোটি টাকার এই আইপিও বন্ধ হওয়ার সময় পর্যন্ত প্রায় ৮৯ লক্ষ বিনিয়োগকারী কোম্পানির শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখিয়েছেন। এর ফলে, আইপিওটি ৩.২ লাখ কোটি টাকার চাহিদা তৈরি করে, যা ওভারসাবস্ক্রিপশন হিসেবে ৬৭ গুণের বেশি ছিল (অ্যাঙ্কর বিনিয়োগকারীদের অংশ বাদে)। আবেদন সংখ্যা এবং ডিমান্ড বুক মূল্য – উভয়ই ভারতের প্রাইমারি মার্কেটে নতুন রেকর্ড।
আইপিওর অন্যতম প্রধান ব্যবস্থাপক অ্যাক্সিস ক্যাপিটালের তথ্য অনুসারে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত অংশটি ২২২ গুণ সাবস্ক্রাইব হয় এবং উচ্চ নেট মূল্যের বিনিয়োগকারীদের (এইচএনআই) জন্য সংরক্ষিত অংশটি প্রায় ৪৪ গুণ সাবস্ক্রাইব হয়। বাজাজ ফিনান্স এবং বাজাজ ফিনসার্ভের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সংরক্ষিত অংশটি ১৭.৪ গুণ এবং সাধারণ খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত অংশটি ৭ গুণের বেশি সাবস্ক্রাইব হয়। কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষিত অংশটি দুইবারেরও বেশি সাবস্ক্রাইব হয়।
অ্যাঙ্কর বিনিয়োগকারীদের জন্য একদিন আগেই বরাদ্দ করা ১,৭৫৮ কোটি টাকার শেয়ার বাদ দিলে, ৪,৮০২ কোটি টাকার শেয়ার ৬৬ থেকে ৭০ টাকা মূল্যের মধ্যে বিডিংয়ের জন্য দেওয়া হয়েছিল।
বাজাজ হাউজিং ফিনান্সের আইপিওটি ৯ সেপ্টেম্বর খোলা হয়েছিল এবং প্রথম দিনেই এটি দুইবার সাবস্ক্রাইব হয়। দুই দিনের শেষে সাবস্ক্রিপশন সাত গুণ ছাড়ায়, যা বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে অত্যন্ত বিরল ঘটনা। বাজাজ ফিনান্স এবং বাজাজ ফিনসার্ভের অতীতের চমকপ্রদ রিটার্ন এই আইপিওর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়িয়েছে। গত দশ বছরে বাজাজ ফিনান্সের শেয়ারমূল্য ২৮ গুণ বেড়েছে এবং বাজাজ ফিনসার্ভের শেয়ারমূল্য ১৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গ্রে মার্কেটে, যেখানে উচ্চ ঝুঁকির ব্যবসা হয়, বাজাজ হাউজিং ফিনান্সের শেয়ারের প্রস্তাবিত লিস্টিং মূল্য ১৪৫ টাকা, যা আইপিওর শীর্ষমূল্যের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।
পড়ুন: ফ্রি আপডেটের সুযোগ শেষ হতে চলেছে, এরপর থেকে আধার আপডেট করতে লাগবে চার্জ